- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

মহানবী (স.)-এর অবমাননায় নিন্দা প্রস্তাব আনতে সংসদে বিএনপি এমপির দাবি

নিউজ ডেক্স : মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স:) কে অবমাননা করে ফ্রান্সে যে ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে, তার বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। এ বিষয়ে তিনি সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে আজ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে হারুনুর রশীদ এ দাবি জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। 

হারুনুর রশীদ বলেন, সংসদ নেতা এখানে উপস্থিত আছেন, আমি সংসদ নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মহানবী (সা:) কে অবমাননার জন্য এই সংসদে একটি নিন্দা প্রস্তাব উপস্থাপন করা হোক। ঈদে মিলাদুন্নবী দিনে ফ্রান্সের পত্রিকায় মহানবী (স.)কে অবমাননা করা হয়েছে। এতে সারাবিশ্বের মুসলমান প্রতিবাদী হয়ে উঠেছে। ফ্রান্স শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করতে পারতো। কিন্তু ইমানুয়েল ম্যাক্রো তা সমর্থন করে বক্তব্য রেখে ঘিতে আগুন ঢেলে দিয়েছেন। যেহেতু এই ঘটনা মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে। ওআইসিসহ মুসলিম নেতারা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। তাই আমি প্রস্তাব করছি এই নিন্দীয় ঘটনার জন্য সংসদের একটি নিন্দা প্রস্তাব নেওয়া উচিত। এর জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। বিডি প্রতিদিন

শিক্ষকতা ছাড়ছেন না ড. জিল বাইডেন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পূর্ণকালীন পেশাজীবী নারী হিসেবে প্রথম ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন ড. জিল বাইডেন (৬৯)। ফাস্ট লেডি হলেও শিক্ষকতা ছাড়বেন না দুটি মাস্টার্স ও পিএইচডি’র অধিকারী এই জিল বাইডেন।

ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ক্যাথরিন জিলসন বলেন, অনেক মার্কিন নারীই নিজেদের কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলান। কিন্তু ফার্স্ট লেডিরা এটি করতে পারেন না। কিন্তু এখন সেই সময় এসেছে যে, আমেরিকানরা অভ্যস্ত হবেন ফার্স্ট লেডি ২৪ ঘণ্টা হোয়াইট হাউসে থাকবেন না।জিল সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে সেকেন্ড লেডি হিসেবে ৮ বছর ধরে ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার সঙ্গে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। সমান তালে চালিয়ে গিয়েছেন ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপনা। বাইডেনের প্রার্থীতা নিশ্চিত হওয়ার পর গত আগস্টেই কলেজের ক্লাসরুম থেকেই কনভেনশনে বক্তব্য দেন জিল।

জিলের নাতনি নাওমি বাইডেন বলেন, সে গতানুগতিক দাদীমাদের মতো নয়। সে এমন একজন যে কি না তোমাকে ক্রিসমাসের ছুটির সময়ও ভোর ৫টায় উঠিয়ে ব্যায়াম করতে পাঠাবে।

ইউএসএ টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মজা করে বারাক ওবামা বলেন, জিল এক ভয়ানক ফার্স্টলেডি হতে যাচ্ছেন।

মিশেল ওবামা বলেন, জিল একজন খাঁটি মানুষ। তার মধ্যে কোনো ভনিতা নেই। নিউজার্সি রাজ্যে ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন জিল জ্যাকবস। ১৯৭২ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় স্ত্রী-কন্যাকে হারান বাইডেন। একাই বাকি দুই পুত্রকে বড় করতে থাকেন। ১৯৭৭ সালে বিয়ে করেন জিল ও জো।

বাইডেনের সন্তান হান্টার ও বিয়াউর দায়িত্ব নেন জিল। ১৯৮১ সালে এই দম্পতির ঘরে আসে কন্যা অ্যাশলি। তার শিক্ষায় আছে ডক্টরেট ডিগ্রী, এখন শিক্ষকতা করছেন নর্দান ভার্জিনিয়া কমিউনিটি কলেজে। পরিবার ও সন্তানদের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি দুটি মাস্টার্স করেন জিল।

মৃত্যুদণ্ড যুক্ত করে নারী নির্যাতন দমন বিল সংসদে উত্থাপন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০২০’ উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা।

রবিবার সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে এ বিলটি উত্থাপন করা হয়।পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিলটি এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করেন। ওই অধ্যাদেশের আলোকে সংসদে সংশোধনী বিলটি আনা হয়। চলতি অধিবেশনেই বিলটি পাসের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

