- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

ওসি প্রদীপের পর কারাগারে ডিভিশন পেলেন ইন্সপেক্টর লিয়াকত

নিউজ ডেক্স : মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আটক টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে জেলহাজতে ডিভিশন দেয়া হয়েছে।আদালতের নির্দেশে তাকে এই ডিভিশন দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। কারাগারের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আদালতের নির্দেশে ডিভিশন সুবিধা ভোগ করছেন। বর্তমানে প্রদীপ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

কক্সবাজার কারাগার সূত্রে জানা যায়, আদালত থেকে লিয়াকতের ডিভিশন সুবিধার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী তাকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়েছে। কারা নিয়ম অনুযায়ী তিনি সেখানে সব সুবিধা পাচ্ছেন।

এদিকে প্রদীপের দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় একটি নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।তাতে বলা হয়, প্রদীপ কুমার দাশ আত্মীয়স্বজন ও তার আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না। তবে আত্মীয়স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কারাবিধি অনুযায়ী টেলিফোনে কথা বলতে পারবেন।

গত ৮ আগস্ট কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ওসি প্রদীপ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে ডিভিশন দিতে প্রত্যয়নপত্র দেন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন দু’টি বাতিল করে দেয়। সেই প্রত্যয়নপত্রে ওসি প্রদীপকে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে ডিভিশন দেয়ার আবেদনপত্র দেন পুলিশ সুপার।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় ৩১ জুলাই রাতে এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান।এরপর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে ঘটনাটি।

নিহতের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে পুলিশের নয়জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার সাহা, বাহারছড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলীসহ নয়জনকে আসামি করা হয়। এরপর সাত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়।

মামলাটিতে এখন পর্যন্ত মোট আসামির সংখ্যা ১৪ জন যাদের সবাই কারাগারে আছেন। এরই মধ্যে অনেকে নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। দৈনিক আজাদী

ভিডিও ভাইরালের আগে ৩২ দিন পুলিশ কী করেছে, প্রশ্ন হাইকোর্টের

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে গত মাসের (সেপ্টেম্বর) শুরুতে। এর ৩২ দিন পর অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এ পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও। কিন্তু এ ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময়ে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা কী ছিল- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, ‘৩২ দিন পর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে- এর আগে পুলিশ কী করেছে?’ অন্যদিকে কোনো মানবাধিকার সংগঠন আদালতের শরণাপন্ন না হওয়ায় হতাশাও প্রকাশ করেছেন উচ্চ আদালত।

সোমবার (৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ (ভার্চুয়াল) এমন মন্তব্য করেন। এরপর রুল জারিসহ ও পাঁচ দফা নির্দেশনা দেন আদালত।

এ আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিনউদ্দিন, সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান, জামিউল হক ফয়সাল, রাশিদা চৌধুরী নিলু, তানজীম আল ইসলাম প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।

শুনানিতে আদালত বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ঘটনার ৩২ দিন পর যখন ভিডিও ভাইরাল হলো তখন পুলিশ তৎপর হয়েছে। এর আগে তারা কী করেছে? এই ভিডিও যদি ভাইরাল না হতো তাহলে তো পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতো না। ঘটনা সবার চোখের আড়ালেই থেকে যেত।’

একই সঙ্গে এ ঘটনায় কোনো মানবাধিকার সংগঠন বা নারী সংগঠন প্রতিকারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমরা আশাহত হয়েছি যে, অধিকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ব্লাস্টের মতো সংগঠন বা কোনো নারী সংগঠন এগিয়ে আসেনি।’

এর আগে সকালে ওই ঘটনা নিয়ে সোমবারের (৫ অক্টোবর) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। নজরে আনার পর তাদের একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেন আদালত। বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শুনানির সময় নির্ধারণ করেন।

দুপুরে বিরতির পরে আদালতের নির্ধারিত সময়ে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারণের আবেদন জানান।

তারা বলেন, ‘এটা একটি জনস্বার্থমূলক বিষয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি এখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়ে গেছে। এটা থাকলে সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। এটা অপসারণ করা দরকার। তবে ভিডিওটি সাক্ষ্য হিসেবে সংরক্ষণের জন্য বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনাও চাচ্ছি।’

এছাড়া অন্য আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল আদালতে আর্জি তুলে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চাচ্ছি।’

