- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

মালয়েশিয়ায় ফ্ল্যাটের মালিক ৮০০০ বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক ডেক্স : সেকেন্ড হোম হিসেবে যেসব বিদেশি নাগরিক মালয়েশিয়াকে বেছে নিচ্ছেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশিদের অবস্থান তৃতীয়। এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বিদেশিরা স্থাবর সুবিধা ও রাজস্ব হিসেবে দেশটির জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ হচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন না করায় অনেক বাংলাদেশি এই সুযোগ নিচ্ছেন। সম্প্রতি দেশটির সারওয়াকে সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে নতুন সংশোধিত প্রয়োজনীয়তা এবং বিধিমালা রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে। এতে নতুন নীতিমালায় রাজ্যে বাড়ি নির্মাণে বা সেকেন্ড হোম করতে বিদেশিরা আকৃষ্ট হবেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। 

নতুন আবেদনকারীদের নিজ দেশে প্রাসঙ্গিক সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভালো আচরণের একটি চিঠি জমা দিতে হবে আবেদনের সঙ্গে এবং অংশগ্রহণকারীদের কোনও অপরাধমূলক অপরাধ থাকলে এসএমএম ২ এইচ পাসটি বাতিল করা হবে। 

চলমান, মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার এবং সীমান্ত বিধি-নিষেধের কারণে বিদেশিরা এই মুহূর্তে সরওয়াকে আসতে পারছেন না। সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে আবেদনকারীর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে রাজ্য অনড়। এক্ষেত্রে অপরাধী বা অর্থপাচারের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িতদের রাজ্যে স্বাগত জানায় না বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

Malaysia-2

এদিকে গত জুলাই পর্যন্ত এক বছরে ১ হাজার ২০০ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় ফ্ল্যাট, বাড়ি কেনার জন্য দেশটির সেকেন্ড হোম প্রকল্পভুক্ত হয়েছেন। এর আগে ৭ হাজার বাংলাদেশি এই প্রকল্পভুক্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। তারা বৈধভাবেই দেশটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট নতুন করে ১ হাজার ২০০ বাংলাদেশির সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের বৈধ অধিকার পাওয়ার তথ্য জানায়। মালয়েশিয়া সরকার বিদেশিদের সে দেশে জমি, ঘর-বাড়ি কিনে বাস করার আইনসম্মত অধিকার দিয়েছে। বিদেশি অর্থ, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে তাদের এ নীতি ব্যাপক সাফল্য এনেছে।

৫০ বা তার বেশি বয়সী বিদেশিকে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য দেশটির ব্যাংকে দেড় কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট আকারে জমা রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আবেদনকারীর মাসিক আয় হতে হবে ১০ হাজার রিঙ্গিত। যাদের বয়স পঞ্চাশের নিচে, তাদের ফিক্সড ডিপোজিট তিন কোটি টাকা ও মাসিক আয় দেখাতে হয় ২০ হাজার রিঙ্গিত।

মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের হোম প্রকল্পভুক্ত থেকে আগ্রহী বিদেশিদের ফিক্সড ডিপোজিট ও মাসিক আয় প্রদর্শনের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়িয়েছে। তার পরও বিদেশিদের আগ্রহ কমেনি। 

Malaysia-4

জানা গেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, আমিরাত, কুয়েত, ভারত, পাকিস্তান, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ মালয়েশিয়াকে তাদের সেকেন্ড হোম হিসেবে বেছে নিয়েছে। আরও ৫০ হাজারের বেশি আবেদন প্রক্রিয়াধীন। বাংলাদেশ থেকে আরও ৪ হাজার আবেদনকারী রয়েছেন, যারা নির্ধারিত পরিমাণ ফিক্সড ডিপোজিট জমা রেখেছেন। মাসিক আয়ও দেখিয়েছেন। 

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তারা সেকেন্ড হোম প্রকল্পভুক্ত হবেন। বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে মালয়েশিয়া আট বছর আগে এ প্রকল্প চালু করে। এতে তারা বিপুল সাড়া পাওয়ার পর বিদেশিদের প্রকল্পভুক্ত করার হার কিছুটা কমিয়ে এনেছে। বাংলাদেশিদের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়ার ঘটনা মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকেও বিস্মিত করেছে। 