২০০০ সালের ৮ নম্বর আইন (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন) সংশোধনে জারি করা অধ্যাদেশের আলোকে সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে। বিডি প্রতিদিন

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীর গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নাফ নদে নৌকায় মাছ ধরা অবস্থায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহত হয়েছেন।

শনিবার (০৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর গুলিবিদ্ধ জেলে গভীর রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত জেলে মোহাম্মদ ইসলাম (৩৫) টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বরইতলী এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে।

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নজির আহমদ বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় তিন জেলে কাঠের নৌকা নিয়ে মাছ শিকারে নামে নাফ নদে।

কিছুক্ষণ পর মিয়ানমারের বিজিপি তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। সেখানে মোহাম্মদ ইসলামের পেটে গুলি লেগে আহত হলে তার সঙ্গে থাকা অন্য জেলেরা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যান।

টেকনাফ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাতে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন। তার পেটের ডান পাশে গুলির আঘাত রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, খবর পেয়েছি বিজিপির গুলিতে বাংলাদেশি এক যুবক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিষেধ থাকা সত্ত্বেও রাতের আঁধারে কয়েকজন জেলে নৌকা নিয়ে নাফ নদে নেমে মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে যায়।

এরপর বিজিপি তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে একজন বিদ্ধ হয় এবং পরে মারা যান। এটি নিশ্চিত নয় যে তারা আসলে মাছ শিকারে নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সেখানে গেছে। এরপরও বিজিবির পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে; ভবিষ্যতে এভাবে অকারণে যেন গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যা করা না হয়। বিজিপি জানিয়েছে, তাদের সীমানায় নৌকায় সন্ত্রাসী মনে করে গুলি করেছে।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর শুনেছিলাম। মারা যাওয়ার বিষয়টি কেউ জানায়নি। এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হবে। জাগো নিউজ

মসজিদ-মন্দির-গির্জায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সরকার। রোববার (৮ নভেম্বর) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ রোধে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক পরিধানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইদানিং গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সারাদেশে বিশেষ করে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহারে শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউয়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। এ অবস্থায় আগের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এ নির্দেশনায় বলা হয়, মসজিদে সব মুসল্লির মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে অবশ্যই এ বিষয়ে মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালাতে হবে। এ বিষয়ে মসজিদের গেটে ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে। বিষয়গুলো মসজিদ কমিটি নিশ্চিত করবে।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা অবশ্যই মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। প্রধান ফটকে ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপাসনালয় কমিটি নিশ্চিত করবে।

এতে আরও বলা হয়, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে সচেতনের জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থানে এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পোস্টার/ডিজিটাল প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখতে হবে।

কিছুক্ষণ পরপর সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্য বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। দেশের সব মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাইক থেকে নিয়মিতভাবে উপরে বর্ণিত ঘোষণাসমূহ আবশ্যিকভাবে প্রচার অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

‘মিডল ক্লাস জো’ খ্যাত বাইডেনের সম্পত্তির পরিমাণ কত?

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : কারও কারও কাছে তিনি ‘মিডল ক্লাস জো’ নামেই পরিচিত ছিলেন। আজ সেই জো বাইডেনই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ‘মধ্যবিত্ত’ নামে পরিচিত হলেও বাস্তবে তার সম্পত্তির মূল্য কয়েক লক্ষ ডলার। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় সম্পত্তির যে হলফনামা দিতে হয়েছে ২০১৬, ’১৭ এবং ’১৮-র স্টেট এবং ফেডেরাল আয়কর রিটার্নের যে হিসেব পাওয়া গেছে, ফোর্বস-এর ২০১৯-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাইডেনের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৯০ লক্ষ ডলার। তার মধ্যে ডেলাওয়ারে রয়েছে ৪০ লক্ষ ডলারের দুটি বাড়ি। নগদ এবং বিনিয়োগ মিলিয়ে রয়েছে আরও ৪০ লক্ষ ডলার। এবং ১০ লক্ষ ডলার পেয়েছেন ফেডেরাল পেনশন হিসেবে।১৯৭৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত সেনেটর ছিলেন বাইডেন। সেনেট-এর হিস্টোরিক্যাল রেকর্ড বলছে, এই সময়ের মধ্যে বাইডেনের বেতন ৪২ হাজার ৫০০ ডলার প্রতি  বছর থেকে ১ লক্ষ ৭৪ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়েছে। বাইডেন তখন উপহাস করে বলতেন, ‘আমি কংগ্রেসের সবচেয়ে গরীব মানুষ’।

