- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়া ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি গঠিত

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের ৩ দিন পর পাল্টা কমিটি গঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ৬১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম জেকি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বদরুদ্দোজা জুয়েল। কমিটিতে তানজীর জিহানকে সভাপতি ও ইরফান বিন ইসহাককে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

অপরদিকে, গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের অপর কমিটির অনুমোদন দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাভাপতি এস. এম. বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের। কমিটিতে এ. কে. এম আসিফুর রহমান চৌধুরীকে সভাপতি ও এরশাদুর রহমান রিয়াদকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচত করা হয়েছে। এছাড়া একইদিন বার আউলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ও আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কমিটিরও অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। সকল কমিটি আগামী এক বছরের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এদিকে, উপজেলা ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটি ঘোষণার পর রাত সাড়ে ১০টায় বটতলী মোটর ষ্টেশনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস. এম. বোরহান উদ্দিনের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা গেছে।

৫ হাজার মাস্ক বিতরণ করল লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটি

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে ৫ হাজার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে বটতলী ষ্টেশনের দোকানদার ও ক্রেতাদের মাঝে এ মাস্ক বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিজান, কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন, মামুর অর রশিদ, সালাহ উদ্দিন ও জুয়েল এনামুল হক প্রমুখ।

মিজানুর রহমান মিজান জানান, দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । এ সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। সবাইকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল, মাস্ক পরিধান করতে ও সচেতন হতে উৎসাহিত করছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আহসান হাবীব জিতু জানান, বটতলী শহর উন্নয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেছেন এটি একটি ভালো উদ্যোগ।

বিএনপি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল : কাদের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি ক্ষমতায় এসে হামলা নির্যাতন করে বহু হিন্দু পরিবারকে দেশ ছাড়া করেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশবাসী সেই দুঃসহ নির্যাতনের কথা ভুলে যায়নি।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বাংলানিউজ

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন—সরকার জনগণের মনের ভাষা বোঝে না। আমি বলতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মনের ভাষা চোখের ভাষা বুঝতে পারেন বলেই এত জনপ্রিয়। বিএনপি জনগণের ভাষা তো বুঝতে পারা দূরের কথা, তাদের কর্মীদের মনের কথাই তো বোঝে না।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তির দাবিতে বিএনপি কোনো বিক্ষোভই দেখাতে পারেনি। তারা নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনে ব্যর্থ। তাদের রাজনীতি ঘরে বসার রাজনীতি। আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপির নেতারা ঘরে বসে থাকেন, কর্মীদের পাশে দাঁড়ান না—এজন্য কোনো কর্মী আন্দোলনে সাড়া দেয় না। কিন্তু আমরা অনেক নির্যাতন সহ্য করে রাজনীতি করেছি।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা দেশে রাতের বেলা কারফিউ দিয়ে ’৯৬ সালে প্রহসনের নির্বাচন করেন। অথচ তারা এখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সম্প্রতি কয়েকটি উপ-নির্বাচনেও ৫০-৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে অনীহা থাকলে এত ভোট পড়তো না। শুধুমাত্র ঢাকার একটি আসনের উপ-নির্বাচনে একটু কম ভোট পড়েছে। যারা গণতন্ত্রের নামে স্বৈরাচারী করেন, তারা গণতন্ত্রের ছবক দেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত হৈচৈ করে। কিন্তু নির্বাচনের দিন বলে, এজেন্টকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, পরে নির্বাচন বর্জন করে। কোথায় এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে, পারলে প্রমাণ দিন। দেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন রয়েছে। বিএনপিকে জেতানো যেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।

আওয়ামী লীগ সাধারণ বলেন, বিএনপি আজ আইনের শাসনের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। বিচার নাকি পায় না। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যায় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের। একুশে আগস্ট হামলাও বিএনপি করেছে। এরপরও জননেত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বাসায় যান তার ছেলের মৃত্যুর পর। কিন্তু তারা কী আচরণ করলো দেশবাসী দেখেছে।

মির্জা ফখরুলের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতির জন্য আওয়ামী লীগের লোকজনকেও ছাড় দিচ্ছেন না বিচারকরা। দলের অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। বিএনপি আমলে একজনকেও শাস্তি দেয়নি। অপরাধ করে বিএনপি আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে এসব অভিযোগ করে।