প্রকল্পভুক্ত ও আবেদনকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে ৯০ শতাংশই ব্যবসায়ী, আমদানি-রফতানিকারক ও শিল্পপতি। বাকিরা সাবেক আমলা, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ ও বিভিন্ন পেশাজীবী। তবে সেকেন্ড হোম করতে যে টাকার প্রয়োজন হয়, তা বাংলাদেশ থেকে কেউই বৈধপথে নেননি। নিরাপত্তার অজুহাতে চলছে অবৈধভাবে অর্থপাচার। দেশটিতে সেকেন্ড হোমে বসবাসকারী অনেকের কাছেই ওপেন সিক্রেট। বিষয়টি জানে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও। তবুও থামছে না এ অর্থপাচার।

২০১৫ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল নিয়ে একটি কমিটিও করা হয়েছিল। ওই কমিটির কার্যপরিধি সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছিল, আয়কর না দিয়ে অবৈধভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বিদেশে পাচার বা সেকেন্ড হোম নির্মাণ করেছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়েছিল। তিন সদস্যের বিশেষ টিম সেকেন্ড হোম নেয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে অনুসন্ধানও চালিয়েছিল। 

Malaysia-4

এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগের মাধ্যমে ১০ বছর মেয়াদি মালয়েশিয়ান ভিসাকারীদের রয়েছে এমন তালিকা তৈরির পরই কাজ শুরুর কথা ছিল কিন্তু বাস্তবে কোনোটাই আলোর মুখ দেখেনি।

জানা গেছে, এ ধরনের সুবিধা পেতে মালয়েশিয়ার ব্যাংকে মোটা অঙ্কের অর্থ জমা রাখতে হলেও এদেশের সুযোগ গ্রহণকারীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। অনেকেই বলছেন, মালয়েশিয়া টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন না করায় বাংলাদেশিরা এই সুযোগ নিচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবাসী বলছেন, বাংলাদেশের সরকারকে এ বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে। কেন নিজের দেশ ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করতে যাচ্ছে মানুষ। মালয়েশিয়া আমাদের জন্য যা করতে পারছে, আমরা কেন তা পারছি না। 

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ কবে অন্য দেশের মানুষের সেকেন্ড হোম হবে, সেদিকে নজর দেয়া উচিত। সেকেন্ড হোমের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবীণ প্রবাসী কমিউনিটি নেতা বলেন, জীবনের নিরাপত্তা ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা ছাড়াও মালয়েশিয়ার শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাও বাংলাদেশিদের সেকেন্ড হোম বানানোর অন্যতম কারণ।  জাগো নিউজ

ট্রাম্পের অবস্থা গুরুতর ছিল, স্বীকার করল হোয়াইট হাউস

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

আন্তর্জাতিক ডেক্স : হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস বলেছেন, শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সরকারিভাবে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল, আসলে বাস্তব পরিস্থিতি তারচেয়েও গুরুতর ছিল। ওইদিন ট্রাম্পের জ্বর বেড়ে যায় এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমে যেতে থাকে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় সময় শনিবার রাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান মিডোস। তার এই মন্তব্য করোনা আক্রান্ত ৭৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের দেয়া তথ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

ফক্স নিউজের জিনাইন পিরোকে মিডোস বলেছেন, আমি আপনাকে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি জানাতে পারি, সেটি হলো আমরা দেখছি বর্তমানে প্রেসিডেন্টের জ্বর নেই। আসলেই তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটছে।

রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শনিবার সকালেও আমরা এটি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন ছিলাম। তার জ্বর ছিল এবং অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছিল। তারপরও প্রেসিডেন্ট স্বাভাবিকভাবেই উঠে দাঁড়াচ্ছিলেন এবং চলাফেরা করছিলেন।

এর আগে, শুক্রবার হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মিডোস জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরে করোনা মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি হোয়াইট হাউসের কাজ স্বাভাবিকভাবে করেছেন।

পরে ওয়াল্টার রিড এবং জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা প্রেসিডেন্টকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

