- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত

নিউজ ডেক্স : কুষ্টিয়ায় ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের এগারোমাইল লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

jagonews24

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান রতন দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পাবনা থেকে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে যশোর যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। পথে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের এগারোমাইল লক্ষ্মীপুর এলাকায় পৌঁছালে কুষ্টিয়া অভিমুখে আসা বিএডিসির একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ পাঁচজন নিহত হন। একজন গুরুতর আহত হন। দুমড়ে-মুচড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সটি।

jagonews24

ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। চালক ছাড়া হতাহতরা সবাই প্রতিবন্ধী। জাগো নিউজ

এমএলএম ব্যবসা, এসপিসি হাতিয়ে নিয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : ই-কমার্স ব্যবসার নামে মাত্র ১০ মাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ‘এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস’ নামে একটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি। প্রতারণায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ডেসটিনির মতো ‘পিরামিড’ পদ্ধতিতে লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২২ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে তারা।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যানুসন্ধানের পর এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি বিশেষ দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের এমডি ও সিইও আলামিন প্রধান, নির্বাহী অফিসার মো. জসীম, ম্যানেজার মো. মানিক মিয়া, ম্যানেজার (প্রোডাকশন) মো. তানভীর আহম্মেদ, সহকারী ম্যানেজার (প্রোডাকশন) মো. পাভেল সরকার ও অফিস সহকারী নাদিম মো. ইয়াসির উল্লাহ।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

jagonews24

তিনি বলেন, ‘এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস’ নামের লাইসেন্সবিহীন কোম্পানিটি ই-কমার্সের নামে অনলাইনভিত্তিক মাল্টিলেভেল মার্কেটিং করে সাধারণ মানুষকে অধিক কমিশনের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন তথ্য পাওয়ার পর গত ২৬ অক্টোবর রাজধানীর কলাবাগান এফ হক টাওয়ারে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অভিযানের পর কলাবাগান থানায় একটি মামলা হয়।

মামলায় আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে থাকা গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার চক্রটির মূলহোতা আলামিন প্রধান ও নির্বাহী অফিসার জসীমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি হ্যারিয়ার গাড়ি, দুটি পিকআপভ্যান, সার্ভারে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, রাউটার, দুটি পাসপোর্ট ও কোম্পানির বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

কোম্পানিটির উত্থান ও কার্যক্রম সম্পর্কে হাফিজ আক্তার বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ই-কমার্সের লাইসেন্স নিয়ে যাত্রা শুরু করে তারা। প্রতিষ্ঠানটির এমডি ও সিইও আলামিন প্রধান একসময় ডেসটিনিতে সক্রিয় ছিলেন। ডেসটিনি বন্ধ হয়ে গেলে দীর্ঘদিন গবেষণা করে ডেসটিনির ব্যবসা পদ্ধতি অনুসরণ করে এই অনলাইনভিত্তিক প্রতারণা শুরু করেন তিনি। ১০ মাসে তারা সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগে উচ্চকমিশনের প্রলোভন দেখিয়ে ২২ লাখ ২৪ হাজার ৬৬৮ জন সদস্যের কাছ থেকে ২৬৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি বলেন, তাদের ব্যবসা কার্যক্রম অনলাইন আ্যপভিত্তিক হওয়ায় বাংলাদেশের বাইরেও ১৭টি দেশে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীর পাশাপাশি প্রায় পাঁচ লাখ বিদেশি সদস্য রয়েছেন।

jagonews24

যেভবে প্রতারণা করতো তারা

http://main.spcworldexpress.com, ঠিকানার ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে শত শত পোস্টের মাধ্যমে ই-কমার্সের কথা বলে উচ্চমাত্রার কমিশনের লোভ দেখিয়ে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। আগ্রহীরা গুগল প্লে-স্টোর থেকে একটি মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন করে। রেজিস্ট্রেশনের সময় বাধ্যতামূলকভাবে আপলিংক আইডির রেফারেন্সে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট (বিকাশ, নগদ, রকেট) নম্বরে প্রতি আইডির জন্য ১২০০ টাকা করে দিতে হতো। গ্রাহকদের দেখানো হতো রেফার কমিশন, জেনারেশন কমিশন, রয়্যাল কমিশনের প্রলোভন।

