- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

কুতুপালং ক্যাম্পে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্রসহ ১৬ রোহিঙ্গা গ্রেফতার

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে সংঘর্ষের ঘটনায় অস্ত্রসহ ১৬ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (১০ অক্টোবর) উখিয়ার বালুখালী চেকপোস্ট ও সোনারপাড়া চেকপোস্টে অভিযানে এসব রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার পর গ্রেফতার এড়াতে পালাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন তারা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের এপিবিএন-১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মো. হেমায়েতুর রহমান।

হেমায়েতুর রহমান বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। তারা গ্রেফতারের ভয়ে ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, শনিবার সকালে ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় চারটি রামদাসহ চার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। সম্প্রতি কুতুপালং ক্যাম্পে সংঘটিত দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তারা জড়িত ছিলেন।

গ্রেফতাররা হলেন- জিয়াউর রহমান (৩০), মো. উসমান (৩০), সৈয়দ উল্লাহ (২৮) ও মো. রফিক (৩০)। তারা উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দা।

অপরদিকে শনিবার সকালে উখিয়ার সোনারপাড়া চেকপোস্টে তল্লাশিকালে ১২ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- এজাজুল হক (৬০), রহমত উল্লাহ (২৯), সোনা মিয়া (২১), রশিদ উল্লাহ (১৫), ইয়াছের (২১), উসমান (২১), ইসমাঈল (১৬), কবির আহম্মদ (৪০), সুলতান আহম্মেদ (৪০), আইয়ুব সালাম (২৫), আবুল কাশেম (১৮) ও মো. রফিক উল্লাহ (৩০)।

গ্রেফতার রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এপিবিএনের অধিনায়ক (এসপি) মো. হেমায়েতুর রহমান। জাগো নিউজ

আমার দেশে একজনও করোনায় আক্রান্ত হননি : কিম জং উন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : মহামারির মধ্যে বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে উত্তর কোরিয়া। শনিবারের সেই কুচকাওয়াজে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, তার দেশের একজন মানুষও এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হননি।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শনিবার ছুটির দিনে বৃহৎ পরিসরে সামরিক কুচকাওয়াজের এই আয়োজন করা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরের শেষে প্রতিবেশী চীনে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গোটা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে মহামারি করোনার সংক্রমণ। বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়ালেও কোনো উত্তর কোরিয়া সংক্রমণ নেই বলে দাবি তার।

সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই সামরিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য আয়োজিত বিশাল ওই সামরিক কুচকাওয়াজে কিম জং উন বলেন, ‘দেশে একজন ব্যক্তিও মহামারি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত না হওয়ায়’ তিনি কৃতজ্ঞ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকলেও উত্তর কোরিয়ায় কোনো সংক্রমণ নেই বলে পিয়ংইয়ংয়ের দাবি। সংক্রমণ রোধে অবশ্য গত জানুয়ারি থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে দেশটির সীমান্ত।

পিয়ংইয়ং বারবার বলেছে যে, দেশে কোনো করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়নি। তবে এর আগে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে বলে এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

তবে উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নেই—এমন দাবি বারবার করলেও দেশটির নেতা কিম জং–উনই আবার করোনার বিস্তার ঠেকাতে কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।

জানুয়ারিতে প্রতিবেশী চীনে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের পর পরই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। পরমাণবিক শক্তিধর এই দেশ সে সময়েই কঠোর নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আরোপ করে।

ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর : তথ্যমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নতি হয়েছে সেটি পৃথিবীর সামনে বড় উদাহরণ। আজকে যে ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো পূর্বে ঘটেনি তা নয়। আগেও ঘটতো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাপকতা ছিল না বিধায় সেগুলো মানুষ জানতে পারতো না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কোনো ঘটনাই ঢাকা থাকছে না। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি ভালো দিক। সরকার অতীতে ধর্ষণের ঘটনার বিচার করে শাস্তি দিয়েছে। এখনও যেগুলো ঘটছে সেগুলো বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর।

শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২০-২১ বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন এবং সম্প্রচার আইন হলে গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন কাঠামো থেকে শুরু করে সবকিছু সুরক্ষিত হবে। তবে আইন পাস করা কোনো মন্ত্রণালয়ের একক বিষয় নয়। আইন পাসের সঙ্গে মন্ত্রীসভা, আইন মন্ত্রণালয়, সংসদ, সংসদীয় কমিটি যুক্ত। যেহেতু তথ্য মন্ত্রণালয়ের একক দায়িত্বে এটি করা সম্ভব নয়, সুতরাং এটি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে দেওয়াও সম্ভব নয়। তবে এটি সহসা করার চেষ্টা করছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা যখন কথা বলেন তখন ভুলে যান-তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি করেছেন। ফখরুল সাহেবরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, দলগতভাবে বিভিন্ন অপকর্ম করতেন। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আট বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলা এবং ষাট বছর বয়ষ্কা মহিলাও বাদ যায়নি বিএনপি কর্মীদের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর হাত থেকে।