সবসময় দলে কিছু আগাছা ঢুকে পড়ে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন,  তবে আমরা এ ব্যাপারে সচেতন। অনুপ্রবেশকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করি না। আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ দেয় না। অতীতে ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর। অপরাধীদের কোনো দল নেই। দল কখনো ঢাল হাল হতে পারে না। আমরা ব্যবস্থা নেই।

সেতুমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতুর ৪০টি স্প্যানের মধ্যে ৩৭টি স্প্যান বসানো হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের আগেই পদ্মা সেতু চালু করা হবে।

ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে বিদেশকে হার মানায় মন্তব্য করেন তিনি বলেন, সরকার সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন করছে। ৪৫০ কিলোমিটার চার লেন করা হয়েছে। আরও ৫০০ কিলোমিটার চার লেন করার কাজ চলমান। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা না ফিরলে সড়কে উন্নয়নের সুফল মিলবে না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি প্রকল্পের কাজ চলছে।


সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে বাস্তবতা হচ্ছে যে, এ সরকার শুধু জনবিচ্ছিন্নই হয়ে পড়েনি, তারা পুরোপুরিভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরে নির্ভর না করে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।

সেজন্য তারা আজকে রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ ও করায়ত্ত করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে উত্তরার নিজ বাসা থেকে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিনে আমাদের দলের নয়জন নেতাকর্মী নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাঁচজন এখনও নিখোঁজ আছেন।

যারা নিখোঁজ আছেন তারা হলেন- যুবদল পল্টন থানার যুগ্ম-সম্পাদক লিওন হক, যুবদল তুরাগ থানার সাধারণ সম্পাদক মামুন পারভেজ তন্ময়, সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম হাসিব, যুবদল উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মজুমদার মাসুম ও সদস্য সেলিম মিয়া। যে চারজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, রবিউল ইসলাম ও আবুল হাসনাত অনু।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন গত ১২ নভেম্বর নির্বাচনের দিন হঠাৎ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহনগুলোতে যে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এগুলো আগের সেই কৌশল। আমি আগেই বলেছি, সরকার নিজেরাই পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করে। তারপর বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি, গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ যে গুমের সংস্কৃতি এটা বাংলাদেশে আগে কখনও ছিল না, মানুষ নামও শোনেনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে ক্রমান্বয়ে এটা বাড়তে শুরু করেছে। এ গুমের মধ্য দিয়ে গোটা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক জীবনে একটা ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী গুম হয়েছেন ২০১২ সালে। তিনি আর ফিরে আসেননি।  ঢাকা সিটি করপোরেশনের জনপ্রিয় কমিশনার চৌধুরী আলম, লাকসামের সংসদ সদস্য পারভেজ গুম হয়েছেন আর ফেরেননি। আমাদের ছাত্রনেতা, যুবদল নেতা, স্বেচ্ছাসেবক নেতা সারাদেশে প্রায় ৫০০ গুম হয়ে গেছেন। তাদের হদিস পাওয়া যায়নি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গুম নিয়ে বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ১০ জন মার্কিন সিনেটর চিঠি দিয়েছেন যে বাংলাদেশে প্রায় ৪০০ ব্যক্তিকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। যেটা কল্পনাতীত। গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে কেউ চিন্তাও করতে পারে না। আজকে ক্রসফায়ারের নামে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং করে সে সমস্ত ব্যক্তিদের নূন্যতম যে মানবিক অধিকার রয়েছে সে অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এটা অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে এসেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সম্পর্কিত বার্ষিক রিপোর্ট, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বার্ষিক রিপোর্ট, যুক্তরাজ্যের বার্ষিক রিপোর্টগুলোতে এসেছে। বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে যে মানবাধিকারের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে এটা নিয়ে কথা উঠেছে এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।  

তিনি বলেন, এ কয়েকদিনের মধ্যে যারা গুম হয়েছে তাদের পরিবারসহ আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছি। গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দলের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন ও যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমি বিবৃতি দিয়েছি, তারপরও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো যে, কোনো ব্যক্তি যদি নিখোঁজ হয় তার দায়িত্ব হবে সম্পূর্ণ সরকারের। এটা অসম্ভব যে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে যাওয়ার পরে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দারা তাকে তুলে নিয়ে যাবে। আমরা কোন দেশে বাস করছি? এখানে কি কোনো আইনের শাসন নেই। ১৯৭২ সালের সংবিধানে আমাদের যে গণতন্ত্রের নূন্যতম অধিকার দিয়েছে সে বিষয়গুলো আমাদের নেতাকর্মী যারা ভিন্নমত পোষণ করেন তাদের জন্য একেবারে অনুপস্থিত হয়ে গেল?