পিরামিড আকৃতির রেফার কমিশন

এক্ষেত্রেও অবলম্বন করা হতো ডেসটিনির পদ্ধতি। রেফার করা ব্যক্তি তার নিচের তিনটি আইডি থেকে ৪০০ টাকা করে কমিশন লাভ করবে। এরপর ওই তিনটি আইডি থেকে যখন ৩x৩=৯ আইডি হবে তখন আপলিংকের আইডি ২০ শতাংশ কমিশন পাবে। এরপর ডাউনলিংকের যত আইডি হবে তার আইডি ১০ শতাংশ হারে কমিশন পাবে। যা মূলত পিরামিড আকৃতির হয়ে থাকে। এ ধরনের ব্যবসা দেশের আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এলএমএল ব্যবসা আড়াল করার কৌশল

প্রতিষ্ঠানটি নামমাত্র কয়েকটি পণ্য যেমন- অ্যালোভেরা শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ, চাল, ডাল, মরিচের গুঁড়া ইত্যাদি শুধু তাদের রেজিস্টার্ড সদস্যদের কাছে বিক্রি করতেন। তার লভ্যাংশ থেকে প্রতি আইডি হোল্ডারকে কোম্পানির বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে ১০ টাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা। অভিযুক্তরা ই-কমার্সের লাইসেন্স দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের ‘বিশ্বাসযোগ্য’ হিসেবে উপস্থাপন করতেন। জাগো নিউজ

১৫ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার ‘চিন্তাভাবনা’

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলতে চিন্তাভাবনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মৌলিক সক্ষমতা তৈরিতে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। বিদ্যালয় খোলা গেলে ওই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও নতুন করে আরও ১৪ দিন ছুটি বাড়ানোয় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ)। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরিতে এ সিলেবাসটি তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে সেটি কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। আর যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তবে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণিসহ সকল ক্লাসের সনদ বিতরণ করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেপের মহাপরিচালক মো. শাহ আলম মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বলেন, নতুন করে আমরা ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকের প্রতিটি ক্লাসের সকল বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে নতুন করে এ সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। নতুন সিলেবাসটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসটি বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে যে কদিন সময় পাওয়া যাবে সে কদিন পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে নেয়া হবে।

তিনি মঙ্গলবার তার নিজ কার্যালয়ে বলেন, আমরা ৩০ দিনের ও ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে শিক্ষার্থীদের সেটি পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো। অবশ্য আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। জাগো নিউজ

আরেকটি চমৎকার বিজয়ের পথে এগোচ্ছি : ট্রাম্প

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকার ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে জল্পনা মার্কিন মুলুক ছাপিয়ে সারা বিশ্বেই বিরাজ করছে। নির্বাচনে অধিকাংশ সমীক্ষায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এগিয়ে। এতোটাই এগিয়ে যে ২০০৮ সালের পর আর কোনো প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে এতোটা শক্তিশালী দেখায়নি।

তবে সমীক্ষাকে পাত্তা না দিয়ে নিজের আরেকটি চমৎকার বিজয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার দেশজুড়ে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে পুনর্নির্বাচনের প্রচারে শেষ মুহূর্তে এসে এমন মন্তব্য করেন তিনি।মিশিগানের গ্রান্ড র‌্যাপিডসে জনসমাবেশে তিনি বলেন, আমরা আরেকটি চমৎকার বিজয়ের পথে এগোচ্ছি। আবারও আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি।

২০১৬ সালের নির্বাচনেও একই স্থানে শেষ সমাবেশটি করেছিলেন তিনি। ওই নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে চিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনে পরাজিত হলে তিনি রায় মেনে নাও নিতে পারেন। প্রয়োজনে যেতে পারেন উচ্চ আদালতে। এ জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছেন। বিডি-প্রতিদিন