মিডোস বলেন, চিকিৎসক-সহ আমাদের অনেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে থাকলেও শনিবার সকাল থেকে তার অবিশ্বাস্য উন্নতি ঘটছে।

গত ১ অক্টোবর মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও করোনা আক্রান্তের খবর আসে।

লোহাগাড়ার তিন ইউপি নির্বাচন, ১৬৫ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৬৫ প্রার্থী মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থী ৩১ জন ও সাধারণ সদস্য প্রার্থী ১১৯ জন। রোববার (৪ অক্টোবর) প্রার্থীদের মাঝে এ প্রতীক বরাদ্দ হয়। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন রোমান খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আমিরাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এস. এম. ইউনুচ (নৌকা), আবদুল মালেক (আনারস), মাহমুদুল হক পিয়ারু (টেবিল ফ্যান), মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (মোটর সাইকেল), মোহাম্মদ ইলিয়াছ (লাঙ্গল) ও মো. নুরুল আবচার (হাত পাখা)।

সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে খতিজা বেগম (মাইক), নাজমা আক্তার (মাইক), শিবলু আক্তার (বই), ২নং ওয়ার্ডে ইয়াছমিন আক্তার (হেলিকপ্টার), মরজিনা আক্তার চৌং (কলম), মাহমুদা বেগম (তালগাছ), শারমিন আক্তার (মাইক), হাছিনা আক্তার (বই) ও ৩নং ওয়ার্ডে কহিনুর আক্তার (ক্যামেরা), নাছিমা আক্তার (বই), রেহেনা আক্তার (মাইক)।

সাধারণ সদস্য ১নং ওয়ার্ডে মুহাম্মদ নুরুন্নবী (ফুটবল), মোহাম্মদ আলী (মোরগ), মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন (বৈদ্যুতিক পাখা), মোহাম্মদ নুরুন্নবী (টিউবওয়েল), মো. আজিজুল হক (তালা)। ২নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আয়ুব আলী (মোরগ), হোছাইন মুহাম্মদ শারপু (ফুটবল), আলাউদ্দিন বাচ্চু (তালা), মোহাম্মদ মামুনর রশিদ (ভ্যান গাড়ি)। ৩নং ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা), সফিউল আজম হিরু (টিউবওয়েল), সফিকুল ইসলাম চৌধুরী (ভ্যান গাড়ি), সাইফুল ইসলাম জিয়া (ফুটবল), মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (মোরগ), মো. শাহা আলম তালুকদার (তালা)। ৪নং ওয়ার্ডে আবু হেনা মোস্তফা কামাল (ফুটবল), তাপস কুমার হোড় (ভ্যান গাড়ি), মোহাম্মদ আরিফুল্লাহ (মোরগ), মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (আপেল), মোহাম্মদ নোমান (বৈদ্যুতিক পাখা), মো. আইয়ুব আলী (টচ লাইট)। ৫নং ওয়ার্ডে জসিম উদ্দিন (ফুটবল), নেজাম উদ্দিন (তালা), মোহাম্মদ মনজুর আলম (মোরগ), মো. জাফর আলম (টিউবওয়েল)। ৬নং ওয়ার্ডে অজিত দাশ (আপেল), জমিরুল ইসলাম চৌং (মোরগ), হারাধন শীল (তালা), নেজামুল ইসলাম চৌধুরী (ভ্যান গাড়ি), মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (ঘুড়ি), মো. আক্কাস (বৈদ্যুতিক পাখা), মো. ইউসুফ (টচ লাইট), মো. সাইফুল ইসলাম (ফুটবল), মো. শাহাব উদ্দিন (টিউবওয়েল)। ৭নং ওয়ার্ডে আজিজুল হক (টিউবওয়েল), আবদুর রহিম হাজারী (মোরগ), জিয়াউল ইসলাম (ফুটবল), সাজ্জাদ হোসেন (টচ লাইট), মো. সোলেমান (তালা)। ৮নং ওয়ার্ডে অসীম দাশ (আপেল), শাহা আলম (তালা), মোহাম্মদ শফি (মোরগ), মো. মামুন উদ্দিন (ফুটবল)। ৯নং ওয়ার্ডে এরশাদুজ্জামান (ফুটবল) ও মৃনাল কান্তি দাশ (টিউবওয়েল)।

লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ নুরুছফা (নৌকা), মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সিকদার (ধানের শীষ), মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (আনারস) ও আনোয়ার হোসেন (লাঙ্গল)।

সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে জন্নাতুল ফেরদৌস (হেলিকপ্টার), জান্নাতুল ফেরদৌস তারজিন (সূর্যমুখী ফুল), পারভীন আক্তার (মাইক), শাহানাজ পারভীন (ক্যামেরা), ছেনু আরা বেগম (তালগাছ), রেহেনা আক্তার (কলম)। ২নং ওয়ার্ডে কহিনুর বেগম (তালগাছ) ও লুৎফুন্নিছা বেগম বিউটি (মাইক)। ৩নং ওয়ার্ডে জিন্নাত রেহেনা রওশন (মাইক) ও রেহেনা আক্তার (তালগাছ)।

সাধারণ সদস্য ১নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম (টিউবওয়েল), জাফর আহমেদ (তালা), শাহাব উদ্দিন (মোরগ), মোহাম্মদ আবুল কাসেম (বৈদ্যুতিক পাখা), মোহাম্মদ খাজত আলম (ফুটবল), মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (ভ্যান গাড়ি), মো. আবদুল মান্নান (আপেল) ও মো. জহির (ক্রিকেট ব্যাট)। ২নং ওয়ার্ডে আবদুল মন্নান (তালা), মোহাম্মদ আবদুস ছবুর (ভ্যান গাড়ি), মোহাম্মদ মানিক (ফুটবল), মো. জানে আলম (টিউবওয়েল) ও মো. মনির আহমদ (মোরগ)। ৩নং ওয়ার্ডে ইয়াছিন আরফাত (তালা), জয়নুল আবেদীন (ফুটবল), তাজ উদ্দিন (টিউবওয়েল), মোহাম্মদ শাহ আলম (মোরগ), মো. জাহাঙ্গীর আলম (টচ লাইট)। ৪নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (ফুটবল), মো. ইসমাইল (টিউবওয়েল), মো. নুরুল আবছার (মোরগ), মো. মফিজুর রহমান (তালা)। ৫নং ওয়ার্ডে টিপু সুলতান চৌং (তালা), মুজিবুর রহমান (মোরগ), মোহাম্মদ হামিদ (ফুটবল), মোহাম্মদ শফিকুল আলম (টিউবওয়েল)। ৬নং ওয়ার্ডে এনামুল হক (মোরগ), জাহাঙ্গীর আলম (তালা), মুহাম্মদ খলিলুর রহমান (ফুটবল)। ৭নং ওয়ার্ডে আবদুল মাবুদ (তালা), আবদুল মালেক (টচ লাইট), সাহেব মিয়া (ফুটবল), মোস্তফিজুর রহমান (টিউবওয়েল), মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (মোরগ), মো. এনামুল হক (বৈদ্যুতিক পাখা), মো. হারুন অর রশিদ (ভ্যাগ গাড়ি)। ৮নং ওয়ার্ডে আবদুল ছবুর (ভ্যান গাড়ি), মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন (টিউবওয়েল), মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (তালা), মো. সাহাদত হোসেন (ফুটবল)। ৯নং ওয়ার্ডে নেজাম উদ্দিন (আপেল) ও নুরুল কবির (তালা)।

আধুনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মুহাম্মদ নুরুল কবির (নৌকা), মো. আবু নাসের চৌধুরী (ধানের শীষ), মুহাম্মদ আইয়ুব মিয়া (টেবিল ফ্যান), মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন (আনারস) ও মাহামুদুল হক (অটোরিক্সা)।

সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে আনোয়ারা বেগম (মাইক), মুুন্নি বড়ুয়া (কলম), শামীমা আক্তার (সূর্যমুখী ফুল), শাহিনা আক্তার (তালগাছ)। ২নং ওয়ার্ডে দিলুয়ারা বেগম (তালগাছ), রাশেদা বেগম (কলম), রেভা পাল (বই), সাজেদা বেগম (মাইক)। ৩নং ওয়ার্ডে খদিজা বেগম (তালগাছ) ও শিরিন আক্তার (মাইক)।