জেড আইন খানের এই আর্জির সঙ্গে একমত পোষণ করে তিনি নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন। এ সময় শুনানিতে অংশ নেন অন্য আইনজীবীরা।

শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা জঘন্যতম অপরাধ। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আমি মনে করি, মামলাটি আপনাদের (হাইকোর্ট) পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। বিটিআরসির প্রতি একটি নির্দেশনা থাকা দরকার, যাতে এ ধরনের কোনো ভিডিও কেউ আপলোড করতে না পারে এমন নির্দশনা থাকা দরকার।’

ভার্চুয়ালে সংযুক্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনায় সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আমি মনে করি, এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে মনোবিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে দেখা উচিত কেন এ ধরনের ঘটনা একের পর এক ঘটছে। তাই এটাকে বিচারিক নজরে রাখা প্রয়োজন।’

সুপ্রিম কোর্টের অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা এখন সারাদেশেই ঘটছে। কিন্তু ঘটনায় জড়িতরা রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। সব তথ্য মানুষের কাছে আসছে না। এসব কারণে কোনো কোনো ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার।’

রাশিদা চৌধুরী নিলু নিজেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার সন্তান উল্লেখ করে বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ খুবই তৎপর।’ এ সময় আদালত সঙ্গে সঙ্গে ওই আইনজীবীর প্রতি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘পুলিশ কখন তৎপর হয়েছে?’

হাইকোর্ট ওই আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘৩২ দিন পর যখন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে- এর আগে পুলিশ কী করেছে? এ সময় রাশিদা চৌধুরী নিলু বলেন, ‘এখন থেকে বিচারের দিকটি আপনারা ফলোআপে রাখলে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না।’

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক একজন নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর করছে। তাদের একজন পা দিয়ে ওই নারীর মুখ চেপে ধরেছে। বারবার আকুতি জানানোর পরও তার ওপর নির্যাতন থামেনি।এদিকে এ ঘটনায় ওই নারীর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রোববার (৪ অক্টোবর) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে তারা মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।

সোমবার দুপুর ২টায় র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৫ অক্টোবর রাত আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মো. দেলোয়ার হোসেনকে (২৬) একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে দেলোয়ারের দেয়া তথ্যানুযায়ী ৫ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ফাঁড়ির গলি এলাকা থেকে ঘটনার প্রধান আসামি নূর হোসেন বাদলকে (২০) গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসামিরা ঘটনা ঘটানোর কয়েক দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতার কাছে টাকা দাবি করে।

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে নির্যাতনসহ সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন সম্মিলিত ছাত্র-জনতা। এদিকে রাজধানীর উত্তরা ও নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পাওয়া গেছে।

শাহবাগের কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিনের বিচারহীনতায় নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব ঘটনায় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন জড়িত। নোয়াখালীর ওই ঘটনা ৩২ দিন আগের। এতদিন রাষ্ট্র, এই সরকার কী করেছে? এভাবে আর চলতে পারে না। এবার রাস্তায় নেমে আসতে হবে।’ জাগো নিউজ

নোয়াখালীতে নারী নির্যাতনের ঘটনা ‘ষড়যন্ত্র’ হতে পারে : আইনমন্ত্রী

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ‘ষড়যন্ত্র’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

তিনি বলেন, এমন বীভৎসতা স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না। বিশেষ করে বিবস্ত্র করার পর ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে আপলোড করা ভয়ঙ্কার এবং কুরুচিপূর্ণ ঘটনা। অধিকতর তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটিকে একটি নিছক সামাজিক অপরাধ বলা যায় না! মিডিয়ায় নির্যাতনের বর্ণনা দেখলাম। গা শিউরে উঠল! এর থেকে খারাপ কিছু হতে পারে না। আমার কাছে ষড়যন্ত্র মনে হয়েছে। তবে তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে।’

‘কী কারণে ষড়যন্ত্র মনে করছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের আটক করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হবে। জিজ্ঞাসাবাদেই সব বেরিয়ে আসবে। বিচারের ব্যাপারে আপনারা অবগত। আমাদের প্রসিকিউশন শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে আলোচিত মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে। এমন মামলাগুলো সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আমলে নিয়ে আমরা অ্যাকশনে যাচ্ছি। অপরাধীরা সাজাও পাচ্ছে। এটি তো প্রমাণিত হচ্ছে। এই ধারা চলবেই।’