বিশ্বনবীর অপমান সইবে না মুসলমান

Posted By admin On In উন্মুক্ত পাতা,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম : কী লিখি, পীর হাবিব আমার খুবই প্রিয়। যা সত্য বলে মনে করে, তা-ই কলমের ডগায় তুলে ধরে। সেই পীর হাবিবের বাড়িতে আক্রমণ, হামলা- এর নিন্দার ভাষা নেই। সরকারকে বলব, বিষয়গুলোকে বেশি বাড়তে দেবেন না। কারও লেখা পছন্দ না হতে পারে, কিন্তু কলম জাপটে ধরা ভালো নয়। কলম সৈনিকদের সম্মান দিন, নিরাপত্তা দিন।

রসুলে করিম (সা.)-এর মাধ্যমে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রবর্তনের পর থেকেই প্রিয় নবী (সা.) ও ইসলামের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। সর্বশেষ রসুল (সা.)-কে নিয়ে ফ্রান্সের এক অমানুষের চরম ব্যঙ্গ। মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে লয়-তাল রেখে তীব্র নিন্দায় বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। গত শনিবার টাঙ্গাইল ইমাম সমিতির আহ্বানে এক প্রতিবাদ মিছিল ছিল। আত্মিক তাগিদেই সে মিছিলে শরিক হয়েছিলাম। প্রায় ৩-সাড়ে ৩ কিলোমিটার চলেছি। মিছিল শেষে শহীদ মিনারে প্রায় এক ঘণ্টা তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন কোনো দিন ছিল না, ২৪ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার হাঁটিনি। পাকিস্তানি হানাদাররা আমার সঙ্গে হেঁটে পারেনি বলে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েছে। কিন্তু ৩-সাড়ে ৩ কিলোমিটার মিছিলের সঙ্গে চলে উপলব্ধি করেছি, আগের সেই সামর্থ্য নেই। মনে হয় ছয়-সাত বছর পর টাঙ্গাইল জামে মসজিদের সামনে গিয়েছিলাম। রসুলে করিম (সা.)-এর অবমাননায় এমনিতেই বুক ভারী ছিল। তার ওপর বাদশাহি আমলের মসজিদ ধসিয়ে বিশাল কমপ্লেক্স করায় ভীষণ ব্যথিত হয়েছি। আগে ভাঙা মসজিদ জুমা ঘরে আল্লাহ ছিল, ইবাদত-বন্দেগি ছিল। কিন্তু এখন অনেক মসজিদই ঝকঝকে তকতকে মারবেল পাথরে মোড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, কিন্তু দরজায় তালা। সব সময় মসজিদে মানুষের আশ্রয় নেই। আল্লাহর ঘর চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে মস্তবড় তালা! আতিয়া মসজিদ হয়েছিল বাদশাহ শাহজাহানের আমলে। তারপর টাঙ্গাইল জামে মসজিদ। চার-সাড়ে চার শ বছরের সেই মসজিদের লেশমাত্র নেই। যখন ভাঙা হবে বা কমপ্লেক্স করা হবে তখন পূর্তমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও অন্যদের চিঠি দিয়েছিলাম পুরনো স্মৃতি ধরে রাখতে। বাদশাহি আমলের মূল মসজিদ রেখে সহজেই কমপ্লেক্স করা যেত। কিন্তু এখন মূল উদ্দেশ্য আল্লাহ-রসুল নয়, ধর্মকর্ম নয়- মূল উদ্দেশ্য মসজিদের নামে ব্যবসা। টাঙ্গাইল মসজিদও তার ব্যতিক্রম নয়। ১০-১২ তলা মসজিদ কমপ্লেক্স দুই-তিন তলায় নামাজ-কালাম, বাকি সবটাই হাটবাজার। বই-পুস্তকে পড়েছি, মসজিদ আল্লাহর ঘর, হাটবাজার শয়তানের বাসা। এখন মসজিদের চাইতে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাটই আসল। টাঙ্গাইল মসজিদ কমপ্লেক্সেও শত শত দোকান ভাড়া বা লিজ দেওয়া হয়েছে। কয়েক লাখ স্কয়ার ফুটের ১০-১৫-২০ হাজার স্কয়ার ফুট মসজিদের জায়গা বা নামাজ-কালাম পড়ার জন্য, বাকি সবই জাগতিক কর্মকান্ডে ব্যবহার। টাঙ্গাইল পুরনো ফৌজদারির পাশেও ঠিক তেমনি একটি মসজিদ ভেঙে আধুনিক করা হয়েছে। আতিয়া থেকে যখন টাঙ্গাইল মহকুমা শহর স্থানান্তরিত হয় তখন পার্কের পুকুরের পাশে মসজিদটি করা হয়েছিল। সেখানেও মসজিদের পশ্চিম পাশ দিয়ে দোকান করা হয়েছে। কাবাকে উদ্দেশ করে সালাম দেওয়ারও জায়গা নেই, সিজদা দেওয়ারও জায়গা নেই। এ মসজিদের জন্যও সদরের এমপিকে বলেছিলাম, জেলা প্রশাসককে বলেছিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কারণ এখন মানুষের নয়, শয়তানের জোর বেশি।