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বেতারের ভুমিকার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন স্বাধীন বাংলা বেতারের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশ বিনির্মাণে বেতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। বেতারের অনেকগুলো অনুষ্ঠান অত্যন্ত ভালো এবং জনমানুষের কাছে সেই অনুষ্ঠানমালার ব্যাপক আবেদন রয়েছে। আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে লালন করার ক্ষেত্রে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। দূর্যোগ-দূর্বিপাকে বেতারই মানুষের কাছে খবর পৌঁছায়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্মার্টফোনের ব্যাপকতা বেড়েছে, এখন একটি রেডিও বহন করা সম্ভবপর নয়। তাই রেডিওকে অ্যাপসের মাধ্যমে টেলিফোনে আনার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন অ্যাপসের মাধ্যমে বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ বেতার মোবাইলেও শোনা যায়।

তিনি বলেন, ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও আশপাশে পাহাড়সহ নানাকারণে ফেনীতেও চট্টগ্রাম বেতারের অনুষ্ঠান শোনা যায় না। অথচ ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন খুলনা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রতিবন্ধকতা না থাকায় এখানে শোনা যায়। গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যবসা বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিসহ নানা সংবাদ ও কৃষ্টি সংস্কৃতির চাহিদা রয়েছে সারাদেশে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, ঢাকা কেন্দ্রের মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে আপলিঙ্ক করে সেটি আবার বিভিন্ন বেতার কেন্দ্রে ডাউনলিঙ্ক করে সারাদেশে শোনানো হবে। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানও খুব সহসা সেভাবে উদ্বোধন হবে। এটি চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের ইতিহাসে বিরাট মাইলফলক হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, বাংলাদেশ বেতারের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিচালক এসএম আবুল হোসেন প্রমুখ। আজাদী অনলাইন

শিক্ষার্থীরা ফেরত পাচ্ছেন না পরীক্ষার ফরম পূরণের অর্থ

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে ফরম পূরণ করা সব পরীক্ষার্থী অটোপাস পাবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেয়া হবে কি-না।

অনেক শিক্ষার্থী-অভিভাবক ইতোমধ্যে ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেয়ার দাবি তুলেছেন। এ অর্থ নানা খাতে ব্যয় হয়েছে বিধায় তা আর ফেরত দেয়া সম্ভব নয়, জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড।

এইচএসসি ও সমমানের একাধিক পরীক্ষার্থী-অভিভাবক জানান, পরীক্ষা বাতিল হয়েছে, সেহেতু পরীক্ষার জন্য আদায় করা ফি ফেরত দেয়া প্রয়োজন। এটা ফেরত পেলে অনেকেরই সুবিধা হবে। বিশেষ করে করোনার কারণে অনেকেরই আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।

তারা বলেন, সারাদেশের প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা করে আদায় হয়েছে। অনেক কলেজ আবার মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেছে। দ্রুত এসব অর্থ ফেরত দিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এইচএসসির ফরম পূরণের জন্য গত বছরের নভেম্বরে কেন্দ্র ফিসহ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ৫০০ টাকা, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৯৪০ টাকা করে ফি দিতে হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানে কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিক ফিসহ) ৮০৫ এবং মানবিক ও বাণিজ্যে ৪৪৫ টাকা করে ফি নেয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের ফি থেকে ট্যাগ অফিসারের সম্মানীসহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করতে বলা হয়। কিন্তু যাদের ব্যবহারিক বিষয় আছে তাদের টাকার সঙ্গে প্রতি পত্রের জন্য আরও ২৫ টাকা করে দিতে হয়েছে। এছাড়া ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়নে অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত পরীক্ষকের জন্য পত্রপ্রতি ২৫ টাকা করে কেটে নেয়া হয়েছে।

ফরম পূরণের জন্য একজন নিয়মিত শিক্ষার্থীকে প্রতি পত্রের জন্য ১০০ টাকা, ব্যবহারিক প্রতি পত্রের জন্য ২৫ টাকা, একাডেমিক/ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ৫০ টাকা, সনদ ফি ১০০ টাকা, রোভার স্কাউট/গার্লস গাইড ফি ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি পাঁচ টাকা দিতে হয়েছে। বাস্তবে রাজধানীর অনেক কলেজ বোর্ডের ধার্য করা ফি’র চাইতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে। বর্তমানে এসব অর্থ ফেরত চান পরীক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষার ফরম পূরণের ফি ফেরত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল, প্রশ্নপত্র-উত্তরপত্র (ওএমআর সিট) তৈরি, পরীক্ষার সময়সূচিসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। এতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে থেকে পাওয়া অর্থ দিয়েই এসব কাজ করতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের নিতে হয়েছিল। এ কারণে অর্থ ফেরত দেয়া সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অর্থ দিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত ৭ অক্টোবর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফলপ্রকাশ করা হবে।