‘আপনি বলছেন, বিচার হচ্ছে। কিন্তু অপরাধের ভয়াবহতা বাড়ছেই’ এর জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কী কারণে সমাজের এই অস্থিরতা, তা আগে নির্ধারণ করতে হবে। অস্থিরতা, কুরুচি, নাকি ষড়যন্ত্র তা নির্ধারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নির্যাতনের সময় ভিডিও করে তা আপলোড করার বিশেষ উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। এসব অপরাধ কেন ঘটছে আমরা সিরিয়াসলি খুঁজে বের করব।’

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রোববার (৪ অক্টোবর) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে তারা মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করে।

এদিকে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি অনলাইন মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে বলা হয়েছে, একটি ভিডিওর কপি সংরক্ষণে রাখতে। ২৮ অক্টোবর এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

একই সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে স্থানীয় পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য সেখানকার স্থানীয় সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল, সমাজসেবা অফিসারসহ তিনজনের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারকে (এডিসি) এ বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে নির্যাতনসহ সারাদেশে সংঘটিত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সম্মিলিত ছাত্র-জনতা। রাজধানীর উত্তরা ও নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পাওয়া গেছে। জাগো নিউজ

গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় রহিম-রহমত উল্লাহ রিমান্ডে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার মো. আব্দুর রহিম ও রহমত উল্লাহর তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে তাদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মাসফিকুল হক তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে ঢাকায় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মামলার প্রধান আসামি বাদল ও সন্দেহভাজন দেলওয়ার। এ নিয়ে এ মামলায় নোয়াখালী ও ঢাকা থেকে মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে রোববার (৪ অক্টোবর) রাতে ৯ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ উল্লেখ করেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দীর্ঘদিন পর বাবার বাড়িতে তার স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষে স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যাসহ অজ্ঞাত আসামিরা দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে।

এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে তারা তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে।

এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে আসামিরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। জাগো নিউজ

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ অভ্যন্তরীণ কোটা থাকছে

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,শিক্ষাঙ্গন,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : চলতি মাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ওই সূত্র বলছে, সহকারী শিক্ষকের পদটি ১৩তম গ্রেড হওয়ায় এবার জাতীয় কোটা বাতিল হলেও শতভাগ অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল থাকছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ১০ হাজার শূন্যপদে (কম-বেশি) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রাক-প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে ডিপিই থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ বছর পদটি সরাসরি ১৩তম গ্রেডে উন্নীত হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কোটা রাখা হবে কি-না, তার ব্যাখ্যা চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকল কোটা বাতিল করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রেখে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে সোমবার (৫ অক্টোবর) সম্মতি দেয়া হয়েছে। এদিনই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিপিই) নির্দেশনা দিয়েছে।

জানা গেছে, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের সব কোটা বাতিল করা হয়েছে। কোটাগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা। এখন সহকারী শিক্ষকদের যোগদানকালেই ১৩তম গ্রেড দেয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় কোটা বাতিল করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল থাকছে। এগুলোর মধ্যে আবার প্রতিটিতে ২০ শতাংশ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কোটা অনুসরণ করা হবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) এ এম মনসুর আলম সোমবার বলেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২৫ হাজার ৩০০ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এটি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প- ৪ (পিইডিপি) এর আওতাভুক্ত হলেও প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এ স্তরের শিক্ষকদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া শূন্য সব পদে আরও ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। দুই স্তরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অধিদফতর থেকে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, কোটা অনুসরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাই। সেখান থেকে সরকারি চাকরি নিয়োগবিধি ১৮ এর ২ ধারা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রেখে জাতীয় কোটা বাতিল করতে বলা হয়। সেটি অনুসরণ করে ডিপিইকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ এম মনসুর আলম বলেন, সর্বশেষ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে সব কোটা বাতিল করা হবে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা বহাল থাকবে। সে অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

অন্যদিকে ডিপিইতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনকারী নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) বা সমমান ডিগ্রি করা হয়েছে। গত বছর অনলাইন আবেদন ফি ১৬৬ টাকা হলেও এবার আবেদন ফি কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। বুয়েট ও টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সহায়তায় আবেদন গ্রহণ, কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো, খাতা মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রেখে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত হওয়া বিষয়গুলো উল্লেখ করে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। জাগো নিউজ

