- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দু’জন রিমান্ডে

নিউজ ডেক্স : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসফিকুল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেন বাদল ও ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ। এদের মধ্যে বাদলের সাতদিন ও সোহগের দুদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, প্রধান আসামি নুর হোসেন বাদলকে পৃথক দুটি মামলায় ২০ দিন এবং মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের সাতদিন রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক বাদলের সাতদিন ও সোহাগের দুদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে একই আদালত এ মামলায় গ্রেফতার মো. আব্দুর রহিম ও রহমত উল্লাহর তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এছাড়া মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে একই ঘটনায় গ্রেফতার দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমিদা খাতুন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ উল্লেখ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে তার স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্লাহসহ অজ্ঞাত আসামিরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে।

এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে।

এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে আসামিরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। জাগো নিউজ

খালাস চেয়ে হাইকোর্টে মিন্নির আবেদন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) মিন্নির পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম এ আবেদন করেন। 

এর আগে মিন্নির স্বাক্ষর করা ওকালতনামা ও মামলার রায়ের সইমোহরকৃত কপি নিয়ে গত ৪ অক্টোবর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর রায়ের কপি নিয়ে হাইকোর্টে আইনজীবী জেডআই খান পান্নার কক্ষে আসেন।

ওই দিন (৪ অক্টোবর) সকালে মিন্নিসহ ছয় আসামির ডেথ রেফারেন্স নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠানো হয়। রায়ের কপি হাইকোর্টে আসার পর আসামিরা সাত দিনের মধ্যে আপিল আবেদন করতে পারবেন। সে অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনের মধ্যেই আপিল আবেদন করেন আইনজীবীরা।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডদেন আদালত। রায়ে অপর চার আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার পর রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে। মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড ওই বছরের ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর মামলার তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

নিম্ন আদালতে কয়েক দফা জামিন আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন মিন্নি। এরপর ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মিন্নিকে জামিন দেন। সেই জামিন আদেশে বলা হয়, মিন্নি তার বাবার জিম্মায় থাকবেন এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। গত বুধবার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত মিন্নি জামিনে ছিলেন।

আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার তৎকালীন পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। তার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়।

সেই ১০ আসামির বিচার শুরু হয় বরগুনা জেলা ও দায়রা আদালতে। সর্বশেষ গত বুধবার বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অন্য চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়। একই ঘটনায় পুলিশের দেয়া আরেকটি চার্জশিট অনুযায়ী অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচার চলছে শিশু আদালতে। জাগো নিউজ

বিশ্ববিদ্যালয় যেন বাজারে পরিণত না হয় : প্রধানমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় পড়াশোনার মান বজায় রাখা সম্ভব হয় না। শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় অনেক সময় বাজারে বা নগরে পরিণত হয়। তাই শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার মান বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। পরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

একনেক সভায় ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধন অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পের মূল খরচ ছিল ৪৯১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আজ সংশোধনীতে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮৪০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তার (প্রধানমন্ত্রীর) মন্তব্য ছিল আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বানাবো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শহর হয়ে যায় অনেক সময়। হাজার হাজার লাখ লাখ শিক্ষার্থী এক জায়গায় পড়ে। এতে পড়াশোনার মান রক্ষা হয় না এবং পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটা যেন বিশ্ববিদ্যালয় থাকে।’

‘সংখ্যাটাকে নিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি কাজ করছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ট্র্যাকিং করা হবে। মাত্রা নির্ধারণ করা হবে। পুনরায় তিনি আজ এ বিষয়টা বলেছেন। যেহেতু জাতীয় কবির নামে বিশ্ববিদ্যালয়, এটাকে আলাদা মর্যাদায় নিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যেন বাজার না হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় যেন ঘুরে-ফিরে নগর না হয়।’

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা, প্রকাশনা হতে হবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে, আমরা যতটা আশা করি প্রকাশনা হওয়া উচিত, সেটা পাই না। প্রকাশনা আরও কম হয়। তিনি এ বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এটা বাড়াতে হবে।’