করোনা পরিস্থিতির উৎকণ্ঠা নিয়ে ছয় মাস পর পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকেই পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাসের দাবি তুলেছিল। অভিভাবকদেরও কেউ কেউ পরীক্ষা না নেয়ার পক্ষে মত দেন। সবশেষ সরকারের পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্তে তারা সাধুবাদ জানান। জাগো নিউজ

বান্দরবানে পল্লী চিকিৎসককে গুলি করে হত্যা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বান্দরবানে বাচমং মারমা (৩৫) নামে এক পল্লী চিকিৎসককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের জামছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার একটু আগে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ জামছড়ি বাজার এলাকায় হানা দেয়। এ সময় বাচমং মারমা তার ফার্মেসিতে ছিলেন। হঠাৎ সন্ত্রাসীরা দোকানে ঢুকে তার মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর জামছড়ি এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার ক্ল্যশৈমং মারমা। তবে এ হত্যাকাণ্ড কারা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারেনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য অং প্রু মারমা জানান, দোকানে অবস্থানকালে পল্লী চিকিৎসক বাচমংকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর রাজবিলায় মংসিং উ মারমা নামে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসীরা। জাগো নিউজ

জনবল সঙ্কটে ধুঁকছে পাবনা মানসিক হাসপাতাল

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কনসালটেন্ট ও ক্লিনিক্যাল সাইক্রিয়াটিস্ট ছাড়াই চলছে মানসিক হাসপাতাল। পাবনার হেমায়েতপুরে অবস্থিত ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট দেশের একমাত্র বিশেষায়িত পাবনা মানসিক হাসপাতালে ৩০ জন চিকিৎসক পদের মধ্যে ১৭ জনের পদই শূন্য রয়েছে। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও), অ্যানেসথেটিস্ট, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, ডেন্টাল সার্জনের মত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসক ছাড়াই চলছে এই মানসিক হাসপাতাল। তবে সীমিত চিকিৎসক ও জনবল দিয়েই যথাসম্ভব সেবা দেয়া হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

দেশের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতালটির জন্য ৩০ চিকিৎসকসহ মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ৬৪৩। ১৩ চিকিৎসকসহ কর্মরত রয়েছেন ৪৫৩ জন এবং শূন্য রয়েছে ১৯০টি পদ। জনবলের অভাবে এখন নিজেই ধুকছে হাসপাতালটি। শুধু তাই নয়, ৫০০ শয্যার হাসপাতালের জন্য অনুমোদন রয়েছে মাত্র ২০০ শয্যার হাসপাতালের জনবল। এই ২০০ শয্যার জনবলের জন্য প্রথম শ্রেণির চিকিৎসকের যে ৩০টি পদ মঞ্জুর আছে তার মধ্যে আবার ১৭টি পদই রয়েছে শূন্য। অন্যান্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারী পদেও একই অবস্থা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, জরুরি ভিত্তিতে সিনিয়র কনসালটেন্ট, ক্লিনিক্যাল সাইক্রিয়াটিস্ট, মেডিকেল অফিসার দ্রুত নিয়োগ করা না হলে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

জানা গেছে, দেশের একমাত্র মানসিক হাসপাতালটি পাবনা জেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে হেমায়েতপুরে অবস্থিত। ১৯৫৭ সালে পাবনা জেলার সাবেক এক সিভিল সার্জন ‘শীতলাই হাউজ’ নামক জমিদার বাড়িতে এটি অস্থায়ীভাবে স্থাপন করেন। ১৯৫৯ সালে হেমায়েতপুরে ১১২.২৫ একরের একটি চত্বরে হাসপাতালটি স্থানান্তরিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে শয্যা সংখ্যা ছিল ৬০। ১৯৫৯ সালে দুইশ এবং ১৯৬৬ সালে চারশ এবং ২০০০ সালে হাসপাতালটিকে পাঁচশ শয্যায় উন্নীত করা হয়।

jagonews24

মোট শয্যার ২৮০টি নন-পেয়িং এবং ১২০টি পেয়িং আর প্রকল্পর অধীনে ১০০ শয্যা রয়েছে। হাসপাতালটির মোট ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে পুরুষ রোগীর জন্য ১৩টি (১১টি নন-পেয়িং, দুটি পেয়িং) এবং নারী রোগীদের জন্য পাঁচটি (৪টি নন-পেয়িং, ১টি পেয়িং) নির্দিষ্ট। প্রতিষ্ঠার অর্ধ শতাব্দী পর জনসংখ্যা ও মানসিক রোগীর হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেলেও সে অনুপাতে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বা চিকিৎসকের পদ সংখ্যা বাড়েনি।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মোর্শেদ জানান, এখানে কোনো চিকিৎসকের পোস্টিং দেয়া হলেই তিনি বা তারা মনে করেন তাকে ‘শাস্তি’ দেয়া হলো। ফলে এখানে দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসক সঙ্কট রয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, ১০০০ শয্যার নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া রয়েছে। কিন্তু এসব ফাইল বন্দি অবস্থায় রয়েছে।