নবী (সা.)-এর অবমাননার প্রতিবাদে টাঙ্গাইল ইমাম সমিতির বিক্ষোভ মিছিলে লেখক

ইমাম সমিতির আহ্বানে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নিয়ে খুবই ভালো লেগেছে। উচ্ছৃঙ্খল জমানায়ও শৃঙ্খলার স্বাদ পেয়েছি। টাঙ্গাইল জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মওলানা শামসুজ্জামানের সঙ্গে হাঁটছিলাম। কেউ তেমন ধাক্কাধাক্কি করেনি। মিছিল শেষে সমবেত মুসল্লি এবং জনতাকে বলেছি, এ প্রতিবাদ যথার্থ। একজন মুসলমান হিসেবে একজন মানুষ হিসেবে আত্মিক তাগিদে বিশ্বনবী আহমদ মোস্তফা মোহাম্মদ মোস্তফার অবমাননার প্রতিবাদে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত হতে এসেছি। এখানে বক্তৃতা করতে আসিনি। সারা জীবন বক্তৃতা করেছি। তবে ইমাম-মাশায়েখদের বলছি, মাওলানা-মাশায়েখদের সব আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে শুধু সাধারণ মানুষের কাছে না যাওয়ার কারণে। কিছু মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানার লোক নিয়ে ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবার’ সেøাগান দিয়ে দায় সারার চেষ্টা করবেন না। এভাবে চলবে না, জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে কত বড় গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তাদের ১৩ দফার সঙ্গে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত ছিল না। তাই সে আন্দোলন মাঠে মারা গেছে। হেফাজতের ১৩ দফা নয়, মানুষ ছিল এক দফায় সম্পৃক্ত- ইসলাম এবং রসুল (সা.)-এর অবমাননার প্রতিবাদ-প্রতিরোধে। তবে যাই হোক, ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে এমন ছেলেখেলা চলতে পারে না। সত্যিই এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত। ফ্রান্সের পণ্য বর্জন অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ। সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে ফ্রান্সের এসব কর্মকান্ডের নিন্দা করুন। ফ্রান্স ক্ষমাপ্রার্থনা না করলে প্রয়োজনে ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। গতকাল টাঙ্গাইলে কওমি মাদ্রাসার পক্ষ থেকে এক চমৎকার বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে, যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। ব্যাপারটি নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না। ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে।

লিখতে চেয়েছিলাম হাজী মো. সেলিমকে নিয়ে। সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম এই তো সেদিন বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে এসেছিলেন। তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, জমি দখল, অত্যাচার, নির্যাতন সবার জানা। মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের মতো একজন নিবেদিত আওয়ামী লীগারকে বঞ্চিত করে কেন কীভাবে হাজী মো. সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হলো? হাজী মো. সেলিম কি খুবই জনপ্রিয় ছিলেন? মোটেই না। সরকারি মদদে সন্ত্রাসী দিয়ে ভোট ডাকাতি করে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে পরাজিত করেছেন- এ কি সরকার জানত না? সরকারের গোয়েন্দারা কি জানত না? অবশ্যই জানত। পাপে ছাড়ে না বাপেরে। তাকে আল্লাহ ধরেছেন। আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর। আল্লাহ ধরলে এমনই হয়। আমরা কত কিছু করলাম। কিছুই না হোক বাংলাদেশের সৃষ্টির বেদনায় সামান্য হলেও জড়িয়ে ছিলাম। আমরা ২-৪-৫-১০ কোটি টাকার কথা ভাবতে পারি না এদের হাজার হাজার কোটি! ব্যাংকের জমি, রেলের জমি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি, সাধারণ মানুষের জমি দখলের কোনো প্রতিকার নেই। হাজী সেলিম এবং তার ছেলে বহিষ্কৃত সিটি কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের কত টাকা দরকার? কী হবে এত টাকা দিয়ে সম্মান আর শান্তিই যদি না থাকে।