পেঁয়াজের বাজারে আবারও শুরু হয়েছে সিন্ডিকেট কারসাজি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : পেঁয়াজের বাজারে আবারও শুরু হয়েছে সিন্ডিকেট কারসাজি। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর থেকে দেশের আমদানিকারকরা মিয়ানমার, চীন, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ড, মিশর, তুরস্ক এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির এলসি (ঋণপত্র) খুলেন। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ইতোমধ্যে মিয়ানমার এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। সংকট বিবেচনায় বন্দর কর্তৃপক্ষও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেঁয়াজের চালান খালাসে উদ্যোগী হয়। খালাস হওয়া সেইসব পেঁয়াজ বাজারে প্রবেশ করলেও এখনো দামের কোনো হেরফের হচ্ছে না। এখনো পাইকারি বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।

অথচ বর্তমানে বাজারে মিয়ানমার ও পাকিস্তানি পেঁয়াজের পাশাপাশি দেশি পেঁয়াজেরও সরবরাহ বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের চাষিদের পেঁয়াজ ইতোমধ্যে বাজারে প্রবেশ করেছে। সেই দেশি পেঁয়াজের বাজারও গরম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছর ঠিক একইভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছেন।

এছাড়া পেঁয়াজের আমদানিমূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্য প্রায় দ্বিগুণ ছিল। প্রশাসনেরও অভিযানও দমাতে পারেনি চক্রটিকে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পাঁচশতাধিক টন পেঁয়াজ এসেছে। অথচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার বলছেন, পেঁয়াজ কত টাকায় বিক্রি করতে হবে সেটি আমদানিকারকরা নির্ধারণ করে দেন। মোবাইল ফোনে বলে দেন কি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হবে। এখানে আমরা কেবল কিছু কমিশন পেয়ে থাকি। পেঁয়াজের বাজার বাড়লেও আমাদের কমিশনের পরিমাণের কোনো পরিবর্তন হয় না। উল্টো বাজার বাড়লে আমাদের বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।

গতকাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে পর্যাপ্ত দেশি পেঁয়াজের মজুদ রয়েছে। যদিও দাম চড়া। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৬৫ টাকা এবং পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, গত ৪-৫ দিন যাবত বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। আসলে এখানে সিন্ডিকেটের কারসাজির অভিযোগটি সত্য নয়। বন্দর থেকে আশানুরূপ পেঁয়াজের চালান খালাস হয়নি। শুনেছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে খালাসের পরিমাণ বাড়বে। তখন বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাবে। আর সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম এমনিতেই কমে যাবে।

এদিকে চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের (প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টিন স্টেশন) উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, ৩৫০টি আইপির (আমদানি অনুমতিপত্র) বিপরীতে দেশের ৭০-৭৫ জন ব্যবসায়ী বিশ্বের ১২টি দেশ থেকে মোট এক লাখ ৬১ হাজার ২৫৭ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেন। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছ থেকে ৭৮৬ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারমধ্যে কেবল আজ (গতকাল) ছাড়পত্র নিয়েছে ৪৪৬ টন পেঁয়াজের।

জানতে চাইলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে গত বছরও কারসাজিতে মেতেছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ বছরও তারা এই পথেই হাঁটছে। দেখা যায়, প্রশাসন অভিযান চালাতে গেলে তারা আন্দোলন করে দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। পেঁয়াজের কারসাজি বন্ধে প্রশাসনকে সর্বোচ্চ কঠোর হওয়া উচিত বলে মনে করি। দৈনিক আজাদী

গৃহকর্মী নিয়োগে আদালতের ৬ নির্দেশনা

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাসায় গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতার জন্য আদালতের ৬ দফা নির্দেশনা এসেছে ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যা মামলার রায়ে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েই এ ধরনের অপরাধ প্রতিহত করা সম্ভব। এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ মামলার আসামিরা কোনোভাবেই অনুকম্পা পেতে পারে না। বিচারক বলেন, গৃহকর্মী মোসাম্মৎ রেশমা আক্তার ওরফে রুমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্নার মত আর কেউ যেন ভুল পথে অগ্রসর হতে না পারে, সেজন্য বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রীকেও জরুরিভাবে সতর্ক হতে হবে। সেই সতর্কতার জন্য ছয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রায়ের পর্যবেক্ষণে।