চিকিৎসকের সংখ্যা যেখানে বাড়ানো দরকার সেখানে অনুমোদিত ৩০ জন চিকিৎসকের মধ্যে ১৭ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ককে প্রশাসনিক কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। সেদিক হিসেবে করলে চিকিৎসক আরও কম।

ডা. এটিএম মোর্শেদ জানান, নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও আউটডোরে (বহির্বিভাগে) প্রতিদিন গড়ে চারশ থেকে সাড়ে চারশ রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। গত ৪ অক্টোবর আউটডোরে ৩০২ জন পুরুষ আর ১১২ জন নারী রোগী মিলে মোট ৪২৪ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ২৯ জন রোগীকে। প্রতি বছর আউটডোরে ২৫-৩০ হাজার রোগী এবং আন্তঃবিভাগে এক হাজার-১২শ রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

jagonews24

পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক জানান, চিকিৎসকের পদ ছাড়াও প্রথম শ্রেণির আটজন কর্মকর্তা পদের মধ্যে চারজনের পদ শূন্য। অন্যদিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ৩১৬টি পদের মধ্যে ২৭৫টি পদ শূন্য, তৃতীয় শ্রেণির ১১৯টি পদের মধ্যে ৮৮টি পদ ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ১৭০টি পদের মধ্যে ৯৭টি পদ শূন্য। এতে রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

২৬৪ জন সিনিয়র নার্সের পদ থাকলেও বর্তমানে শূন্য রয়েছে ১৬টি পদ। আর স্টাফ নার্সের ৪৫ জনের মধ্যে ২২টি পদ শূন্য রয়েছে। কর্মরত এ নার্সদের আবাসিক কোনো ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালটি শহর থেকে দূরে হলেও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনের জন্য নেই কোনো যানবাহন। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের (সুইপার) সংখ্যা অপ্রতুল। সুইপারের ৩০টি পদের মধ্যে ১৭টি পদ শূন্য। দেশের একমাত্র বিশেষায়িত এ হাসপাতালের এমন অবিশ্বাস্য করুণ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরে।

তিনি আরও জানান, চিকিৎসক ছাড়াও হাসপাতালে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদেরও বিরাট প্রয়োজন। রোগীদের গোসল, খাওয়া দাওয়া, পায়খানা-প্রসাব করানো ও পরিষ্কার করার কাজে পর্যাপ্ত কর্মচারী ও সুইপার প্রয়োজন।

এদিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রতিজন রোগীর খাদ্য বাবদ দৈনিক বরাদ্দ ১২৫ টাকা। এই টাকার ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাদ কাটা গিয়ে দাঁড়ায় ১০৬ টাকা ২৫ পয়সা। তার মধ্যে রয়েছে ঠিকাদারের লাভ, অফিস খরচ ইত্যাদি। এসব ব্যয় বাদে যে টাকা থাকে তা দিয়ে রোগীদের তিন বেলা খাবার এবং বিকেলে নাস্তা দেয়া হয়।

jagonews24

কিচেন অফিসার মকবুল হোসেন জানান, স্বল্প বাজেটের মধ্যেও রোগীদের যতদূর সম্ভব ভালো খাবার দেয়া হয়।

গত ৪ অক্টোবর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরের জন্য ডিম আর রাতের জন্য মাংস রান্না হচ্ছে। কিচেন অফিসার মকবুল হোসেন জানান, রান্নাঘর থেকে শুরু করে পরিবেশন সবই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে করা হচ্ছে। তবে বাজার দর অনুযায়ী এ অল্প টাকায় মানসিক রোগীদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার দেয়া অনেক কঠিন।

‘ভাই আমি ভালো হয়ে গেছি, আমার বাড়িতে একটু খবর দেবেন’…! পাবনা মানসিক হাসপাতালে গেলে এ রকম কথা হাসপাতালের প্রায় ওয়ার্ড থেকেই শোনা যায়। অনেকের ধারণা মানসিক রোগীরা এমন বলেই থাকেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানালেন ভিন্ন কথা।

তারা বলেন, মানসিক রোগীদের আত্মীয়-স্বজন এমনকি তাদের ভাই- বোনরাও পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন। এর কিছু সামাজিক কারণ ও কুসংস্কার রয়েছে। অনেকে পারিবারিক সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার জন্যও মানসিক রোগীদের দূরে সরিয়ে রাখেন।

এক্ষেত্রে অধিকাংশ পরিবার একবার রোগী এখানে রেখে যেতে পারলে আর তার খোঁজ নিতে চান না। অনেকে ভুল ঠিকানায় রোগী ভর্তি করিয়ে দিয়ে যান। ফলে রোগী সুস্থ হওয়ার পর কিংবা যাদের আর কখনও সুস্থ হওয়ার আশা নেই তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে গেলে ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায় না।

jagonews24

বছরের পর বছর যুগের পর যুগ মানসিক হাসপাতালেই কেটে যাচ্ছে এ রকম রোগী রয়েছেন ২১ জন। তারা শুধু প্রতীক্ষা করেন কেউ তাদের ঠিকই একদিন নিতে আসবে। কিন্তু তাদের কেউ আর নিতে আসে না। অনেকেই প্রতীক্ষা করতে করতে এখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। ২০১৫ সালে এরকমভাবে মারা গেছেন দুজন।