ছোটবেলায় শুনতাম মুরব্বিরা বলতেন, ‘বেশি বাড়িও না ঝড়েতে ভাঙবে মাথা, বেশি ছোট হইও না ছাগলে খাবে পাতা।’ কথাগুলো যে কতটা নির্মম সত্য এখন প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি। দুর্নীতিবাজ যত বড়ই হোক একদিন না একদিন তাকে ধরা পড়তেই হবে। কী হলো ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে শত শত বিঘা জমি দখল করে? কী হলো কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাট চুরি-চামারি করে? জনাব হাজী সেলিম জীবিত থাকতেই কথা বলতে পারেন না। সম্রাট শাহজাহানের মতো গৃহবন্দী। ইরফান সেলিমের দাপটে সবাই দিশাহারা। নৌবাহিনীর এক লেফটেন্যান্টকে নাজেহাল এবং নির্মম নির্যাতন করার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তার সাঙ্গোপাঙ্গরা এখন সব দোষ নিজেদের ঘাড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তা করলে কী হবে? পাপ কখনো চাপা থাকে না। ঘরে শান্তি না থাকলে কার জন্য এসব লুটপাট? কার জন্য চুরি-চামারি? এসবের কিছুই কেউ কবরে নিয়ে যেতে পারবে না। খালি হাতেই যেতে হবে। তাই বলছি, সময় থাকতে সাবধান! কোনো লাভ নেই। শাহেদ-সাবরিনা করোনায় জালিয়াতি করে নিজেদের জীবন খুব একটা সুখময় করতে পারেননি। অর্থবিত্ত দিয়ে সাময়িক প্রতিপত্তি দেখানো যেতে পারে; কিন্তু কিছুই হয় না। নকলের ওপর শক্ত ইমারত গড়া যায় না- সে যেই করুন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষয়ক্ষতি গায়ে লাগে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে অনেক আশা নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট করেছিলেন। কত সম্পত্তি দিয়েছিলেন তার লেখাজোখা নেই। এখন যার বাজারমূল্য কয়েক লাখ কোটি টাকার ওপরে। আসল আর বাড়েনি। বরং সবই লুটেপুটে খেয়েছে, এখনো খাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মতো আর কোথাও মুক্তিযোদ্ধারা অত অবহেলিত হন না। কমবেশি সব জায়গাতেই মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান, সহানুভূতি পান। কিন্তু কল্যাণ ট্রাস্টের কেরানি, পিয়ন থেকে শুরু করে প্রায় সবাই মুক্তিযোদ্ধাদের অবহেলা করেন। কোথায় যেন শুনেছিলাম, ‘কার কপালে খাওরে বান্দি মনিব চিন না। খাইটা মরে হাইলার চাষা সুরির ঘরে লক্ষ্মীর বাসা।’ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট। সেই কল্যাণ ট্রাস্টের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘স্যার’ বলতে হয়। ট্রাস্টের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধাদের সালাম দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। কল্যাণ ট্রাস্টের কত সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। ইত্তেফাকের পাশে বিশাল হরদেও গ্লাস ফ্যাক্টরি লুটেরারা নিয়ে গেছে। বাংলাদেশ কোকাকোলা ছিল কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পদ। একেবারে পানির দাম ধরলেও কয়েক হাজার কোটি টাকা তার খবর নেই। একসময় এক নামে চেনা গুলিস্তান সিনেমা হল। তার পাশে নাজ কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি। ’৯৬-এ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বহুতল ভবনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে অনুযায়ী কাজও হয়েছে কিছুটা। ভবন হবে ২০ তলা। ৮-১০ তলা করে নির্মাণ সংস্থা দখল করে বসে আছে।