‘টাকার কথা প্রায়ই বলা হয়। এটা যথাযথ নয়। প্রায়ই দেখা যায় টাকা থাকে, টাকা ব্যবহার করা হয় না। টাকা যদি চায়, দেব। এ বিষয়ে একটা জেনারেল অর্ডার আছে। প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, টাকা আমি ব্যবস্থা করে দেব; গবেষণা করেন, কাজ করেন, প্রকাশনা করেন। বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় জার্নাল আছে, সেসব জায়গায় কেন পাবলিশ হবে না?’- যোগ করেন এম এ মান্নান। জাগো নিউজ

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে নভেম্বরেই টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরছেন সাকিব

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : তিন সপ্তাহও বাকি নেই। এরপরই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে সাকিব আল হাসানের। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এর পরই মাঠে ফিরতে পারবেন সাকিব।

বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের কিন্তু টেস্ট দিয়েই মাঠে ফেরার সম্ভাবনা ছিল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে স্থগিত হওয়া টেস্ট সিরিজেই সাকিবকে খেলানোর ইচ্ছা ছিল বিসিবির। ২৯ তারিখ থেকে নিষেধাজ্ঞামুক্ত হচ্ছেন তিনি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ইচ্ছা ছিল, সাকিবকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে খেলাবেন।

সে লক্ষ্যে সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশে ফিরে বিকেএসপিতে নিবিড় অনুশীলন শুরু করেছিলেন তিনি। দুই কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম এবং সালাউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে বিকেএসপিতে সাকিব কীভাবে অনুশীলন করেছেন, তা কাক-পক্ষিও জানে না।

কিন্তু এরই মধ্যে যখন শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হলো, তখন সাকিব আর দেশে বসে থাকলেন না। ফিরে গেলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। সেখানে রয়েছেন তার স্ত্রী এবং দুই কন্যা। তাদের কাছেই ফিরে গেছেন সাকিব।

এরই মধ্যে আজ বিসিবি সভাপতি ঘোষণা দিলেন, মধ্য নভেম্বরে পাঁচ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি লিগ। বিসিবি সভাপতি নাজুমল হাসান পাপন বলেন, ‘অবশ্যই এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলবেন সাকিব।’

বিসিবি সভাপতি এখনও নিশ্চিত নন, পাঁচ দলের ওই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করপোরেট লিগ নাকি বিসিবি লিগ। মাশরাফির প্রসঙ্গ আসার পর বিসিবি বিগ বস জানিয়েছিলেন, সামনের তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্ট নয়, নেক্সট এভেইলেবল টুর্নামেন্টেই খেলবেন মাশরাফি।

সেই নেক্সট এভেইলেবল টুর্নামেন্ট সম্পর্কে জানাতে গিয়ে পাপন বলেন, ‘পাঁচ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি। এটা কি করপোরেট লিগ হবে নাকি গত বিপিএলের মতো বিসিবির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে, এটা আমি বলতে পারছি না। বিষয়টা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’

কথাবার্তা চলছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে- এটা জানিয়ে পাপন বলেন, ‘তিনটা করপোরেট হাউজের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তারা কোনো না কোনোভাবে বোর্ডের সাথে জড়িত। তারা রাজি। এমনও হতে পারে, বোর্ড এবং করপোরেট হাউজগুলোকে নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট হবে।’

বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, পাঁচ দলকে নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হবে মধ্য নভেম্বরে। বিদেশি ক্রিকেটারও খেলতে পারে সেখানে। প্রতিটি দলে ১৫ জন করে ৭৫ জন খেলোয়াড়কে খেলার সুযোগ করে দিতে পারি। বিদেশি নেব কি নেব না পরে বসে ঠিক করবো।

বিসিবি সভাপতি জানান, এই পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে খেলবেন সাকিব এবং এই টুর্নামেন্ট দিয়েই ক্রিকেটে ফেরা হবে তার। জাগো নিউজ

এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা কবে?