মানসিক হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগী সাইদ হোসেন। ভর্তি রেজিস্ট্রার অনুযায়ী তাকে ১৯৯৬ সালে ভর্তি করে যান তার স্বজনরা। তিনি অনেক আগে সুস্থ হলেও কেউ তাকে নিতে আসেননি। তাই তিনি বছরের পর বছর হাসপতালে বন্দী থাকার মত থেকে অনেকটা অথর্ব হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, খুব ইচ্ছে করে বাসায় যেতে। কিন্তু কেউ নিতে আসে না।

সুস্থ হয়েও বাড়ি যেতে না পারার বেদনা এভাবেই ব্যক্ত করেন সাইদের মতো আরও অনেক রোগী। তারাও এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েও বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন না। এদের কারও ঠিকানা ভুল, আবার কোনো অভিভাবক বা পরিবারের সদস্য তাদের নিতেও রাজি নয় বলে ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন।

এদিকে মানসিক হাসপাতালে দালাল চক্রের কাছে হাসপাতালের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা জিম্মি। হাসপাতালে রোগী ভর্তিতে দালাল চক্র মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা করে আদায় করে। তারা আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর কথা বলেই একজন রোগীর অভিভাবকের কাছ থেকে ২-৩ হাজার টাকা আদায় করে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বেশ কিছু রোগীর অভিভাবক জানালেন দালালদের টাকা আদয়ের কথা।

PABNA

গত ৪ অক্টোবর ফরিদপুর উপজেলার ভাঙ্গা উপজেলা থেকে আসা আলেপ হোসেন জানান, তিনি তার রোগীকে নিয়ে রাতে রওয়ানা দিয়ে ভোরে এখানে পৌঁছান। এসে সিরিয়াল পাওয়ার জন্য দুই হাজার টাকা দেন দালালকে। তারপরও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সিরিয়াল পাননি।

রাজশাহী থেকে আসা শাহনাজ খাতুন জানান, তিনি পায়েল (৩৫) নামে এক গরিব নারীকে নিয়ে এসছেন। সাত বছর ধরে এখানে আউটডোরে তাকে দেখাতে পারলেও টাকার অভাবে ভর্তি করাতে পারেননি।

মানসিক হাসপাতালে ভর্তি না হতে পেরে সাধারণ রোগীরা দালালদের খপ্পরে পরে প্রতারিত হচ্ছেন। দালালরা রোগী ভাগিয়ে তাদের ক্লিনিকে ভর্তি করছে। এতে বেসরকারি মানসিক ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া রোগীদের মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রে আরও সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

রোগী ভর্তির ব্যাপারে পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মোর্শেদ জানান, কেউ ইচ্ছে করলেই কোনো রোগীকে ভর্তি করাতে পারেন না। রোগীকে অবশ্যই আউটডোরে ১০ টাকার টিকিট কেটে দেখাতে হয়। তারপর তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম ভর্তিযোগ্য হলে সিট খালি থাকা শর্তে ভর্তির সুপারিশ করেন।

রোগীর বয়স ১৮ হতে হয়। মানসিক রোগসহ অন্য রোগ থাকলে ভর্তি করা হয় না। ভর্তি হতে ১৫ টাকা লাগে। আর রোগী ভালো হওয়ার পর তাকে বাড়িতে পৌঁছানোর যাতায়াত বাবদ পাঁচজনের ভাড়া জামানত রাখা হয়। ভর্তি হওয়ার সময় লিগ্যাল অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নাগরিকত্ব সনদ ও ছবি লাগে।

ডা. এটিএম মোর্শেদ বলেন, এই হাসপাতালকে আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনেক পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। হাসপাতালাটির সেবার মান আরও উন্নত করতে হলে এখানে চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের শূন্য পদ পূরণ জরুরি। জাগো নিউজ

ফেসবুকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবির পোজ দিয়ে আলোচনায় এমপি বাবলু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবির পোজ দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। শুক্রবার ছবিটি ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। একজন এমপির অস্ত্র প্রদর্শনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদর্শন অত্যন্ত অশোভন ও হীন অভিব্যক্তির প্রতিফলন বলে মতপ্রকাশ করেন অনেকে।

বগুড়ার নন্দীগ্রামের এবি বারিক নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুক বলেন, ‘হঠাৎ এমপি তাই, এর বিচার চাই।’

বগুড়ার সিনিয়র সাংবাদিক চপল সাহা লিখেছেন, ‘একজন সংসদ সদস্যের কেনা অস্ত্র প্রদর্শন কতটা শোভনীয়? ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় হঠাৎ করেই রেজাউল করিম বাবলুকে সমর্থন দেয়া হয়। ফলে তিনি হয়ে যান সংসদ সদস্য। তিনি একটি অস্ত্র কিনেছেন তার নিজের সুরক্ষার জন্য। এই অস্ত্রটি তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। একজন সংসদ সদস্যর জন্য জানা উচিত অস্ত্র প্রদর্শন করা আইনত অপরাধ। তাহলে তিনি কি…?’