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান শাজাহান খান, সদস্য মাননীয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, রাজিউদ্দীন আহমেদ, মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, এ কে এম রহমত উল্লাহ, ওয়ারেসাত হুসাইন বেলাল, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ। সবাই এমপি। যে কমিটিতে মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম সেই কমিটিতে শাজাহান খান সভাপতি হন কী করে? আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, রাজিউদ্দীন আহমেদ শাজাহান খানের দাদুর থেকেও বয়োজ্যেষ্ঠ। তার পরও কী করে মুক্তিযুদ্ধাবিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান জনাব শাজাহান খান? জাসদ অনেকেই করেছেন, কিন্তু গণবাহিনী সবাই করেননি। জনাব শাজাহান খান গণবাহিনীর প্রধানদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন। অথচ তিনি আমার বোনের সময় দাপটে আওয়ামী লীগ করে গেলেন। ঠিক বুঝতে পারলাম না তার খুঁটির জোর কোথায়। গুলিস্তান ভবন নিয়ে এখন চলছে শকুনের টানাটানি। ভবনের ৮০ ভাগ নির্মাতাদের সঙ্গে ভাগ করে কেউ কেউ লুটে নিতে চাচ্ছেন। মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম প্রতিবাদ করলেও অনেকের সঙ্গে নাকি পেরে উঠছেন না। জাতির জন্য দুর্ভাগ্য মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোনো সম্মান কোনো সুস্থিতি এলো না। স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সব মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানি ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। তারপর খেতাবপ্রাপ্তদের জন্যও সম্মানির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কয়েক বছর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত এবং খেতাবপ্রাপ্ত তিন পদেরই ভাতা পেয়েছি। মাঝখানে এক রাজাকার সন্তান হুট করে এক চিঠি দিলেন- মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত এবং খেতাবপ্রাপ্ত এ তিন পদের যেটায় সর্বোচ্চ ভাতা একজন মুক্তিযোদ্ধা শুধু সেই একটাই পাবেন। কী দুর্ভাগ্য! আমি খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত, মুক্তিযোদ্ধা। সরকারি সম্মান খেতাবপ্রাপ্ত বীরউত্তমের ভাতা পাই না। যেহেতু যুদ্ধাহতের ভাতার পরিমাণ বেশি সেহেতু শুধু যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাই। সারা জীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। এই শেষ বয়সে এসে অনেকটাই বিরক্ত লাগে। কারণ কোনো প্রতিকার নেই। যেহেতু রাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা ভাতা দেয় সেহেতু আমি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাওয়ার যোগ্য। আল্লাহর মেহেরবানিতে যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বেসামরিক ব্যক্তি হিসেবে সর্বোচ্চ সাহসিকতা পদক বীরউত্তম খেতাব পেয়েছি। রাষ্ট্র খেতাবপ্রাপ্তদের সম্মানি দিচ্ছে বা দেয় সেটা অবশ্যই আমার প্রাপ্য। যুদ্ধ করতে করতে আহত হয়েছিলাম। রাষ্ট্রে যুদ্ধে আহত ভাতার বিধান আছে। সে ভাতা আমার পাওয়ার কথা। মুক্তিযোদ্ধা এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার চাইতে যেহেতু যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বেশি সেহেতু আমি শুধু যুদ্ধাহতের ভাতা পাই। রাষ্ট্র আমাকে খেতাবপ্রাপ্তের ভাতা এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বরাদ্দ করলেও রাজাকার পুত্রের এক কলমের খোঁচায় আমার মতো কতজন যে এ ভাতা থেকে বঞ্চিত তা শুধু আল্লাহই জানেন। জানি না কোথায় এর  প্রতিকার পাব। লেখক : রাজনীতিক। www.ksjleague.com

আমেরিকায় ভোটগ্রহণ শুরু, যে গ্রামে একটি ভোটও পাননি ট্রাম্প

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : শুরু হল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নিউ হ্যাম্পশায়ারের ডিক্সভিলে নচ গ্রামের মানুষজন মঙ্গলবার স্থানীয় সময় প্রথম প্রহরে ভোট প্রদান করেন। খবর সিএনএন [1],  এএফপি ও বিজনেস ইসাইডারের [2]