তিনি অবিলম্বে এসব নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়াসহ সারাদেশের নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানান। একইসঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বাংলানিউজ

ফ্রান্সের মুসলিমদের জন্য আচরণবিধি ঠিক করে দিলেন ম্যাক্রোঁ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ রক্ষায় একটি সনদ মেনে নিতে ফ্রান্সের মুসলিম নেতাদের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্সের ‘চরমপন্থী’ ইসলামের বিস্তৃতি ঠেকাতে তিনি এমন কড়া অবস্থান নিয়েছেন বলে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সনদটি মেনে নিতে গত বুধবার (১৮ নভেম্বর) ফ্রান্স কাউন্সিল অভ দ্য মুসলিম ফেইথ(সিএফসিএম)কে ১৫ দিনের সময় বেধে দেয়া হয়। এ সনদে বলা হয়েছে, ইসলামকে শুধু ধর্ম হিসেবেই গ্রহণ করতে হবে, রাজনৈতিকভাবে নয়। ফরাসি মুসলিম সংগঠনগুলোর ওপর বিদেশী কোনো প্রভাব বিস্তারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত বুধবার রাতে ম্যাক্রোঁ ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিয়ান প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সিএফসিএম-এর আটজন নেতার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় মুসলিম নেতাদের প্রতি একটি সনদ উপস্থাপন করেন ম্যাক্রোঁ যাতে ফ্রান্সের মুসলিমদের জন্য আচরণবিধি ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. ধর্মীয় অজুহাতে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকি দেওয়া যাবে না, এমনটি করলে ঘরে (ধর্মীয়) শিক্ষার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে ও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
২. মুসলিম শিশুদের একটি নম্বর দিতে হবে যা দ্বারা তাদের স্কুলে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। অভিভাবকরা এ আইন অমান্য করলে তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। পাশাপাশি বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে।
৩. ক্ষতির আশঙ্কা আছে এমন কারও ব্যক্তিগত তথ্য বিনিময় করা যাবে না।

সিএফসিএম ইতোমধ্যে একটি জাতীয় ইমাম কাউন্সিল করবে বলে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একমত হয়েছে। সরকারি অনুমোদনের মাধ্যমে এ কাউন্সিল কোনো মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেবে যাকে পরবর্তীতে প্রত্যাহারও করা যাবে।

দেশটিতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (স.)-এর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করায় এক শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনার এক মাস পর মুসলিম নাগরিকদের ওপর আচরণবিধি ঠিক করে দিল ফ্রান্স। বাংলানিউজ

ধুলায় ঢেকেছে সড়ক, নিশ্বাস নেওয়া দায়

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরে উন্নয়ন যন্ত্রণার কারণে এখন ধুলার রাজত্ব। হেমন্তের বাতাসে সেই ধুলা মাখামাখি করছে পথচারীর শরীরে। নিশ্বাস নেওয়াও যেন দায়।

ধুলার আস্তরণ জমেছে গাছের পাতায়। রাস্তার পাশে থাকা দোকানীদের ব্যবসা উঠেছে লাটে। মাঝিরঘাট, স্ট্যান্ড রোড, অলংকার, নিমতল, নন্দনকানন, আগ্রাবাদ, হালিশহর পোর্ট কানেক্টিং রোড এলাকায় চলাচল করতে হচ্ছে এই ধুলাকে সঙ্গী করেই।

জানা গেছে, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ যেখানে ১০০ পিপিএম পার হলেই বিপজ্জনক মাত্রা ধরা হয়, সেখানে চলতি মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই চট্টগ্রামের বাতাসে এই পরিমাণ ৩৫০০ পিপিএমের বেশি।

ধুলার দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে, চাকরিজীবী, চালক ও পথচারীদের অনেকে মাস্ক ব্যবহার করেও স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারছেন না। রাস্তার পাশে থাকা কিছু খাবার দোকানের সামনে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ধুলা আটকানোর চেষ্টা চলছে।   