তবে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম দাবি করেছেন, নিরাপত্তার জন্যই তিনি অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন। সপ্তাহখানেক আগে ঢাকার একটি অস্ত্রের দোকান থেকে তিনি ৮০ হাজার টাকায় একটি বিদেশি পিস্তল কিনেছেন। দোকানে বসে পিস্তল নাড়াচাড়া করার সময় তার সঙ্গে থাকা কোনো কর্মী মুঠোফোনে ছবি তুলে তা তাদের ফেসবুক ওয়ালে আপলোড দিয়েছেন।

তিনি বলেন, লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড দিতে আইনি কোনো বাধা নেই। তার সঙ্গে থাকা কোনো কর্মী তাকে না বলেই ফেসবুকে দিয়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আর তাকে অপছন্দ করা কিছু সাংবাদিক এই ছবি ভাইরাল করে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, সংসদ সদস্য রেজাউল করিমের নামে কয়েক মাস আগে একটি পিস্তুলের লাইসেন্স প্রদানের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন তাকে পিস্তুলের লাইসেন্স দিয়েছে কি না তা জানা নেই।

রেজাউল করিম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসন থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। নির্বাচনে রেজাউল করিম তার হলফনামায় পেশা সাংবাদিকতা ও ব্যবসায় বলে উল্লেখ করেছেন। তবে সাংবাদিকতা থেকে তিনি কত টাকা আয় করেন, সে বিষয়ে কোনো তথ্য তার হলফনামায় এবং আয়কর বিবরণীতে নেই।

তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস। তবে কৃষি ও ব্যবসা থেকে তার আয় উল্লেখ করেছিলেন যথাক্রমে তিন হাজার ও দুই হাজার টাকা। তার নির্বাচনী খরচ সাড়ে ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে নিজের ব্যবসা থেকে আয় ৫০ হাজার টাকা আর তার দুই জামাতার কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা এবং দান হিসেবে আরেক জামাতার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার নেয়ার কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন।

হলফনামায় মাসিক আয় ৪১৭ টাকা দেখালেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যে তিনি অঢেল ধন-সম্পদের মালিক হন। সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম বক্তব্যেই নিজ এলাকার ইটভাটার বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য রাখলেও ইতোমধ্যেই ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ৩৩ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাড়ি ব্যবহার শুরু করলে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে আলোচনার আসেন এই এমপি। এখন তিনি কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। যার অনুকূলে প্রায় কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়েছে। এছাড়া নিজ গ্রামের বাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তিনি।

অপরদিকে নির্বাচনী হলফনামায় নিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তথ্য গোপন করে গেছেন এই সংসদ সদস্য। নির্বাচন কমিশনের বিধি মোতাবেক হলফনামা ফরমের ৩ এর ক ধারায় বলা হয়েছে, অতীতে কোনো মামলা থাকলে তার ফলাফল উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু এমপি বাবলু তার নির্বাচনী হলফনামা ফরমের ওই ধারায় উল্লেখ করেছেন অতীতে তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়নি।

অথচ ২০০৭ সালে তার নিজের কারিগরি স্কুলে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন আবু হায়াত খান নামে এক শিক্ষক। এমপি বাবলু ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত একমাত্র আসামি।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, তথ্য গোপনের মধ্য দিয়ে এই সংসদ সদস্য গণপ্রতিধিত্ব আদেশের ধারা লঙ্ঘন করেছেন। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিলে তিনি এই পদে থাকার যোগ্যতা হারাবেন।

এমপি বাবলুর জন্ম গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। ছোটবেলা থেকেই বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের একটি গ্রামে অন্যের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করেন। শিক্ষাজীবনে বেশিদূর এগুতে না পারলেও উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদিপা গ্রামে বিয়ে করে মাঝিড়া ইউনিয়নের ডোমনপুকুর গ্রামে বসতবাড়ি নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। জাগো নিউজ

‘অটো পাস’ : বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে যেসব জটিলতা তৈরি হতে পারে

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে চলতি বছর জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড়ের মাধ্যমে এইচএসসির ফল নির্ধারণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় যে, কোনো শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতা আছে কি না। আর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলও নির্ভর করে এই দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর।

পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলে পড়তে চাইলে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিতের মত কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম গ্রেড প্রয়োজন হয়। তাই পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফলাফল দেয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা থাকে।

