- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়ায় ৫ গরু চোরকে আটক করে পুলিশে দিল জনতা

আটক ৫ গরু চোরের মধ্যে ৩ জন। অন্য ২ জন কিশোর।

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে ২ কিশোরসহ ৫ গরু চোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত রোববার বিকেলে ইউনিয়নের কুমুদিয়া পাড়া থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় একইদিন রাতে ইউনিয়নের কালু সিকদার পাড়ার আবুল কাসেম বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

আটকরা হল উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের বনপুকুর কালু সিকদার পাড়ার মৃত আশরাফ মিয়ার পুত্র আজাদ (১৬), চুনতি মৌলানা পাড়ার মোহাম্মদ আলমগীরের পুত্র সাকিবুল ইসলাম (১৬), চুনতি রহমানিয়া পাড়ার আবুল হাসেম প্রকাশ গুইট্যা হাসেমের পুত্র শওকত প্রকাশ বাবু (১৮), একই এলাকার আবদুস শুক্কুর প্রকাশ শুক্কুর মেস্ত্রীর পুত্র মো. শাহজাহান (১৮) ও গুরা মিয়ার পুত্র মো. রফিক প্রকাশ সোনা রফিক (৩৫)।

পুলিশ জানায়, আটকরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে গরু চুরি করে আসছিল। গরু চুরি রোধকল্পে পাহারা জোরদার করেন এলাকাবাসী। ঘটনারদিন আটকদের চলাফেরা সন্দেহজনক হলে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয়রা। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।

লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ত আরো ৪ জনের নাম উল্লেখ করেছে। তাদেরও আটক করতে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আটকরা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। সোমবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রাইভেটকারের তেলের ট্যাংকে মিলল ২০ হাজার ইয়াবা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় প্রাইভেটকারের তেলের ট্যাংকের ভিতর থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ দিপক দাশ (৩০) নামে পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফরেষ্ট রেঞ্জ কার্যালয়ের সামনে থেকে প্রাইভেটকারসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে কক্সবাজার জেলার পিএমখালী পশ্চিম সনখোলা এলাকার মৃত দিলীপ দাশের পুত্র।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রামমুখী একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশী করা হয়। এ সময় কারের তেলের ট্যাংকের ভিতর বিশেষ কায়দায় রাখা ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকা। জব্দ করা হয় প্রাইভেটকারটি। সে ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল।

লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের আল্টিমেটাম হেফাজতের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর পল্টনে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ প্লাজার সামনে সমাবেশ চলছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র। ফ্রান্সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা)-কে অবমাননার প্রতিবাদে এ সমাবেশের ডাক দেয় সংগঠনটি। আজ সোমবার সকাল ১১টায় শুরু হয় পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি।

এ প্রতিবাদ সমাবেশে ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন, রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার ও দূতাবাস বন্ধে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।এর আগে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন মোড় থেকে ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির মিছিল শুরু হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন হেফাজতের শীর্ষনেতা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

দুপুর পৌনে ১টার দিকে মিছিলটি বেইলি রোড়ের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেট দিয়ে আটকে দেয়। পরে হেফাজতের নেতারা সেখানে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। এখানে মুনাজাত করে ঘেরাও মিছিল সমাপ্ত করেন হেফাজতের ঢাকার শীর্ষনেতা নূর হোসেন কাশেমী। দলীয় সিদ্ধান্তে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি জানান। বিডি প্রতিদিন

রাতারগুলের সৌন্দর্য দেখতে দর্শনার্থীদের ফি দিতে হবে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশের একমাত্র সোয়াম্প ফরেস্ট রাতারগুল এলাকায় প্রবেশ, ভিডিও ধারণ ও নৌকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারকে ফি দিতে হবে। 

সিলেট বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন রাতারগুলে প্রবেশের ফি নির্ধারণ করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।সেখানে বলা হয়েছে, রাতারগুল বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশ ফি ৫০ টাকা, অপ্রাপ্তবয়স্ক (১২ বছরের নিচে) ও পরিচয়পত্র ধারী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ ফি ২৫ টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ ফি ৫০০ টাকা। প্রতিদিনের প্রতিদিনের ফিল্মমিং ফি (প্রতি ক্যামেরা) ১০ হাজার টাকা।

দেশি দর্শনার্থীদের প্রতিবার নৌকা (ইঞ্জিনবিহীন) ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা দিতে হবে। আর বিদেশিদের দিতে হবে এক হাজার টাকা।