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : রুটিন ও আনুষঙ্গিক পরিকল্পনা তৈরির কাজ শেষ না হওয়ায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়নি। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হলে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন ডাকা হতে পারে। অন্যথায় আগামী রোববারের মধ্যে ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। শিক্ষামন্ত্রীর দফতর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে খুটিনাটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেটার আলোকে বোর্ডগুলো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে। ওই নির্দেশনার মধ্যে আছে, কত নম্বরের মধ্যে পরীক্ষা হবে, কোন বিষয়ের পরীক্ষা কীভাবে হবে, রুটিন কীভাবে করা হলো এবং কেন, পরীক্ষার আসন ব্যবস্থা কী হবে, মুদ্রিত প্রশ্নপত্রে পরিবর্তে পূর্ণমানে কীভাবে পরীক্ষা হবে ইত্যাদি।

আরেক কর্মকর্তা জানান, পরীক্ষায় বিষয়সংখ্যা এবং সিলেবাস কমানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা, পরীক্ষা শুরুর দুই সপ্তাহ আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর ক্লাস বা পাঠদান সম্পন্ন হয়েছিল। এই বিবেচনায় গোটা সিলেবাসের ওপর পরীক্ষা নেয়া হবে। আর বিষয় সংখ্যা না কমানোর ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পরবর্তী জীবন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে গোটা সিলেবাসের পূর্ণ নম্বর কমানোর চিন্তা এখন পর্যন্ত আছে।

মন্ত্রণালয় এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা গেছে, মধ্য নভেম্বরর মধ্যে পরীক্ষা শুরুর চিন্তা নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। ইতিপূর্বে রুটিনে ৬ সপ্তাহ সময় নেয়া হয়েছিল। এখন এর চেয়েও কমানোর চিন্তা আছে। কেননা, শিক্ষার্থীরা যত কম বের হবে তত সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্ক্ষা কম থাকবে বলে মনে করেন নীতি-নির্ধারকরা।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কবে থেকে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা শুরু করা হবে তা আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার জানানো হবে। পরীক্ষা আয়োজনে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র মুদ্রণসহ সব প্রস্তুতি আমাদের আছে। যুগান্তর

থানচির ঝিরি-ঝর্ণাপথে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বান্দরবানের থানচিতে সাঙ্গু নদী এবং ঝিরি-ঝর্ণাপথে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রশাসন। বৃষ্টিতে সাঙ্গু নদীর পানি বেড়ে উজানে নৌ-চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।

তাই দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে মঙ্গলবার থেকে থানচি উপজেলায় সাঙ্গু নদী ঝিরি-ঝর্ণা পথে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

তবে থানচি উপজেলা সদরসহ জেলার অন্যান্য এলাকাগুলোতে দর্শনীয় পর্যটন স্পট এবং দৃষ্টিনন্দন ঝর্ণাগুলো ভ্রমণে কোনো ধরনের বাধা নেই। সব পর্যটন স্পটই খোলা রয়েছে দর্শণার্থীদের জন্য।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে সাঙ্গু নদীতে পানি বেড়ে উজানে নৌ-চলাচল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে থানচি উপজেলার নদী এবং ঝিরি-ঝর্না পথে নাফাকুম ঝর্ণা, অমিয়কুম ঝর্ণা, রেমাক্রী জলপ্রপাতসহ আশপাশের এলাকাগুলো।

দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ স্পটগুলোতে পর্যটকদের যাতায়াত সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও খুলে দেয়া হবে। তবে জেলার অন্যকোনো দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই প্রশাসনের। এদিকে রোববারও একটি দুর্ঘনায় জাকারুল ইসলাম কানন (৩৫) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।

ইতোমধ্যে নাফাকুম ঝর্ণা, রেমাক্রী জলপ্রপাত, বড়পাথর, রুমা উপজেলার তিনাফ সাইতার ঝর্ণা, রিজুক ঝর্ণা, বগালেক, জাদিপাই ঝর্ণা, সদর উপজেলার শৈলপ্রপাত ঝর্ণা, রুপালী ঝর্ণা, আলীকদম উপজেলার দামতুয়া ঝর্ণা, করুকপাড়া ঝর্ণা, রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুমসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে অসংখ্য পর্যটকের।

তবে নাফাকুম ঝর্ণাসহ বিপজ্জনক দর্শনীয় স্থানগুলো ভ্রমণে বিশেষ বিশেষ জায়গায় প্রশাসনের নেই কোনো সতর্ক চিহ্ন।