সাধারণ সদস্য ১নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম (টিউবওয়েল), সমীর বড়ুয়া (মোরগ), মো. আমির হোসেন (ফুটবল), মো. হানিফ (ভ্যান গাড়ি)। ২নং ওয়ার্ডে আবদুল মান্নান (তালা), জাহেদুল ইসলাম (ফুটবল), মো. নাছির উদ্দিন (টিউবওয়েল), মো. সোহেল উদ্দিন (মোরগ)। ৩নং ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসাইন (মোরগ), জয়নাল আবেদীন (ফুটবল), মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (তালা), মো. আনচারুল আলম (টিউবওয়েল), মো. সিরাজুল ইসলাম (আপেল)। ৪নং ওয়ার্ডে ফরিদ আহমদ (মোরগ), রেজাউল করিম (ফুটবল), মো. ওসমান গণি (টিউবওয়েল)। ৫নং ওয়ার্ডে মৃত্যুঞ্জয় বড়ুয়া (মোরগ), মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (ফুটবল), মো. হানিফ (ভ্যান গাড়ি)। ৬নং ওয়ার্ডে রাশেদুল ইসলাম (ফুটবল), মোহাম্মদ আবদুল মালেক (টিউবওয়েল), মো. নেছার উদ্দিন (মোরগ), মো. সেলিম উদ্দিন (আপেল)। ৭নং ওয়ার্ডে সুজন কান্তি দাশ (ফুটবল) ও হায়াত মাহমুদ খান (টিউবওয়েল)। ৮নং ওয়ার্ডে অসীম বড়ুয়া (টিউবওয়েল), মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন (বৈদ্যুতিক পাখা), মোহাম্মদ আবুল হাছান (মোরগ), শহিদুল ইসলাম (ফুটবল)। ৯নং ওয়ার্ডে মোস্তফা কামাল ভূট্টো (মোরগ) ও মো. ওসমান গণি (ফুটবল)।

উল্লেখ্য, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। আমিরাবাদ ইউনিয়নে ২৮ হাজার ৯৪৩ জন, আধুনগর ইউনিয়নে ১৫ হাজার ৫৫৬ ও লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নে ২৩ হাজার ১৬৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

লোহাগাড়ায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : স্বাস্থবিধি মেনে সারা দেশের ন্যায় লোহাগাড়ায়ও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (৪ অক্টোবর) সকাল ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ।

জানা যায়, উপজেলার ৯ ইউনিয়নে ২১৬টি অস্থায়ী কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ৩৯ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ৫ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এছাড়া আগামী ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলাকালীন প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও শিশুদের এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অমিত কুমার নাথ, ডা. রোজি সিদ্দিকী, ডা. নুসরাত জাহান মুন, ডা. শেখ মোহাম্মদ ফয়সাল, ডা. সাবরিনা জাহান জেসিসহ হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ।

লোহাগাড়ায় গোয়ালঘরের তালা কেটে কৃষকের গরু চুরি

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় গোয়ালঘরের তালা কেটে ১টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। রোববার (৪ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রহমানিয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নাম মোহাম্মদ ইউনুস (৬০)। তিনি ওই এলাকার আহমদুর রহমানের পুত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ভাই মনজুর আলম জানান, রাতে বাড়ি সন্নিহিত গোয়ালঘরে গরু রেখে তালাবদ্ধ করে ঘুমাতে যান তার ভাই। ভোররাতে গোয়ালঘরের তালা ভেঙ্গে গরুটি নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় প্রতিবেশী জালাল আহমদ (৬০) বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে যান। চোরের দল তাকে মারধর করে বাড়ির অদূরে একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখে গরুটি নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলার সদরের এক বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। চুরি হওয়ার গরুর আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিক টাকা।

চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রেজওয়ানুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে ফাঁড়িতে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ২

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’দলের গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে আরও ১২-১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

আহতদের ক্যাম্পের ভেতরেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহম্মেদ রঞ্জুর মোরশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হতাহতরা সবাই রোহিঙ্গা বলে জানান তিনি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণেরও ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে।

