- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা ঠিক নয় : তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেক্স : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা ঠিক নয়। নোয়াখালীতে যারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত ছিল তারা কোনো দলের নয়, সবাই দুষ্কৃতকারী। দুষ্কৃতকারীরা কোনো দলীয় পরিচয় ব্যবহার করার অপচেষ্টা চালালেও সরকার তাদের ‘দুষ্কৃতকারী’ হিসেবেই দেখছে।

বুধবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার নেতাদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নারী নির্যাতনের ঘটনাকে রাজনীতিকরণের অপচেষ্টা করছে। এদিকে প্রত্যেকটি ঘটনার বিচার হচ্ছে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি আট বছরের শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, এমনকি নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে নারী-শিশুদের ধর্ষণ করেছে। ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপিদলীয় এই অপকর্মগুলোর বিরুদ্ধে সরকার বা দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, এটিই বাস্তবতা। সেই দলের মহাসচিব হিসেবে তিনি যখন এ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তার আগে তার চেহারাটা আয়নায় দেখা প্রয়োজন।

দেশের অর্থনীতিও ভেঙে পড়ছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী তাকে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, তিনি (ফখরুল) ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ছিলেন, তাই তাকে এগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

হাছান মাহমুদ অর্থনীতির চলতি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, করোনার শুরুতে অনেকে আশঙ্কা করেছিল, আমাদের অর্থনীতি খাদের কিনারে চলে যাবে, একটা বিরাট বিপর্যয় হবে। কিন্তু মহান স্রষ্টার কৃপায় ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে সেটি হয়নি। বিশেষজ্ঞদের সব শঙ্কা-আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের রফতানি আয় হয়েছে ৯.৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ২.৫৮ শতাংশ বেশি। এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ৬.৭১ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৪৮.৫ শতাংশ বেশি। অনেকে বলেছিলেন বিদেশ থেকে লাখ লাখ কর্মী ফেরত আসবে অথচ এখন বৈধ কাগজপত্রসহ বিদেশে যাওয়ার জন্য বরং বিক্ষোভ হচ্ছে, ফেরত যাওয়ার বিমানের টিকিটের হাহাকার পড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এই করোনাকালেও জুলাই থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে রাজস্ব আয় গত বছরের তুলনায় ০.১৬ শতাংশ বেড়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ (বৈদেশিক মুদ্রা স্থিতি) ছিল ৩৯.৩১ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের রিজার্ভ ৩১.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন বেশি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী বাংলাদেশে এ বছর ২০২০ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫.২ শতাংশের বেশি, যা চীনে ১.৮ শতাংশ ও এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে ঋণাত্মক। করোনাকালেও আমাদের এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভবপর হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব, সময়োচিত পদক্ষেপ ও অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেয়ার কারণেই।

করোনা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার শুরুতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়েছে, এখনো তা মেনে চলা প্রয়োজন এবং যখনই পৃথিবীতে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তখনই সরকার সেটি এনে জনগণকে দেয়ার জন্য ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। জাগো নিউজ

৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ বাড়াল সৌদি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাংলাদেশে এসে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আটকে পড়া প্রবাসী শ্রমিকদের ভিসা ও ইকামার (কাজের অনুমতিপত্র) মেয়াদ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সৌদি আরবের সরকার।

বুধবার (৭ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা জানান। তিনি জানান, সৌদিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সেদেশের সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা তাকে অবহিত করেছেন।

মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজেও এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, ‘সৌদি সরকার আমাদের প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে।’

করোনা পরিস্থিতির আগে বাংলাদেশে আটকে পড়া শত শত প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর। তার আগে সৌদি ফেরত যাওয়ার জন্য ফ্লাইটের টিকিটের দাবিতে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের (সাউদিয়া) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রবাসীরা। এই বিক্ষোভ পরের দিনগুলোতেও গড়িয়েছে। যদিও টিকিট সংকট কাটাতে সাউদিয়ার পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সৌদি রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়।

প্রবাসীরা বলছিলেন, যেসব এজেন্সির মাধ্যমে তারা সৌদি গিয়েছিলেন, সেখানে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে গেলে তাদের দূতাবাসে যেতে বলা হচ্ছিল। কিন্তু দূতাবাসে গেলে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।

অন্যদিকে ফ্লাইটের টিকিটও মিলছিল না বিধায় প্রবাসীরা পড়েন ভীষণ বিপাকে। তারা ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেন এবং সরকারের সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরই মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ সুখবর পেলেন প্রবাসীরা।

৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে।

বুধবার (৭ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ দিনটি (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক দিন সবাই জানেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশনা ও জাতীয় জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া ভাষণে। বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চের ভাষণ এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল প্রেরণা। এ ভাষণকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার চূড়ান্ত মঞ্চ গড়ে ওঠে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৭ মার্চ ভাষণের নির্দেশনার আলোকে এ দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটার আন্তর্জাতিক গুরুত্বও আছে। ইউনেস্কো এই ভাষণটিকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সেই বিবেচনায় জাতীয় জাগরণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণার উৎস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাব হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটা দিয়েছে।’

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘এ প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে, যেমন- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন ও তাৎপর্য তুলে ধরা দিবসটি পালনের যৌক্তিকতা। দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বিকাশ লালন-পালন ও যথাযথ চর্চা করা সম্ভব হবে। সব শিক্ষার্থী ও মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিপূর্ণ সংস্থাপন করার প্রয়াস বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর, সংস্থা এ দিবসটি তাদের নিজস্ব কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন ও বাস্তবায়ন করবে। এ দিন কোনো ছুটি থাকবে না।’

এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল, জেএসসি-এসএসসি মূল্যায়নে ফল

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবার উচ্চমাধ্যমিক তথা এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করেই এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণ করা হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। বুধবার (৭ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের কাছে আমরা মতামত ও পরামর্শ নিয়েছি। পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্বের অনেক দেশের পরিস্থিতি দেখে আমরা ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরাসরি পরীক্ষা বাতিল করে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন করে গ্রেড নম্বর নির্ধারণ করা হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কী পদ্ধতিতে গ্রেড নির্ধারণ করা হবে সেটি নির্ধারণ ও পরামর্শের জন্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, শিক্ষা বোর্ড ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। তাদের আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রতিবেদন দিতে বলা হবে। এর ভিত্তিতে ডিসেম্বরে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

অনেকে এক, দুই বিষয়ে বা পুরো ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সকল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে একইভাবে মূল্যায়ন করে তাদের গ্রেড নম্বর দেয়া হবে। তবে কীভাবে তা দেয়া হবে তা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল খারাপ হলেও এইচএসসি পরীক্ষায় অনেকে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিল তাদের ক্ষেত্রে কী হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে দীপু মনি বলেন, ‘কী করার ছিল, কি ছিল না তা ভেবে লাভ নেই। সারাবিশ্বে এখন বেঁচে থাকার লড়াই চলছে, এর মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে আমরা কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা আগের ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘সরাসরি পরীক্ষা না নিলেও আমরা আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফল প্রকাশের পর দেশ-বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী পদ্ধতিতে ভর্তি করা হবে সেই বিষয়েও টেকনিক্যাল কমিটির কাছে পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা ছিল। এর মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ জন এবং অনিয়মিত ২ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক-দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে আবারও পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। প্রাইভেট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৩৯০ জন এবং খারাপ ফলের কারণে ১৬ হাজার ৭২৭ জন পুনরায় পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। জাগো নিউজ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহতদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতের সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।

তারা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালীর বাসিন্দা নোহা গাড়ির চালক নুরুল হুদা অপরজন হেলপার আবুল বশর। তাদের দুজনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা।

নিহত অপর দুইজন শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মুন্নার ভাই গিয়াস উদ্দিন ও ফারুক। নিহতদের প্রত্যেকের শরীরে গুলি ও দায়ের কোপের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীবেশে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী রঙ্গিখালী এলাকা থেকে নুরুল হুদার নোহা গাড়িটি ভাড়া করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সংঘর্ষে যোগ দিতে যায়। ক্যাম্পে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে। রোহিঙ্গা ভেবে স্থানীয় নুরুল হুদা ও আবুল বশরকেও নির্মমভাবে জবাই ও গুলি করে হত্যা করে তারা।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মো. আলী জানান, নোহা চালক নুরুল হুদা নিহত হয়েছেন সেটা আমি নিশ্চিত। আবুল বশরও নিহত হয়েছেন বলে শুনতে পাচ্ছি। তবে কেউ কেউ বলছে এখনও আবুল বশর বেঁচে আছেন। তাকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আটকে রেখেছে।

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ৪ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা মৌখিকভাবে লাশগুলো এর-ওর বলে দাবি করছে।

তবে স্থানীয় শাহ আলমসহ আরও কয়েকজন জানান, নিহত চারজনের মধ্যে দুইজন স্থানীয় নোহা গাড়ির চালক নুরুল হুদা ও হেলপার আবুল বশর।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হন। প্রাথমিকভাবে চারজনকেই রোহিঙ্গা বলে দাবি করেছিলেন শৃঙ্খলাবাহিনী। কিন্তু সকালে নিহতদের মাঝে দু’জন স্থানীয় বলে প্রচার পাওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। জাগো নিউজ