তারপরও খাবার-দাবারসহ দোকানের জিনিসপত্র হয়ে যাচ্ছে ধুলায় ধূসর। নগরের সৌন্দর্যবর্ধনে বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত ভাস্কর্য-ম্যুরাল ও ফুটপাতে লাগানো গাছের চারা হয়ে গেছে বিবর্ণ।

ধুলার কারণে ছড়াচ্ছে রোগবালাই। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশি ও চোখের সংক্রমণ বাড়ছে। বেশি ক্ষতি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধদের। অস্বাভাবিক যে ধুলাবালি সেটা মূলত সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পিডিবি ও সিডিএর উন্নয়ন কাজের কারণেই হচ্ছে বলে দাবি করছেন নগরবাসী।  

সড়কে ধুলার দাপট কমাতে চসিকের আছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার তিনটি সুইপিং গাড়ি। সম্প্রতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রাস্তার ধুলাবালি পরিষ্কারে চসিককে আরও তিনটি সুইপিং গাড়ি দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। গাড়িগুলো উন্নত বিশ্বের মসৃণ সড়কে জমে থাকা হালকা ধুলা পরিষ্কার করার উপযোগী।  

এদিকে নগরে ধুলাবালির প্রকোপ কমাতে ওয়াসার উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যে পানি ছিটানো হয়। এ কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে নগরবাসীকে স্বস্তি দিলেও স্থায়ী সমাধান মিলছে না।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী যে কাজ করতে পারবে, তার চেয়েও বেশি পরিচ্ছন্নতার কাজ করার সক্ষমতা একটি স্যুইপিং গাড়ির। ইতালি থেকে আনা এ গাড়ি দিয়ে অন্তত ১২ কিলোমিটার সড়ক পরিষ্কার করা যাবে। গাড়ির ব্রাশ মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার ধুলাবালি-বর্জ্য পাইপ দিয়ে তুলে নেবে। এর সঙ্গে আলাদা পানির ট্যাংকও যুক্ত আছে। প্রয়োজনে পানি ছিটিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা যাবে। আবর্জনা সংগ্রহের পর সুবিধাজনক স্থানে তা আনলোড করবে। আবর্জনা আনলোডের পর গাড়ির পানি দিয়ে গাড়িটি ধুয়ে ফেলার সুযোগও রয়েছে। বাংলানিউজ

র‌্যাবের অভিযানে দুই জেলায় আটক ৮ ‘জঙ্গি’

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক আমির ও সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ আটজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এর মধ্যে রাজশাহীতে চারজন এবং সিরাজগঞ্জে চারজনকে আটক করা হয়। অবস্থান করা বাড়িটি ঘিরে ফেলার পর সিরাজগঞ্জের চারজন আত্মসমর্পণ করেন।

রাজশাহীতে আটক চারজন হলেন- জেএমবির রাজশাহী আঞ্চলিক আমির নাটোরের বাগাতিপাড়ার জুয়েল আলী ওরফে হাবিবুল্লাহ ওরফে মাহমুদ (৩৩), খুলনার খালিশপুরের আশরাফুল ইসলাম (২৪), পাবনার সাথিয়ার আলিফ হোসেন (২০) এবং সাতক্ষীরার নালতার জুয়েল শেখ (২২)।

সিরাজগঞ্জে আত্মসমর্পণ করা চারজন হলেন- জেএমবির রাজশাহী অঞ্চলের সেকেন্ড ইন কমান্ড পাবনার সাথিয়ার কিরণ ওরফে হামিম ওরফে শামিম (২২), একই এলাকার নাইমুল ইসলাম (২১), দিনাজপুরের কোতোয়ালির আতিউর রহমান (২২) এবং সাতক্ষীরার তালার আমিনুল ইসলাম ওরফে শান্ত (২৫)।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে র‌্যাব-৫ রাজশাহী এবং ঢাকা সদর দফতরের সদস্যদের একটি দল রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানা এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে আঞ্চলিক আমিরসহ চারজনকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য এবং র‌্যাবের কাছে আগে থেকেই থাকা কিছু তথ্যের সমন্বয়ে শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ভোরে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার উকিলপুর এলাকার একটি বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। এরপর চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। তখন জেএমবির রাজশাহী অঞ্চলের সেকেন্ড ইন কমান্ডসহ চারজন র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