রোববার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্প-২/ ওয়েস্ট এ-র ডি-২ ব্লকে পুরাতন নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পের সন্ত্রাসী মুন্না বাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অর্তকিত ডি-২ ব্লকে ঘুমন্ত রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২-ওয়েস্ট ক্যাম্পের ২ডি/এ ব্লগের সৈয়দ আলমের ছেলে ইমাম শরীর (৩২) করে গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করে।

একইসাথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ১০/১২ ঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে অন্তত ১২/১৪ জন্য গুরুতর আহত হয়েছে বলে উক্ত ব্লগের মাঝি সামছুল আলম ও আবদুর রহমান জানান। গত বৃহস্পতিবার রাতেও উক্ত ক্যাম্পে সংঘঠিত গোলাগুলির ঘটনায় একটা মহিলা নিহত হয়। দৈনিক আজাদী

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ : গরমের আরাম ডাকছে বিপদ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : বাসাবাড়ি, অফিস বা বিপণিবিতানে গরম থেকে স্বস্তির জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের চাহিদা যখন ক্রমশ বেড়েই চলেছে, তখন ঘর শীতল করার এই যন্ত্রের মাধ্যমে আশপাশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও সার্বিক পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, এসি ঘরকে ঠাণ্ডা করলেও বাইরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় বিপুল সংখ্যক এসির ব্যবহার পুরো এলাকার গড় তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া এসি থেকে নির্গত গ্যাস পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এক সময় এয়ার কন্ডিশনার বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বিলাসিতা হলেও এখন উচ্চ মধ্যবিত্তের ঘরেও এ যন্ত্র অনেকটা ‘স্বাভাবিক’ হয়ে উঠেছে। গরম পড়তে না পড়তেই এসি ও কুলার কেনার হিড়িক দেখা যায় শহরগুলোতে। শীতাতপ সুবিধা ছাড়া শহরে গাড়ি, দোকান, সিনেমা হল, হোটেল, রেস্তোরাঁ এখন কল্পনাই করা যায় না।

গত বছর চৈত্র-বৈশাখের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে শেষমেশ এসি কেনেন রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা লুৎফর রহমান। ঢাকার ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা আছে তার। সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের ও মেয়ের ঘরের জন্য দুটো এসি কেনেন তিনি। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এত জ্যাম, বাইরে এত গরম; গরমের দিনে ঘরেও টেকা মুশকিল। আমার বাসা টপ ফ্লোরে। বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে যায়। তাই গতবছর বৈশাখ মাসে দুই রুমের জন্য দুইটা এসি কিনে ফেলি। তবে ওই এসি কী করে পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে, সে বিষয়ে একদমই অবগত নন লুৎফর। তিনি বলেন, এসি ব্যবহার করাটা দরকার, তাই ব্যবহার করি। এটা যে পরিবেশের জন্য কেন ক্ষতিকর, তা জানা নাই। পরিবেশের ক্ষতির কথা জানলেও গরম থেকে রেহাই পেতে এসির কোনো বিকল্প দেখছেন না পূর্ব রামপুরার তুনাজ্জিনা জাহান। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তুনাজ্জিনা বলেন, আমি জানি এসি ব্যবহারে লং টার্মে পরিবেশের ওপর একটা খারাপ প্রভাব পড়ে। কিন্তু ঢাকা শহরের ভ্যাপসা গরম অসহ্য হয়ে ওঠায় এসি ব্যবহারের আসলে আর কোনো বিকল্প নেই। আমি গরম একেবারেই সহ্য করতে পারি না। গরম ও ঠাণ্ডা দুই আবহাওয়াতেই এলার্জি আর হাঁচি-কাশির সমস্যা রয়েছে এই তরুণীর। গরমে দিনের কিছুটা সময় এসি চালিয়ে রাখেন, আর রাতে এসি চালিয়েই ঘুমান।

বাড়ির আটটি কক্ষের মধ্যে পাঁচটিতেই এসি রয়েছে জানিয়ে তুনাজ্জিনা বলেন, যদিও একেক সময় একেক রুমে এসি চালু থাকে, কিন্তু গরমের সময়ে রাতের বেলায় সবগুলো রুমেই এসি অন রাখা হয়। চাহিদা বাড়তে থাকায় এখন সামর্থ্য বুঝে কম থেকে বেশি দামের এসি মিলছে বাজারে। ক্রেতাদের প্রযুক্তি নিয়ে তেমন ধারণা না থাকায় দামে পোষালেই এসি কিনে নিচ্ছেন। এ নিয়ে সতর্ক করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সস্তা প্রযুক্তির এসিতেই বেশি ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।