১. গৃহকর্মী নিয়েগের তারিখ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত তাকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে, যাতে তারা বাসার মূল্যবান মালামাল চুরি করে পালিয়ে যেতে না পারে। গৃহকর্মী কোনো অন্যায় কাজ করলে তাকে কোনো প্রকার আঘাত বা মারধর না করে সংশ্লিষ্ট থানা বা সমাজসেবা অফিসারকে এ বিষয়ে অবগত করতে হবে।
২. বাসার গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই তার বিস্তারিত তথ্য রাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে গৃহকর্মীর জীবন বৃত্তান্ত ও ছবি রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট থানায় তা জমা দিতে হবে।
৩. বাসার মূল প্রবেশ পথে সিসি ক্যামেরা না থাকলে অবিলম্বে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. কোনো গৃহকর্মী যদি অন্য কোনো গৃহকর্মীকে কোনো বাসায় কাজ দেয়, তাহলে তার নাম ঠিকানাও সংশ্লিষ্ট থানায় সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে কোম্পানির কার্যক্রমের বিষয়ে অবগত করতে হবে। লাইসেন্স না থাকলে সেই কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
৬. গৃহকর্মী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই তাদের নিবন্ধিত গৃহকর্মীদের ছবি ও জীবন বৃত্তান্ত থানায় জমা দিতে হবে।

এর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ১৫ পৃষ্ঠার রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সমপ্রতি রাজধানীতে গৃহকর্মী সেজে প্রতারণার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। মূলত অভিজাত এলাকাগুলোকে টার্গেট করে এসব প্রতারকচক্র তাদের কার্যক্রমের পরিকল্পনা করে। প্রতারকরা বিভিন্ন গ্রুপে বাসা ও মেসে কাজ করার নামে সুযোগ বুঝে কৌশলে টাকা-পায়সা, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, স্বর্ণালঙ্কার ইত্যাদি চুরি করে এবং মারামারিসহ বাসার বাসিন্দাদের অজ্ঞান বা হত্যা করে মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়। সমপ্রতি সোনার দাম বাড়ার পর বাসা থেকে স্বর্ণালঙ্কার বা মূল্যবান মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে গৃহপরিচারিকাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারক।

রায়ে তিনি বলেছেন, এসব প্রতারকচক্রে কয়েকজন সদস্য এবং একজন দলনেতা থাকে। দলনেতা প্রত্যেক সদস্যকে বাসা নির্দিষ্ট করে দেন। প্রতারণা করে পাওয়া জিনিসপত্র বিক্রির টাকার একটি অংশ দলনেতাকে দিতে হয়। বাসার সদস্যদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ফেলে বা শ্বাসরোধে হত্যা করে এসব প্রতারক চক্র। বাসা বাড়িতে গৃহকর্মী সরবরাহ করার নামেও প্রতারণা করে চলেছে কিছু প্রতিষ্ঠান। নাম সর্বস্ব এসব প্রতিষ্ঠানের ফাঁদে পড়েও রাজধানীবাসী হয়রানির শিকার হচ্ছে। দারোয়ানের বা অন্যান্য লোকজনের চোখ এড়িয়ে ময়লার বালতি বা ব্যাগে ভরে অথবা বোরকা পড়ে বাসার মূল্যবান মোবাইল ফোন, বা অলঙ্কার বা নগদ টাকা-পয়সাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। খবর বিডিনিউজের।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় নাকি আট লেন হবে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। ব্যস্ততম এই সড়কে দিন দিন বাড়ছে যানবাহনের চাপ। ২০১৭ সালে কক্সবাজারে এক জনসভায় দুই লেনের সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এই মহাসড়ককে চার লেন করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মহাসড়কটি ছয় লেন বা আট লেন করতে বুয়েট বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি চালাচ্ছে সরকার। স্টাডি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে জানা যাবে মহাসড়কটি কয় লেনের হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৯ সালে সরকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি চার লেনের বদলে ছয় লেনের ‘এক্সেস কন্ট্রোল এক্সপ্রেসওয়ে’ নির্মাণ করার পরিকল্পনা করে করে সরকার। কক্সবাজার ঘিরে সরকারের জ্বালানি উৎপাদন অঞ্চল, সাবরাং ও সোনাদিয়ায় বিশেষায়িত পর্যটন অঞ্চল এবং মহেশখালীর মাতারবাড়িতে সমুদ্রবন্দর নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। সেই সুফল পেতে দুটি ইমার্জেন্সি লেনসহ ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ছাড়াও ধীরগতি এবং স্থানীয় গাড়ি চলাচলের জন্য দুটি সার্ভিস লেন নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবে এই মহাসড়ককে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য আরো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করছে সরকার। এজন্য বার বার সিদ্ধান্ত বদল করে নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হচ্ছে।