স্থানীয় প্রশাসন এবং পর্যটন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের দিকনির্দেশনা বা সতর্কতামূলক চিহ্ন সংযুক্ত কোনো সাইন বোর্ড না থাকায় ভ্রমণকারী পর্যটকেরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি বা চলাচল করতে গিয়ে পড়ে হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় দর্শনীয় স্থানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার কোনো অগ্রগতিও নেই।

ভ্রমণকারী পর্যটক সাজ্জাতউল করীম, শারমীন নাজনীন, সাব্বির রহমান অভিযোগ করে বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বান্দরবান জেলায়। পাহাড়, আকাশ, নদী এবং ঝর্ণা এখানে মিলেমিশে একাকার। তবে অনুন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনাও।

পর্যটনসমৃদ্ধ জেলা বান্দরবান ভ্রমণ পর্যটকদের নিরাপদ এবং ঝুঁকিমুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নজর দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যুগান্তর

আল্লামা শফীর স্থলাভিষিক্ত কে এই মাওলানা মাহমুদুল হাসান

Posted By admin On In উন্মুক্ত পাতা,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
মাওলানা মাহমুদুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

তোফায়েল গাজালি  : আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালে শূন্য হওয়া বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

গত শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গাপ্রেসে অবস্থিত বেফাক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মজলিসে আমেলার অধিবেশনে দায়িত্বশীলদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি বেফাকের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি বেফাকের সহসভাপতি ছিলেন।

একান্ত প্রচারবিমুখ ও বরাবরই স্রোতের বিপরীতে চলা এই আলেম হঠাৎ করে বেফাকের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে চমকে দিয়েছেন পুরো কওমি অঙ্গনকে।

সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াসহ সারা দেশের ইসলামপ্রিয় জনতা বিশেষত মাদ্রাসা শিক্ষিতদের মুখে মুখে তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে সুনামের সঙ্গে।

সব সময় সব রকমের বিতর্ক এড়িয়ে চলে ও নিভৃতে মানুষ গড়ার কাজ করে তিনি এ সুনাম কুড়িয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। প্রায় ৫০ বছর ধরে নিভৃতে তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও ইসলাম প্রচারে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৫০ সালের ৫ জুলাই ময়মনসিংহ সদরের চরখরিচা গ্রামে মাওলানা মাহমুদের জন্ম। বাবা গালীব উদ্দীন আহমাদ মা ফাতিমা রমজানী।

ময়মনসিংহের বালিয়া মাদ্রাসা, জামিয়া ইসলামিয়া মোমেনশাহী, জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ ও ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসায় পড়াশোনা শেষে পকিস্তানের বিন্নুরি টাউন থেকে শিক্ষার সর্বোচ্চ শ্রেণি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপন করেন। বিন্নুরি টাউন থেকেই তিনি ফিকাহ, হাদিস ও তাফসিরের ওপর বিশেষ ডিগ্রি লাভ করেন।

আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী, আল্লামা ইদরিস মিরাঠী, আল্লামা শায়খ ওয়ালী হাসান ও আল্লামা হেদায়াতুল্লাহসহ বিশ্ববরেণ্য আলেমদের থেকে তিনি হাদিসের সনদ গ্রহণ করেন। মাত্র ২৮ দিনে পবিত্র কোরআন শরীফ মুখস্ত করে অসাধারণ মেধা ও প্রখর স্মরণ শক্তির স্বাক্ষর রাখেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

পাকিস্তানের জামিয়া ফারুকিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন দেশবরেণ্য এই আলেম। বর্তমানে তিনি গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটির খতিব। জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী, ঢাকার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে অন্তত কয়েকশ’ ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

এছাড়া তিনি আধ্যাত্মিক সংগঠন মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমীর ও মাসিক আল-জামিয়া নামক একটি ইসলামী ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

ইসলামী লেখালেখির জগতেও রয়েছে মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সরব পদচারণা। সম্পূর্ণ কোরআন শরীফের বিশদ তাফসির রচনা করেছেন তিনি। লিখেছেন প্রায় দুই শতাধিক গ্রন্থ।