এসি ঘরকে শীতল করলেও বাইরের বাতাসকে কী করে গরম করে তুলছে, তা ব্যাখ্যা দিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যবহার তিনভাবে পরিবেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে; প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ এবং এসির বাইপ্রোডাক্টের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, পুরো ধানমণ্ডি এলাকায় এক হাজার ১৬৮টি দালান রয়েছে। প্রতিটিতে গড়ে দশটি করে ফ্লোর ধরা হলে তার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ হাজারের বেশি। একটি ফ্লোরে কমপক্ষে দশটি এসি থাকলে ধানমণ্ডি এলাকাতেই এসি থাকে এক লাখের বেশি। প্রতিটি এসি যদি এক বর্গফুট এলাকাকেও উত্তপ্ত করে তবে এই এক লাখ এসি এক লাখ বর্গফুট এলাকাকে উত্তপ্ত করে দিচ্ছে। এসির ব্যবহার বাড়তে থাকায় বিদ্যুতের ওপরও যে চাপ পড়ছে, সে কথাও বলেন অধ্যাপক কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, একটা বাসায় লাইট-ফ্যান দিয়ে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়, তার কয়েক গুণ বেশি খরচ হয় এসিতে। লাইট-ফ্যানের বিল যদি এক হাজার টাকা আসে, এসি ব্যবহারে সেই বিল হবে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা; অর্থাৎ ইলেকট্রিসিটি কনজিউম হচ্ছে। ফলে এটি আমাদের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করছে। বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে যাচ্ছে। সেটা মেটাতে সরকার বিভিন্ন পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করছে, সেগুলোও আবার পরিবেশের একটা বিরাট অংশের ক্ষতি সাধন করছে।

এসিতে ব্যবহার হওয়া গ্যাস রেফ্রিজারেন্ট নামে পরিচিত। নব্বইয়ের দশকেও এসিতে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (সিএফসি) রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার হত, যা ফ্রেয়ন বা আর-২২ নামেও পরিচিতি। বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরের ওপর এই গ্যাসের বিরূপ প্রভাব নিয়ে শঙ্কার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ২০১০ সাল থেকে দেশটির বিশুদ্ধ বাতাস নীতিমালার অধীনে আর-২২ গ্যাসের উৎপাদন ও আমদানি বন্ধ করে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা ইপিএ বলছে, নব্বইয়ের দশকে দেশটিতে সিএফসির ব্যবহার বন্ধ হয়। এখন তারা হাইড্রোক্লোরোফ্লুরোকার্বন (এইচসিএফসি) বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে।

ওজন স্তরের সুরক্ষায় ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে ১৯৮৭ সালে মন্ট্রিয়ল প্রটোকল নামে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়। এতে শিল্পায়নের কারণে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সিএফসি ও এইচসিএফসির মত পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক গ্যাসের ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত রয়েছে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই চুক্তিতে সই করে। ২০১৮ সালে ওজন স্তরের ক্ষয় রোধে মন্ট্রিয়ল প্রটোকল বাস্তবায়নে নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের সফলতায় বাংলাদেশকে সার্টিফিকেট অফ অ্যাপ্রিসিয়েশন অর্থাৎ প্রশংসা সনদ দেয় জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি)।

তবে হাইড্রোফ্লুরোকার্বনের (এইচএফসি) ব্যবহার এখনও বাংলাদেশের পরিবেশের ক্ষতি করে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেন, এসি তৈরিতে যে পরিমাণ কার্বন ব্যবহার করা হয়, যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, সেটা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখে। এসির লাইফটাইম শেষ হয়ে গেলে তখনও ওই এসিতে যে ক্ষতিকর গ্যাস ব্যবহার করা হয় সেগুলো নিঃসরিত হয়।

শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে রাতেও তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণ হিসেবে এসিকে দায়ী করে তিনি বলেন, যেখানে দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা কম থাকার কথা, রাতের বেলা এসি ব্যবহারের কারণে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাবে সেসব এলাকায় রাতেও তাপমাত্রা বেশি থাকে। মহামারীর এই সময় ঘরে এসি চালু রাখা বাড়তি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