কয়েক মিনিটের মধ্যে ভোটগুলো গণনাও করা হয়েছে। পাঁচটি ভোটের সবগুলো পেয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। সেখানে একটি ভোটও পাননি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।তবে এ কেন্দ্রের ফলের সঙ্গে সব সময় রাজ্যে কারা সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে যাচ্ছে কিংবা কে হতে যাচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট, তার আভাস পাওয়া যায় না। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এ কেন্দ্রে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন জিতেও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।

সবার আগে ভোট হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট গ্রামীণ শহরটি কানাডার সীমান্ত ঘেঁষা। এখানকার বাসিন্দারা ‘ঐতিহ্যগতভাবে’ ১৯৬০ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবার আগে ভোট দিয়ে আসছেন।

ডিক্সভিলে নচের পার্শ্ববর্তী মিলসফিল্ডেও রাতে ভোট শুরু হয়েছে। তবে একই ঐতিহ্য অনুসরণ করে আসা এই এলাকার তৃতীয় আরেকটি গ্রামে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার রাতের সময়ে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে।

জনশক্তি রপ্তানিতে ধস, নতুন ভিসায় চট্টগ্রাম থেকে সাত মাসে বিদেশ গেছেন মাত্র ৬১ জন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম থেকে সাত মাসে মাত্র ৬১ জন মানুষ নতুন ভিসায় চাকরি করতে বিদেশে গেছেন। অথচ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই সময়ে অন্তত ২৫ হাজার মানুষ বিদেশ যাওয়ার কথা। জনশক্তি রপ্তানির নজিরবিহীন এই ধসে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত শ্রমবাজারে বড় ধরনের ধসের আশংকা করা হচ্ছে।

অপরদিকে বিদেশ থেকে দেশে ছুটিতে আসা এক লাখেরও বেশি মানুষ আটকা পড়েছেন। এছাড়া চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন কয়েক হাজার মানুষ। সবকিছু মিলে কঠিন এক পরিস্থিতিতে পড়েছে দেশের জনশক্তি রপ্তানি খাত। ফলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র বলছে, দেশের এক কোটিরও বেশি মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন। চাকরি ও ব্যবসা বাণিজ্য করে প্রবাসী এই বিপুল জনগোষ্ঠী বছরে গড়ে দেড় হাজার কোটি ডলারের মতো দেশে পাঠান। রেমিটেন্স হিসেবে পাঠানো এই অর্থের একটি অংশ হুন্ডির মাধ্যমে আসলেও বেশির ভাগই আসে ব্যাংকিং চ্যানেলে। রেমিটেন্স অর্জনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম বৃহৎ দেশ। বিদেশ থেকে আসা এই বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত তৈরি করে। অতীতে বিভিন্ন সময় বিশ্বমন্দাসহ নানাভাবে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও শুধুমাত্র রেমিটেন্স প্রবাহ ঠিক থাকায় বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েনি। কিন্তু করোনাকালে সেই রেমিটেন্স প্রবাহে বড় ধরনের হোঁচট খাওয়ার শংকা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বিদেশে শ্রমবাজার ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে। এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠা না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৫৯টি দেশে জনশক্তি রপ্তানি হয়। নানাভাবে নানা পন্থায় এদেশের মানুষ চাকরি ও ব্যবসা করতে বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। সৌদি আরবে ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি বসবাস করেন। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, আবুধাবী ও শারজাহসহ বিভিন্ন প্রদেশে বসবাস করেন ১০ লাখের মতো বাংলাদেশি। এর বাইরে কুয়েত, কাতার ও ওমানে আরো অন্তত ১৫ লাখ বাংলাদেশী চাকরি ও ব্যবসা বাণিজ্য করেন। প্রবাসী বাংলাদেশীরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদেরও একে একে বিদেশ নিয়ে যান। ভিসা বিক্রি করে তারা নানা শ্রেণি-পেশার লোকজনকে বিদেশ নেন।