এছাড়া বাস বা ট্রাকের প্রতিবারের পার্কিং ফি ২০০ টাকা। পিকআপ/জিপ/কার/মাইক্রোবাস পার্কিং ফি ১০০ টাকা এবং সিএনজি/মোটরসাইকেল পার্কিং ফি ২৫ টাকা দিতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে রাতারগুলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সীমিত ছিল। গতকাল রবিবার (১ নভেম্বর) থেকে তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। বিডি প্রতিদিন

চসিকের কাজে গতি সঞ্চারে প্রধানমন্ত্রী খুশি, সুজনকে বিপ্লব বড়ুয়া

Posted By admin On In বিজ্ঞপ্তি/বিজ্ঞাপন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সাথে গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যায় খুলশীতে তাঁর বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। সন্ধ্যায় প্রশাসক সুজন বিপ্লব বড়ুয়ার বাসবভনে পৌঁছলে তিনি তাকে অভ্যর্থনা জানান।

এ সময় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া চসিকের সার্বিক কার্যক্রমে গতি সঞ্চার হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনজর রয়েছে বলে চসিক প্রশাসককে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে রিজিওনাল কানেকটিভিটির সাথে সংযুক্ত করার সকল উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নগরীতে বিভিন্ন সেবা সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমও চলমান আছে। বিপ্লব বড়ুয়া আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের সফল বাস্তবায়ন হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে ঘুনধুম পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ দ্রুত শেষ হলে, তা মিয়ানমার দিয়ে কুনমিং পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান। এতে ভারতের সেভেন সিস্টার নেপাল, ভুটান, তিব্বত এবং আরো বেশ কিছু দেশের চট্টগ্রাম বন্দরের উপর নির্ভরশীলতা বাড়বে। এতে করে বন্দরের আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় আয়ের সিংহ দুয়ার উন্মোচিত হবে। বৃদ্ধি পাবে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে আন্তঃসম্পর্কীয় যোগাযোগ।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী চট্টগ্রামকে একটি অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রস্তুুত করতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াস রয়েছে বলে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে জানান। এসময় খোরশেদ আলম সুজন আগামীতে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের বিষয় উল্লেখ করে চট্টগ্রামকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এর অবকাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক ও কৌশলগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে ভূমিকা গ্রহণে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

চমেক হাসপাতালের সামনেই রাসায়নিক গুদাম

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পুরনো একটি ভবনের স্টোর রুমে দীর্ঘ সময় ধরে এসিড ও রাসায়নিকের মতো দাহ্য পদার্থ পড়ে আছে। কলেজের নতুন দশতলা একাডেমিক ভবনটির সাথে লাগোয়া পুরনো দোতলা একটি ভবন রয়েছে। চমেক হাসপাতালের সম্মুখ অংশে এ ভবনটি ফার্মাকোলজি ভবন নামেই পরিচিত। যা এখন জরাজীর্ণ ও অকেজো প্রায়। ভবনটির দোতলায় ফার্মাকোলজি বিভাগের স্টোর রুমে এসব দাহ্য পদার্থ তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। অবশ্য, ফার্মাকোলজি বিভাগটি বেশ কয় বছর আগে সেখান থেকে নতুন একাডেমিক ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে স্টোর রুমটি আগের মতোই তালাবদ্ধ রয়েছে। যার কারণে স্টোর রুমটিকে রাসায়নিকের ‘বিপজ্জনক’ গোডাউন হিসেবে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে সেখানে কি কি রাসায়নিক আছে এবং কি পরিমাণ আছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংশ্লিষ্টরা দিতে পারেননি। চমেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শামীম হাসান বলছেন, স্টোর রুমটিতে দাহ্য পদার্থ থাকতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। তবে কি কি রাসায়নিক বা কেমিক্যাল আছে এবং কি পরিমাণ আছে, তা এখনো জানতে পারিনি। যদিও স্টোর রুমে মজুদ থাকা রাসায়নিকের তালিকা চেয়ে রোববার (গতকাল) ফার্মাকোলজি বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ফার্মাকোলজি বিভাগের সংশ্লিষ্টরাই হয়ত ভালো বলতে পারবেন বলে জানান চমেক অধ্যক্ষ।