এদিকে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজশাহীতে মাসিকসভা করার সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শাহজাদপুরের উকিলপাড়ার ওই বাড়ি ঘিরে রাখে র‍্যাব।

প্রাথমিক অবস্থায় র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ভেতর থেকে চার থেকে পাঁচটি গুলি ছুড়ে। এ অবস্থায় ওই বাড়ির আশপাশ থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির ভেতরে থাকা ওই চারজন আত্মসমর্পণ করেন।

এ সময় বাড়িটি থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, গান পাউডার, ফিউজ, জিহাদি বই, বিভিন্ন নির্দেশনামূলক বই, একটি চাপাতি ও দু’টি রামদা উদ্ধার করা হয়। আর রাজশাহীতে গ্রেফতার চারজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু সংখ্যক জিহাদী বই।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, আটক আট জঙ্গিকে সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ এর কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলানিউজ

মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মুন্নার

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
মুন্না ভগত

নিউজ ডেক্স : গ্রেফতার মুন্না ভগত মর্গে রাখা নারীদের ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদের আদালত তার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এর আগে আসামি মুন্নাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মুন্না স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন জানান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির ইন্সপেক্টর জেহাদ হোসেন বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বিডি-প্রতিদিন

একই ব্যক্তির শুক্রাণু ৭ তরুণীর মৃতদেহে, তারপরই ধরা পড়ে মুন্না

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
মুন্না ভগত

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণের জঘন্যতম অপরাধের অভিযোগ উঠেছে মুন্না ভগত (২০) নামে এক ডোম সহকারীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডোম জতন কুমার লালের ভাগিনা মুন্না ভগত। সে মামার সঙ্গেই ওই হাসপাতালের মর্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। দুই-তিন বছর ধরে মুন্না মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। এ অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বৃহস্পতিবার তাকে আটক করে সিআইডি। 

কিভাবে টের পাওয়া গেল এই ঘটনা? 
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইড) ডিএনএ টেস্টে তরুণীদের মৃতদেহে শুক্রাণুর উপস্থিতি পাওয়ার পর চাঞ্চল্যের তৈরি হয়। কেন, কী কারণে আত্মহত্যাজনিত ঘটনায় উদ্ধার মৃত তরুণীদের শরীরে শুক্রাণুর উপস্থিতি মিলবে-শুরু হয় এই তদন্ত। এরপর বেরিয়ে আসে মর্গে থাকা একাধিক মৃত তরুণীর শরীরে আবার একই ব্যক্তির শুক্রাণু। পরে বেরিয়ে আসে অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। মর্গের একজন ডোম দিনের পর দিন মৃত তরুণীর লাশের সঙ্গে এমন বিকৃত কাজ করেছে।

গণমাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অন্তত সাত তরুণীর মৃতদেহে ওই ডোম সহকারীর শুক্রাণু পাওয়া গেছে। সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, জঘন্যতম ও খুবই বিব্রতকর অভিযোগ। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পরই ওই যুবককে আটক করেছে সিআইডি।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না। মুন্নার বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জতন লাল কুমার বলেন, মুন্না মাঝে মধ্যে গাঁজা বা নেশাটেশা করতো। কিন্তু এরকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না। বিডি-প্রতিদিন

মর্গে রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো যুবক!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : তার মামা মর্গের একজন ডোম। মামার সঙ্গে সহাকারী হিসেবে কাজ করতে সে। আর সেখানেই ময়নাতদন্তের জন্য রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো সে। তার নাম মুন্না ভগত (২০)। এরই মধ্যে ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে সিআইডির পক্ষ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ডোম জতন কুমার লালের ভাগিনা মুন্না ভগত। সে মারা সঙ্গেই ওই হাসপাতালের মর্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার বলেন, জঘন্যতম ও খুবই বিব্রতকর অভিযোগ। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার পরই ওই যুবককে আটক করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেই সব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না। অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার আরও বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত ডোম ও মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, মুন্না গত দুই/তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করতো। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। সে আরও দুই/তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকত।

মুন্নার বিরুদ্ধে মৃত নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ প্রসঙ্গে জতন কুমার লাল বলেন, মুন্না মাঝে মধ্যে গাঁজা বা নেশাটেশা করতো। কিন্তু এরকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না। সূত্র: বাংলানিউজ