চট্টগ্রাম থেকে প্রতি মাসে গড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন ভিসা নিয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যান বলে জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসেব থেকে জানা গেছে। ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম থেকে নতুন ভিসায় কাজ করতে গেছেন ৩৩ হাজার ৪৬৪ জন মানুষ। কিন্তু ২০২০ সালে করোনার কারণে জনশক্তি রপ্তানিতে নজিরবিহীন ধস নামে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে ৬১ জন মানুষ নতুন ভিসায় বিদেশ গেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম থেকে কর্মসূত্রে নতুন ভিসা নিয়ে বিদেশ যান মাত্র ছয় জন। মে ও জুন মাসে কাজ করার জন্য কেউ বিদেশ যাননি। জুলাই মাসে একজন, আগস্ট মাসে তিনজন, সেপ্টেম্বরে একজন এবং অক্টোবর মাসে ৫০ জন বিদেশ গেছেন। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন সংকটে জনশক্তি রপ্তানিতে এই ধস নেমেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

অথচ স্বাভাবিক সময়ে প্রতি মাসে চট্টগ্রাম থেকে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ কর্মসূত্রে নতুন ভিসা নিয়ে কাজে যান বলে উল্লেখ করে জনশক্তি অফিসের ওই এক কর্মকর্তা বলেন, জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম থেকে নতুন ভিসায় তিন হাজার ৫৬৩ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন হাজার ১৫০ এবং মার্চ মাসে তিন হাজার ৯৩ জন চাকরির জন্য মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন। ২৬ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন শুরু এবং বিশ্বব্যাপী করোনার ভয়াল থাবায় জনশক্তি রপ্তানিতে ধস নামে। শুধু চট্টগ্রামই নয়, সারা দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক বলে উল্লেখ করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, এই বছর সাড়ে সাত লাখ মানুষের বিদেশে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ধরা হলেও কোভিড-১৯ এর কারণে মাত্র দুই লাখের কিছু বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। করোনার জন্য বিদেশ যাওয়া অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় মানুষ বিদেশ যেতে পারেননি। করোনা বিদেশেও নানা সংকট তৈরি করেছে। সবকিছু মিলে চলতি বছরের শুরুতে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী হয়ে উঠেছিলাম। করোনা মহামারি আমাদের সেই আশা ভেঙে দিয়েছে। জনশক্তি রপ্তানি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকার কথা স্বীকার করে পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত বলেও জানান তিনি।

জনশক্তি রপ্তানির নজিরবিহীন এই ধস রেমিটেন্স প্রবাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি করবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখন রেমিটেন্স কিছুটা বেড়েছে। বিশেষ করে হুন্ডি বন্ধ হওয়া এবং দুই শতাংশ প্রনোদনার কারণে রেমিটেন্সে প্রভাব পড়েছে। আবার যারা একবারেই চলে এসেছেন তারাও বিদেশ থেকে তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসেছেন। এটিও রেমিটেন্সে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু ৭ মাসে ৬১ জনের কাজে যাওয়ার পরিস্থিতি পুরো সেক্টরকেই বড় ধরনের ধাক্কা দেবে। এই ধাক্কার জন্য তিনি সরকারকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকারও পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুবই খারাপ। করোনার সেকেন্ড ওয়েভ পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে দিতে পারে। দৈনিক আজাদী

আজ জেল হত্যা দিবস

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : জেলহত্যা দিবস আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর জাতির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায়। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এর আগে ১৫ আগস্টের পর এই চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠনের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে পালন করবে শোকাবহ এই দিনটি।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করেন। এ কাজের জন্য তারা আগে ভাগে একটি ঘাতক দলও গঠন করে। এ দলের প্রধান ছিল রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন। সে ছিল ফারুকের সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার। ১৫ আগস্ট শেখ মনির বাসভবনে যে ঘাতক দলটি হত্যাযজ্ঞ চালায় সেই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলেহ উদ্দিন। সাংবাদিক অ্যান্থ’নী মাসকারেনহাস তাঁর ‘বাংলাদেশ অ্যা লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরপরেই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি এমনভাবে নেয়া হয়েছিল পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটার সাথে সাথে যাতে আপনা আপনি এটি কার্যকর হয়। আর এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ঘাতক দলও গঠন করা হয়। এই ঘাতক দলের প্রতি নির্দেশ ছিল পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটার সাথে সাথে কোন নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করবে। পচাঁত্তরের ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটানোর পরেই কেন্দ্রীয় কারাগারে এই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাতির জনককে তাঁর ঐতিহাসিক ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামেও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।