ছয় বা আট লেন যা-ই হোক, কর্ণফুলী সেতুর পর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে হবে টোল রোড। অর্থাৎ এই রোডে চলতে গেলে মাশুল দিতে হবে। সড়কের গতিসীমা ঠিক রাখতে বাইরে থেকে এক্সেস কন্ট্রোল বা যান প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। দীর্ঘ সড়কের দুই পাশে থাকবে নেট ফেন্সিং বা ঘেরা দেওয়া। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও স্থানে নির্মিত হবে ওভারপাস কিংবা আন্ডারপাস। যাতে মূল সড়কের চলাচল নিরবচ্ছিন্ন থাকে। আর কম গতির গাড়ির জন্য মূল লেনের বাইরে দুই পাশে থাকবে দুটি সার্ভিস লেন। নির্ধারিত স্থান থেকে গাড়ি মূল সড়কে ওঠার সুযোগ থাকবে। দুর্ঘটনা বা বিপদের সময় বের হওয়ার জন্য দুপাশে দুটি জরুরি এক্সিট লেন বা বের হওয়ার পথ রাখা হবে। অর্থাৎ সর্বশেষ প্রযুক্তি নিয়ে এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হবে। গতি হবে ঘণ্টায় একশ কিলোমিটার।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পের আওতায় জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) ভিত্তিতে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। প্রাথমিকভাবে জাপানের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মারুবেনি কর্পোরেশনকে নির্মাণ কাজ দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। সেটি চূড়ান্ত হতে কত সময় লাগবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ফিজিবিলিটি স্টাডির প্রতিবেদন পরবর্তী সরকারের পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করছে কবে নাগাদ নতুন পরিকল্পনায় এই সড়ক নির্মাণ হচ্ছে।

প্রকল্পের পিপিপি কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন ইতোপূর্বে বলেছিলেন, চার লেন প্রকল্পের স্টাডি রিপোর্টের ওপর নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করেই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এজন্য বুয়েট বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি করতে গত বছরের জুলাই মাসে চুক্তি হয়। বুয়েট বিশেষজ্ঞরা প্রকল্পের ডিজাইন ও অর্থায়ন চূড়ান্ত করে রিপোর্ট দেবে। এরপর প্রকল্প প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে অনুমোদনের জন্য কেবিনেট কমিটি অব ইকোনমিতে পাঠাবেন। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী অনুমোদন দিলে কাজটি শুরুর জন্য চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে ফিজিবিলিটি স্টাডির বর্তমান কী অবস্থা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, জাপান সরকার এই প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে মারুবেনি কর্পোরেশনের নাম প্রস্তাব করেছে। তবে সেটি চূড়ান্ত হবে ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট দেওয়ার পর। আর সরকার প্রকল্প বিনিয়োগ করবে কিনা তা-ও চূড়ান্ত হবে রিপোর্ট পাওয়ার পর। তাই এখনই বলা যাচ্ছে না কবে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হবে।

বর্তমানে মহাসড়কের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দুই লেনের সড়ক। দোহাজারী থেকে চন্দনাইশ পর্যন্ত দেড় থেকে দুই লেনের সড়ক। পটিয়া থেকে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত দেড় লেনের সড়কটি সবচেয়ে খারাপ, আঁকাবাঁকা ও ঝুঁকিপূর্ণ।

এদিকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে। বন্দর চালুর আগেই তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক গতিশীল করতে চায়। সড়কটি চার, ছয় কিংবা আট লেনে নির্মিত হওয়ার আগেই পাঁচটি সেতু নির্মিত হচ্ছে, যেগুলো ছয় লেনের। এসব সেতু ঘিরে যাতে কোনো যানজট না হয় সেজন্য আগেভাগে অন্তত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ও যানজটপ্রবণ স্থানে মাটির উপরে ওভারপাস, মাটির নিচে আন্ডারপাস নির্মাণ করবে জাইকা।