দাওয়াতুল হক আওর দাওয়াত ও তাবলিগ, ইসলাম ও আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা, নবী পরিবারের প্রতি ভালোবাসা, হায়াতে আবরার, হায়াতে উসমানি, আল বুরহানুল মুআইয়াদ, তোহফায়ে আবরার, তোহফায়ে সুন্নাহ, আদর্শ মতবাদ, মাওয়েজে হাসানাহ, সিরাতে মুস্তাকিমের সন্ধানে তার উল্লেখযোগ্য রচনা।

আরবি ও উর্দু ভাষায় তিনি অনেক কিতাব রচনা করেছেন। তার রচিত ‘আর রদ্দুল জামিল’ আরব বিশ্বে সাড়া জাগানো একটি কিতাব। আরব মুল্লুকে মাওলানা মাহমুদের বয়ান সংকলন ‘আল ইরশাদ ইলা সাবিলির রাশাদ’ একটি অনন্য বই। চার খণ্ডে রচিত ‘তাফসিরে বুরহানুল কোরআন’ পাঠকপ্রিয় গ্রন্থ।

আধ্যাত্মিক সাধনায় মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সমকক্ষ আলেম বাংলাদেশে এ সময়ে খুব কমই আছেন। তিনি শাহ আবরারুল হক, শায়খ সাইয়্যেদ ইউসুফ হাশেম রেফায়ী, শায়খ সাইয়্যেদ মাহমুদ হাশেম রেফায়ী, শায়খ ইসহাক সিদ্দিকী, শায়খ দৌলত আলী, মাওলানা আবদুল মান্নান এবং আল্লামা আহমদ শফীর কাছ থেকে আধ্যাত্মিক খেলাফত লাভ করেছেন।

ইসলামের প্রচার-প্রসার, মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন, হাদিসের পাঠদান ও লেখালেখিই তার নেশা ও পেশা। সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন তার অগণিত ছাত্র, শিষ্য ও ভক্তকুল।

দ্বীনের জন্য নজিরবিহীন ত্যাগ, আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও ভরসা সর্বোপরি অসাধারণ আত্মমর্যাদাবোধই তাকে সবার মাঝে স্বাতন্ত্র্য মর্যাদার আসনে সমাসীন করে রেখেছে।

নিজেকে আড়াল করে রাখার এক বিস্ময়কর শক্তি আল্লাহ তাকে দিয়েছেন। ইসলাম ও মুসলমানদের সেবায় জীবন-যৌবন শেষ করা এই মাওলানাকে কখনও কেউ খ্যাতি ও যশের পেছনে ছুটেতে দেখেনি।

নিজেকে মানুষের সামনে প্রকাশ করার বিন্দুমাত্র অভিলাষ নেই তার। নিরবচ্ছিন্ন সাধনা, একনিষ্ঠ পরিশ্রম আর পরিকল্পিত জীবনযাপনই তাকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে এসেছে বলে দেশের শীর্ষ আলেমরা মতামত দিয়েছেন।

জানা গেছে, ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর থেকে হেফাজতে ইসলামের আমীর, হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম ও বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি কে হবেন- সারা দেশের কওমি অঙ্গনে এ নিয়ে নানা রকমরে আলোচনা সমালোচনা চললেও মাওলানা মাহমুদুল হাসানের মতো জনপ্রিয় ও আস্থাশীল আলেম আহমদ শফীর এ পদে নির্বাচিত হওয়ার পরই সবাই একবাক্যে তাকে মেনে নিয়েছেন।

২০০৫ সালে বেফাকের সভাপতি মাওলানা নুরুদ্দীন আহমাদ গহরপুরীর ইন্তেকালের পর একই বছর বেফাকের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন আহমদ শফী। আমৃত্যু তিনি বেফাকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

একই সঙ্গে গঠনতান্ত্রিকভাবে বেফাকের সভাপতি হিসেবে ২০১৭ সালে সরকারি স্বীকৃত আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়ার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।