২০০৯-এ ভাইস প্রেসিডেন্ট হন বাইডেন। ২০১৭ পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। এই সময় তার বেতন এক ধাক্কায় ৩০ শতাংশ বাড়ে। প্রতি বছরে সেই বেতন দাঁড়ায় প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার। ২০১৯-এ বাইডেন যখন তাদের আর্থিক সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে আনেন তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ২০১৭ এবং ’১৮-য় তার এবং স্ত্রী জিলের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৫ লক্ষ ডলার। 

গুগল-ফেসবুক-ইউটিউব থেকে রাজস্ব আদায়ে হাইকোর্টের রায়

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : অনতিবিলম্বে সব ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানি যেমন গুগল-ফেসবুক, ইউটিউব, অ্যামাজন কোম্পানিগুলোকে পরিশোধিত অর্থ থেকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সব ধরনের ট্যাক্স, ভ্যাট এবং অন্যান্য রাজস্ব আদায় করতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ রবিবার এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ  হুমায়ন কবির পল্লব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মো. মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মোজাম্মেল হক ও ব্যারিস্টার সাজ্জাদুল ইসলাম।পরে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, গুগল-ফেসবুক এবং অন্যান্য ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানির বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বিষয় এবং বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনের লক্ষে জনস্বার্থে দায়ের করা রিট পিটিশন এর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিবাদীদের প্রতি পাঁচটি নির্দেশনা জারি করেছেন।

এক. অনতিবিলম্বে সব ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানি যেমন গুগল-ফেসবুক,  ইউটিউব, অ্যামাজন কোম্পানিগুলোকে পরিশোধিত অর্থ থেকে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সব ধরনের ট্যাক্স, ভ্যাট এবং অন্যান্য রাজস্ব আদায় করতে হবে।  জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোকে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই. ইন্টারনেট ভিত্তিক কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ থেকে বিগত পাঁচ বছরে পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে আনুপাতিক হারে বকেয়া রাজস্ব আদায় করতে হবে।

তিন. উক্ত রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর হলফনামা আকারে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে।

চার. এ রায়টি একটি চলমান আদেশ বা কন্টিনিউয়াস ম্যানডেমাস হিসেবে বলবৎ থাকবে।

পাঁচ. এ রায় বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক যেকোনো সময় আদালতে আবেদন দাখিল করে প্রতিকার চাইতে পারবেন।

২০১৮ সালে একটি পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের, ব্যারিস্টার মো. সাজ্জাদুল ইসলামসহ ছয় জন আইনজীবী। তারা জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করেছিলেন। বিডি-প্রতিদিন

তিন বোনের এক স্বামী!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : এক স্বামীর তিন স্ত্রী। তারা আবার সহোদর। একসঙ্গে মিলেমিশেই সংসার করেন তারা। রূপকথার গল্পে নয়, ভারতেই দেখা মিলেছে তাদের। তিন বোনের একসঙ্গে করবা চৌথ ( সারাদিন উপবাসের পরে চাঁদকে সাক্ষী করে স্বামীকে দর্শন করা ) পালনের দৃশ্য দেখে বিস্মিত সবাই।

উত্তরপ্রদেশের চিত্রকূট জেলার বাসিন্দা কৃষ্ণ’র তিন স্ত্রী শোভা, রিনা ও পিঙ্কি একসঙ্গেই এই রীতি পালন করে স্বামীর দীর্ঘজীবন কামনা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে ছবিটি।তাদের বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর আগে। একই অনুষ্ঠানে গাঁটছড়া বাঁধেন সবাই। প্রত্যেকেরই দুটি করে সন্তান রয়েছে। কাঁসিরাম কলোনিতে তাদের সংসার।

তাদের এক আত্মীয় জানান, গত ১২ বছর ধরেই সুখে-শান্তিতে সংসার করছেন তারা। কৃষ্ণও স্ত্রীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য রাখেন না।

ওই আত্মীয়ের কথায়, ‘ওই তিনজনই স্নাতক। তাদের সন্তানরাও একসঙ্গে আনন্দে থাকে। আমরাও ভেবেছিলাম এই বিয়ে টিকবে না। কিন্তু দেখতে দেখতে ১২ বছর তো হয়ে গেল!’