জাইকার এক কর্মকর্তা বলেন, পাঁচটি স্থানে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আগেভাগে ওভারপাস-আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য জাইকার অর্থায়নে ফিজিবিলিটি স্টাডি হচ্ছে। জাইকার ফান্ড থেকেই সেটি বাস্তবায়িত হবে। মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর চালুর আগেই এটি নির্মাণ করতে চাই। এজন্য আমরা এক মুহূর্তের জন্যও পিছিয়ে থাকতে চাই না।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম আজাদীকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন এই মহাসড়ক চার লেনে রূপান্তর করতে। বর্তমানে কক্সবাজার ঘিরে মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব মেগা প্রকল্পের সুফল পেতে সরকার সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। তাই আগামী ৫০ বছরে কক্সবাজারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কোন পর্যায়ে উন্নীত হবে সেই ভাবনা মাথায় রেখেই মহাসড়কটি নিয়ে নতুন করছে ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, বুয়েট বিশেষজ্ঞদের ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট না পাওয়ার আগে এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাবে না সড়কটি ছয় লেন নাকি আট লেনের হবে।

সড়কটির প্রকল্প পরিচালক (ফোকাল পয়েন্ট) শ্যামল ভট্টাচার্য গতকাল বিকালে বলেন, কক্সবাজার ঘিরে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব প্রকল্পের কারণে ভবিষৎ চিন্তা করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে চার লেন রূপান্তন করা থেকে সরে এসেছে সরকার।

তিনি বলেন, সড়কটি ছয় লেন বা আট লেনে রূপান্তর করতে বর্তমানে বুয়েট বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে। মহাসড়কের পাঁচটি পয়েন্ট পটিয়া, দোহাজারী, কেরানীহাট, লোহাগাড়া ও চকরিয়ায় জোর দেওয়া হচ্ছে। এসব পয়েন্টে যানজট হয় এবং বাজার রয়েছে। এসব পয়েন্টে প্রয়োজন অনুপাতে আন্ডারপাস-ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। তাই কবে নাগাদ নতুন করে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে তা এই মুহূর্তে বলার সময় আসেনি। দৈনিক আজাদী

চরম্বায় ভূমি দস্যুর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসীর মানববন্ধন

Posted By admin On In অন্যান্য | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চরম্বায় ভূমি দস্যুর অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। রোববার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ইউনিয়নের মাইজবিলা এলাকায় ‘আমরা চরম্বাবাসী’র উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আহমদুল্লাহ, চরম্বা সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইসহাক, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পরিষদ লোহাগাড়া শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব কোম্পানী, যুবলীগ নেতা মো. খানে আলম, চরম্বা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, তসলিমা আক্তার, মো. জোনাইদ ও মাস্টার নুরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চরম্বা ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক এনাম।

সভায় বক্তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে চরম্বা ইউনিয়নের মাইজবিলা এলাকায় বসবাস করে আসছি। ভূমি দস্যু, সরকারি পাহাড়-টিলা জবর-দখলকারী ও বালু খেকো আবুল কাশেম প্রকাশ বালু কাশেমের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীকে জিম্মি করে হুমকি-ধমকী দিয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে, আবার কোন কোন জায়গায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি পরিচয় দিয়ে আমাদের বসতভিটা ও জায়গা-জমি দখল করে গাছপালা কেটে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে হামলা, মিথ্যা মামলা ও নানা রকম নির্যাতন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে ওই বালু কাশেম। তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিদওয়ান, চরম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ খান ও নারী নেত্রী মনোয়ারা বেগমসহ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে, অভিযুক্ত আবুল কাশেম প্রকাশ বালু কাশেম মুঠোফোনে জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার।

লোহাগাড়ায় ৬ সন্তানের জননীর আত্মহত্যা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পদুয়ায় বাপের বাড়িতে খুরশিদা আক্তার (৪৮) নামে ৬ সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (৫ অক্টোবর) ভোরে ইউনিয়নের নয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই এলাকার মৃত আবদুন নবীর মেয়ে ও উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের আখতারিয়া পাড়ার প্রবাসী আবদুর শুক্কুরের স্ত্রী।

নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন যাবত মানসিক ভারসাম্যহীন রোগে আক্রান্ত ছিলেন খুরশিদা আক্তার। সপ্তাহ খানেক আগে চিকিৎসার জন্য পদুয়ায় বাপের বাড়িতে আসেন। ঘটনারদিন পরিবারের সকলের অগোচরে ঘরের ছাদের বীমের সাথে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে ঝুঁলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তবে আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানাতে পারেনি কেউ।

লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল লিপিবদ্ধ করেন। কারো কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।