যে ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে : বর্তমান নিয়মে দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় পাওয়া মোট নম্বরের ৪০ ভাগ এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই এই নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেন শিক্ষাবিদ সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, এসএসসির ১০%, এইচএসসির ৩০% ও ভর্তি পরীক্ষার ৬০% নিয়ে পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এবার এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় ঐ ৩০% আর থাকছে না, কাজেই ভর্তি পরীক্ষার ওপর জোর বেশি দিতে হবে। এইচএসসির ফল এসএসসি ও জেএসসির ফলের গড়ের মাধ্যমে হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসির ফল গণনা করা যুক্তিযুক্ত হবে না বলে মনে করেন তিনি।

জেএসসি পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীদের একই বিষয় পড়তে হয়। এসএসসিতে বিভাগ আলাদা হওয়ার পাশাপাশি আলাদা আলাদা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয় বলে এইচএসসির সব বিষয়ের ফল এই দুই পরীক্ষার গড়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যেই বয়সে শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষা দেয়, সেই বয়সে তাদের মানসিক পরিপক্কতা আসে না। ঐ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গত বা বিজ্ঞানসম্মত নয়। তবে যেসব শিক্ষার্থী এসএসসি থেকে এইচএসসিতে বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের ফল নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জটিলতা তৈরি হবে বলে মনে করেন সিদ্দিকুর।

তিনি বলেন, কেউ হয়তো এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে ছিল, কিন্তু এইচএসসির সময় পরিবর্তন করে মানবিক বিভাগ নিয়েছে। ঐ বিভাগের নম্বরের ভিত্তিতে বর্তমান বিভাগে ফলাফল দেয়া হলে তা একেবারেই যুক্তিযুক্ত হবে না। আর এই জটিলতার ফলে সরকারি প্রকৌশল এবং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষার পর যেসব শিক্ষার্থী দেশের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিদ্দিকুর রহমান। পরীক্ষা না নিয়েই মূল্যায়ন করার ফলে বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই হয়তো এই শিক্ষার্থীদের নিতে চাইবে না। তবে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতির উপর নির্ভর করে, যোগ করেন তিনি।

পরামর্শক কমিটি কী বলছে : গত ৭ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে কীভাবে এইচএসসির ফল ঠিক করা হবে, তা নির্ধারণ করবে এই বিষয় সংক্রান্ত একটি পরামর্শক কমিটি। এই পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক জানান, ঠিক কোন নীতি অনুসরণ করে ফলাফল নির্ধারিত হবে সেবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কীভাবে জেএসসি পরীক্ষা ও এসএসসি পরীক্ষার বিষয়গুলো যুক্ত করে এইচএসসির বিষয়গুলোর সাথে সম্পৃক্ত করা যায়, তা নিয়ে পরামর্শক কমিটির পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব টেকনিক্যাল কমিটিও কাজ করছে। তিনি জানান, এসএসসি থেকে এইচএসসিতে যেসব শিক্ষার্থী বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তাদের বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে কমিটি। শুধু বিজ্ঞান থেকে মানবিক বা ব্যবসা শিক্ষায় নয়, কারিগরি শিক্ষা বা মাদ্রাসা থেকে সাধারণ শিক্ষায় যোগ দেয় শিক্ষার্থীরা। আবার প্রাইভেট, মান উন্নয়ন শিক্ষার্থীও আছে। এই প্রতিটি ক্ষেত্রই আমরা শনাক্ত করেছি এবং একটার সাথে আরেকটাকে সম্পৃক্ত করতে যা করা দরকার তা নিয়ে কাজ করছি। তবে এইচএসসি পরীক্ষা না নেয়া হলেও বিদেশে পড়ালেখা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই শিক্ষার্থীরা সমস্যার মধ্যে পড়বে না বলে মনে করেন জিয়াউল হক।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ থেকে বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সময় তারা শুধু দেখে যে শিক্ষার্থী টুয়েলভ গ্রেড পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে কিনা। এরপর শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব পদ্ধতিই অবলম্বন করে। আর সারা পৃথিবীতে অনেক জায়গাতেই করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পাবলিক পরীক্ষা বা এঙিট এঙামগুলো নেয়া সম্ভব হয়নি। কাজেই আমাদের শিক্ষার্থীদের ভিন্নভাবে যাচাই করা হবে বলে আমার মনে হয় না। বিবিসি বাংলা 

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভাঙার আভাস

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স :মেয়াদোর্ত্তীণ হওয়ায় বিএনপি’র চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি পুনর্গঠনে নেতাকর্মীদের আভাস দিয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, পুনর্গঠিত কমিটিতে নেতৃত্ব চাপিয়ে না দিয়ে তৃণমূলের মতামতকে প্রাধান্য দেয়ার বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করা হয়। গতকাল ‘স্কাইপ’ এর মাধ্যমে নগর বিএনপি’র ৫৫ জন নেতার সাথে কথা বলেন দুর্নীতি ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমান। বিএনপি নেতারা ছিলেন নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে।