কিন্তু একসঙ্গে তিনজনকে কেন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কৃষ্ণ? আত্মীয়স্বজনরা জানান, এই বিষয়টি কারও কাছেই খুলে বলেননি তিনি। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালো মুসলিম রিসার্চ সেন্টার

Posted By admin On In বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

দেশের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে ইসলাম বিষয়ক শিক্ষা-গবেষণা ও মানব সেবামূলক প্রতিষ্ঠান মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের স্বনামধন্য সংগঠন ‘চুনতি সমিতি ঢাকা’-এর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ খান কাছে সম্প্রতি এই অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ রশিদ আল মাজিদ খান সিদ্দীকী মামুন। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘চুনতি সমিতি ঢাকা’ -এর ফাইন্যান্স সেক্রেটারি গোফরানুল ওয়াদুদ জুনায়েদ এবং অ্যাসিসটেন্ট ফাইন্যান্স সেক্রেটারি নূর হোসনের। এই অর্থ দিয়ে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার অন্তর্গত চুনতি ইউনিয়নের গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।

১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘চুনতি সমিতি ঢাকা’ বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অসহায়-দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। চলমান করোনা মহামারীর সময়েও খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে সমাজের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সংগঠনটি।

এদিকে, বাংলাদেশে কোরআন ও হাদিসের ওপর ‍উন্নত গবেষণা, ইসলামী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই এবছর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট www.muslimresearchcentre.com এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে সবার কাছে ইসলাম সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ এবং ইসলামে দাওয়াতের কাজ করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।

দেশের বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত পুরাতন মসজিদ ও এতিমখানা সংস্কারের পাশাপাশি করোনা মহামারীর কঠিন এই সময়ে সুবিধাবঞ্চিত ও বিপদগ্রস্ত আলেমদের পাশে দাঁড়িয়েছে মুসলিম রিসার্চ সেন্টার (এমআরসি)। এবং ঢাকার গুলশানে সঠিক নিয়মে কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা ছাড়াও একটি হেফজখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ রশিদ আল মাজিদ খান সিদ্দীকী মামুন বলেন, “শান্তির ধর্ম ইসলামে আর্ত-মানবতার সেবা এবং জ্ঞানার্জন-উভয়ের প্রতিই অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইসলামের মহান বাণী সর্ব-সাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের অসহায় ও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত। মহান এই দায়িত্বটি পালনে সহায়তা করার জন্য ‘চুনতি সমিতি ঢাকা’-কে অসংখ্য ধন্যবাদ।“

এ প্রসঙ্গে ‘চুনতি সমিতি ঢাকা’-এর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ খান বলেন, “আমাদের এই সমিতির মাধ্যমে আমরা ২০১৪ সাল থেকে দরিদ্র মেধাবীদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর দরিদ্র মেধাবী প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি হিসেবে প্রায় ৭ লাখ টাকা বিতরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আমাদের এই উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সাহায্য করায় মুসলিম রিসার্চ সেন্টারের প্রতি আন্তরিকভাবেই কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।“

উল্লেখ্য যে, চুনতি সমিতি, ঢাকা’র এই শিক্ষাবৃত্তির জন্য নবম শ্রেণী থেকে শুরু করে আরও উপরের শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পাবে। চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার অন্তর্গত চুনতি ইউনিয়নের যেসব শিক্ষার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে, তারা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকার যেসব শিক্ষার্থীরা চুনতি ইউনিয়নে অবস্থিত ৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে, তারাও আবেদন করতে পারবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

দুর্নীতি মামলায় মীর নাছির কারাগারে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এ তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এরপর বিচারক এসএম রুহুল ইমরান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই মামলায় তিন বছর দণ্ডপ্রাপ্ত তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গত ২৭ অক্টোবর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তিনিও কারাগারে আছেন। এর আগে ওয়ান-ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধসম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাছির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।ওই বছরের ৪ জুলাই বিশেষ জজ আদালত মীর নাছির উদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে পৃথক দুটি আপিল আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাছিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন।

হাইকোর্টের এ রায় বাতিল চেয়ে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টেই শুনানি ও বিচার করার নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হয়।

শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। রায়ে বাবা-ছেলেকে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা বহাল রাখা হয়। একইসঙ্গে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেন আদালত। এ বছরের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই রায় প্রকাশ পায়। বিডি-প্রতিদিন