সুনির্দিষ্টভাবে বলতে না পারলেও স্টোর রুমটিতে এসিড, এলক্যালি ও রি-এজেন্টসহ বিভিন্ন রাসায়নিক (দাহ্য পদার্থ) থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চমেকের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। মেডিকেল কলেজের জন্মলগ্নে ফার্মাকোলজি বিভাগের ব্যবহারিক ও ল্যাবরেটরিতে ব্যবহারের জন্য এসব দাহ্য পদার্থ কেনা হয়ে থাকতে পারে জানিয়ে ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, তখন কেনা হলেও এসব দাহ্য পদার্থ হয়তো ব্যবহার হয়নি। যার কারণে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। এসব দাহ্য পদার্থ এখন বিপজ্জনক অবস্থায় থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে জরুরি ভিত্তিতে এসব দাহ্য পদার্থ সেখান থেকে অপসারণ করার পরামর্শ দিয়ে ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, নয়তো যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর পাশে হাসপাতাল থাকায় এ ধরনের দুর্ঘটনায় জান-মালের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৭ সালে। ফার্মাকোলজিসহ কয়েকটি বিভাগ নিয়ে কার্যক্রম চালু হয় চিকিৎসাবিদ্যার অন্যতম এ বিদ্যাপীঠের। মেডিকেল কলেজ যাত্রা শুরুর আগে থেকেই দুতলা ভবনটি ছিল সেখানে। যা হাসপাতালের কেবিন হিসেবে ব্যবহার হতো। পরে এই ভবনেই ফার্মাকোলজিসহ কয়েকটি বিভাগ নিয়ে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চালু হয়। সে-ই থেকে ভবনটি ফার্মাকোলজি ভবন নামেই পরিচিত। যদিও বিভাগটি এখন দশতলা নতুন একাডেমিক ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ফার্মাকোলজি বিভাগ ছাড়াও ভবনটিতে ফরেনসিক মেডিসিন, কমিউনিটি মেডিসিন ও ডেন্টালের আংশিক কার্যক্রম চালু ছিল। বর্তমানে সবকয়টি বিভাগ সেখান থেকে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে পুরনো এই ভবনের ২য় তলায় স্টোর রুমটির পাশাপাশি চিকিৎসকদের একটি লাইব্রেরি রয়েছে। আর নিচতলায় সাপের বিষ নিয়ে একটি গবেষণাগারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সন্ধানীর একটি অফিস রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন- দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকায় নিকট অতীতে কেউ ফার্মাকোলজির স্টোর রুমটির তালা খুলতে চেষ্টা করেনি। যদিও কত সাল থেকে রুমটি তালাবদ্ধ সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেন নি বিভাগ ও কলেজ সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন- রাসায়নিক বা দাহ্য পদার্থ থাকায় ওই স্টোর রুমটি অনেকটা আতঙ্কের রুম হিসেবে পরিচিত। যার কারণে কেউ এ পর্যন্ত রুমটিতে প্রবেশের কথা ভাবেনি। তালাও খুলতে চেষ্টা করেনি। যেভাবে ছিল, সেভাবেই আছে।

আনুমানিক স্বাধীনতার আগে থেকেই স্টোর রুমটিতে এসব দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকতে পারে বলে জানান ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। চমেকে’র সাবেক এই অধ্যক্ষ বলেন- ১৯৭৯ সালের দিকে আমরা যখন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলাম, তখনো এসব দাহ্য পদার্থ সেখানে মজুদ ছিল। সে হিসেবে বলতে পারি- স্বাধীনতার আগে থেকেই হয়তো এসব দাহ্য পদার্থ স্টোর রুমটিতে ছিল।

এসব দাহ্য পদার্থ ‘বিপদজনক’ অবস্থায় থাকতে পারে মন্তব্য করে জরুরি ভিত্তিতে এসব রাসায়নিক অপসারণের পরামর্শ ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের। তিনি বলেন, যেহেতু বিপদের আশঙ্কা আছে, সেহেতু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করে এসব দাহ্য পদার্থ অপসারণ করতে হবে। কারণ, যেন তেন ভাবে এসব দাহ্য পদার্থ অপসারণ করা যাবে না। তবে এসব দাহ্য পদার্থ যত দ্রুত অপসারণ করা যায়, ততই মঙ্গল বলেও মন্তব্য করেন ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

এদিকে, ফার্মাকোলজি বিভাগ থেকে স্টোর রুমটিতে মজুদ থাকা রাসায়নিক সংক্রান্ত তালিকা পাওয়ার পর এসব অপসারণে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শামীম হাসান। তিনি বলেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং চবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এসব দাহ্য পদার্থ অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। দৈনিক আজাদী