‘আল-হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বেফাকের সভাপতি যিনি হবেন তিনিই হবেন আল-হাইয়াতুল উলইয়ার সভাপতি। সেই হিসেবে মাওলানা মাহমুদুল হাসানই হচ্ছেন আল হাইয়াতুল উলইয়ার পরবর্তী চেয়ারম্যান। পরিচালক: আল কোরআন ইনস্টিটিউট

মেশিনম্যান সালামের হাতে প্রশ্নফাঁস, জড়িত কয়েকজন চিকিৎসকও

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরাের মেশিনম্যান আব্দুস সালাম প্রেস থেকে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বের করতেন। এরপর তারই খালাতো ভাই অন্যতম মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন মুন্নুকে তা সরবরাহ করা হতো। জসিম তার বিভিন্ন সহযোগীর কাছে ফাঁস করা প্রশ্ন সরবরাহ করতেন।

জসিমকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আব্দুস সালাম প্রশ্নফাঁসের মূলহোতা। মূলত তার হাত ধরেই প্রশ্নফাঁসের প্রক্রিয়ার শুরু। আর প্রশ্নফাঁসের এই প্রক্রিয়ায় জড়িত পাঁচ-ছয়জন অসাধু চিকিৎসক এবং তিন-চারটি কোচিং সেন্টারও।

সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের এই মূলহোতাকে বিভিন্ন সময় গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাকে ধরতে সর্বশেষ চার-পাঁচদিন নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি ও অভিযানের পর গত রাতে সফল হয় সাইবার পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে ছদ্মবেশ ধরে রাজধানীর বনশ্রীর জি-ব্লকের একটি বাসা থেকে আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির সাইবার পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের দায়েরকৃত মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের সন্ধান পায় সাইবার পুলিশ। ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত এস এম সানােয়ার হােসেনকে গ্রেফতারের পর সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

তিনি আরও বলেন, সানােয়ারের তথ্যের সূত্র ধরে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন ভূঁইয়াসহ জাকির হােসেন দিপু এবং পারভেজ খানকে। জসিমের কাছ থেকে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক, দুই কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়।

jagonews24

সিআইডি কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে কী পরিমাণ সম্পদ তারা গড়েছেন তদন্ত করছি। মানি লন্ডারিং মামলার প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে তদন্ত করছি। আসামিদের নামে-বেনামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য পেয়েছি। শুধু একজনের কথা যদি বলি, জসিমের মোট ৩৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য পেয়েছি। এসব অ্যাকাউন্টে জমা টাকার পরিমাণ ২১ কোটি ২৭ লাখ। তার স্ত্রী শারমিন আরা জেসমিন ওরফে শিল্পীর ১৪টি অ্যাকাউন্টে জমার পরিমাণ তিন কোটি ৭৮ লাখ। আমার লক্ষ করেছি, যখন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা হয়, সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বরে এই অ্যাকাউন্টগুলোতে ক্রেডিট বেশি হয়েছে।

আশরাফুল আলম বলেন, গত ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে সিআইডির সাইবার পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। তদন্ত করতে গিয়ে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসচক্রের সঙ্গে জড়িত আরও সাতজনকে গ্রেফতার করে সাইবার পুলিশ। গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে মাস্টারমাইন্ড আব্দুস সালামের নাম।

তিনি বলেন, অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ হলে প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে। প্রশ্নফাঁসের এই প্রক্রিয়ায় পাঁচ-ছয়জন অসাধু চিকিৎসক এবং তিন-চারটি কোচিং সেন্টার জড়িত থাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে।

গ্রেফতার সালামের সম্পদ সম্পর্কে জানতে চাইলে আশরাফুল আলম বলেন, তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই বললেই চলে; তবে তার নেশা হলো জমি কেনা। তিনি কী পরিমাণ জমির মালিক তা জানার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, মেডিকেল প্রশ্নফাঁসে ভর্তি অনেকেই এখন চিকিৎসক। মামলার তদন্ত শেষে পরে জালিয়াতি করে ভর্তি ও পাস করা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে। আব্দুস সালামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। এ চক্রে আর কারা জড়িত তার জন্য চেষ্টা করা হবে। জাগো নিউজ