নগর বিএনপি’র এক সহ-সভাপতি জানান, বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তারেক রহমান সবার উদ্দেশে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন। আনুমানিক পাঁচ-ছয় মিনিট বক্তব্য রাখার পর তিনি উপস্থিত প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে আলাদা-আলাদা কথা বলবেন বলে জানিয়ে দেন। এরপর আলাদা একটি কক্ষ থেকে সরাসরি তার সঙ্গে দলের কর্মীদের কথা হয়। অর্থাৎ একজনের সাথে কথা বলার সময়ে অন্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। প্রতিজনের সাথে তিনি প্রায় ৫ থেকে ১০ মিনিট করে কথা বলেন।

এদিকে সর্বশেষ গত রাত ১২ টা ২০ মিনিটে তারেক রহমান নগর কমিটি’র সহ-সভাপতি পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলছিলেন বলে জানা গেছে। এর আগে নগরের ১৫ টি থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, নগর কমিটির তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদক, নগর কমিটির ১৩ জন যুগ্ম সম্পাদকের সাথে কথা বলেন।

‘স্কাইপ’ সংলাপে অংশ নেয়া বিএনপি’র একাধিক নেতাকর্মীর সাথে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, তারেক রহমান তাদের কাছে নগর বিএনপি’র বর্তমান নেতৃত্ব তথা সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চান। এক্ষেত্রে দায়িত্বপালনকালে এ দুই নেতা সংগঠন এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করেন তা জানতে চান। তাদের ব্যর্থতার বিষয়েও খবর নেন। পাশাপাশি বিদ্যমান কমিটি মেয়াদোর্ত্তীণ হওয়ায় ভেঙে দেয়া উচিত হবে কী না জানতে চান। যারা ভেঙে দেয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছেন তাদের কাছে এর কারণ জানতে চান এবং নতুন নেতৃত্বের জন্য যোগ্য ব্যক্তির নাম জানতে চান। এছাড়া দীর্ঘদিনেও নগরীর প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন না হওয়ার কারণ জানতে চান তারেক রহমান। একইসঙ্গে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের কার কি ভূমিকা সে বিষয়েও খোঁজ-খবর নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোচনায় অংশ নেয়া এক যুগ্ম সম্পাদক বলেন, কমিটি ভেঙে দেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট আভাস দিয়েছেন আমাদের। তবে ডা. শাহাদাত হোসেন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী থাকায় কমিটি ভেঙে দিলে নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে কী না সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর দৈনিক আজাদীকে বলেন, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহ বলেন, নগর কমিটিকে কিভাবে নতুন করে ঢেলে সাজানো যায় সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ১৫ টি থানা ও ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে দলকে সু-সংগঠিত করে কিভাবে আন্দোলনমুখী করা যায় সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন। তাছাড়া দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর সংগঠনকে কিভাবে পরিচালিত করেছেন সেটাও জানতে চেয়েছেন। এক্ষেত্রে বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যে গতি ছিল সেটাই আমি বলেছি।

নগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে সবার মতামত নিয়েছেন। এক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমিটি চাপিয়ে দিবেন না বলেছেন এবং সবার মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন।

নগর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট ডা. শাহাদাতকে সভাপতি, আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক এবং আবু সুফিয়ানকে সহ-সভাপতি করে নগর বিএনপি’র তিন সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। এর প্রায় ১১ মাস পর ২০১৭ সালের ১০ জুলাই ২৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। অবশ্য এর ছয়দিন পর ১৬ জুলাই কমিটিতে আরো একজন সহ-সভাপতি অর্ন্তভুক্ত করে কমিটির আকার করা হয় ২৭৬ জনে।

এদিকে নগর বিএনপি’র আওতায় রয়েছে ১৫ থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড। ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে ৩৯টি ওয়ার্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিলেন নগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। ৯নং উত্তর পাহাড়তলী এবং ১০ নম্বর কাট্টলী ওয়ার্ড কমিটি সেদিন বিলুপ্ত করা হয়নি। ওইদিন কমিটি গঠনে সম্মেলন করার জন্য ৩১টি ওয়ার্ডে নতুন করে আহ্বায়কদের নামও ঘোষণা করা হয়েছিল।

এছাড়া ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্মেলন করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত বছরের আগস্ট মাসের শুরুতে থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার প্রক্রিয়া শুরু করেন শাহাদাত-বক্কর। তবে ২৮ আগস্ট কেন্দ্রের নির্দেশে তা স্থগিত হয়। তার আগে পাঁচটি থানা ও ২৮টি ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারিও চট্টগ্রামের শীর্ষ পাঁচ নেতার সাথেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন তারেক রহমান। সেবারও নগর কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। তখন বিএনপি নেতারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পর্যন্ত বর্তমান কমিটির কার্যক্রম বহাল রাখার অনুরোধ করলে তাতে সায় দেন তিনি। তখন নির্বাচনের পর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে স্থগিত হওয়া সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কবে হবে সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে। তাই সংগঠন পুনর্বহালে মনোযোগ দিচ্ছে দলের সর্বোচ্চ হাইকমান্ড। দৈনিক আজাদী