এই অধ্যাপক বলেন, ভাইরাসের জীবনকাল আর্দ্রতার ওপর নির্ভরশীল। এসি ছাড়ার ফলে একটি কক্ষের আর্দ্রতা তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়। এতে করে তা করোনা ভাইরাসের জীবনকাল বৃদ্ধি করে এর প্রোটিনকে বাঁচিয়ে রাখে। এছাড়া এসি ব্যবহারে রুমের ভেতরে যেভাবে এয়ার সার্কুলেশন হয়, তাতে রুমের একজনের সংক্রমণ হয়ে থাকলে তার মাধ্যমে এসির বাতাসে পুরো রুমের সবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এসিতে ক্ষতিকারক গ্যাস এইচএফসির ব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জিয়াউল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ‘শিগগিরই’ পরিবেশবান্ধব শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। এইচএফসি গ্যাসের বদলে পরিবেশবান্ধব গ্যাস ব্যবহারে দেশের এসি ও রেফ্রিজারেটর প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এসি উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে, বলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা। একই সঙ্গে বাংলাদেশে ২০৪৫ সালের মধ্যে সিএফসি গ্যাসের ব্যবহার ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান জিয়াউল। খবর বিডিনিউজের।

সিনহা হত্যার পর কমেছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, দুই মাসে মারা গেছে একজন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : জানুয়ারি থেকে জুলাই এই সাত মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ১৮৪ জন; প্রতি মাসে যেখানে ২০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে পরের দুই মাস আগস্ট-সেপ্টেম্বরে মারা পড়েছেন মাত্র একজন। গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত গোলাগুলিতে প্রাণহানিতে এই পরিবর্তন হয়েছে।

হঠাৎ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ থমকে যাওয়া নিয়ে পুলিশের সাবেক একজন আইজিপি বলেছেন, নানা সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে গিয়ে সন্ত্রাসী-অপরাধীদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যাওয়ার পক্ষে বলেন, কিন্তু পুলিশ বিপদে পড়লে ‘কেউ পাশে থাকেন না’। এ থেকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ যে ভালো নয়, সেই উপলব্ধি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়েছে বলেই ধারণা তার।

বাংলাদেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসী-মাদক কারবারিদের কথিত এই বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনা চলে আসছে অনেক বছর ধরে। এ নিয়ে দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে এলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব সময়ই বলে আসছে, বিচার বহির্ভূত হত্যার পক্ষে তারা নন, কেবল আক্রান্ত হলেই গুলি ছোড়েন তারা। সে রকমই একটি ঘটনায় গত ৩১ জুলাই বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা। ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র নির্মাণের জন্য তিনি কক্সবাজারে গিয়েছিলেন দুই সঙ্গীকে নিয়ে।

কক্সবাজারের পুলিশ সে সময় বলেছিল, সিনহা তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লাশিতে বাধা দেন’। পরে ‘পিস্তল বের করলে’ চেক পোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। কিন্তু পুলিশের দেওয়া ঘটনার বিবরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ২ আগস্ট উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে। পুলিশের বিরুদ্ধে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যার’ অভিযোগগুলোও নতুন করে আলোচনায় আসতে থাকে। সিনহার বোন আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করলে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। ওই পুলিশ সদস্যরা এখন হত্যা মামলায় বিচারের মুখোমুখি। এ ঘটনার পর কঙবাজারের পুলিশকে নতুন করে সাজানো হয়। এসপি থেকে শুরু করে প্রায় সব কর্মকর্তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর গত দুই মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারিতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ২১ জন। পরের মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়েছে ২২টি। মার্চ মাসে ২৫টি, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কর্মসূচি নিয়ে পুলিশ যখন ব্যস্ত সেই এপ্রিল মাসে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ কমে আসে ১৫টিতে। পরের মাসে অর্থাৎ মে মাসে ২৭টি, জুনে ২৭টি এবং সিনহা যে মাসে নিহত হন সেই জুলাইয়ে এ বছরের সর্বোচ্চ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে, মৃত্যু হয় ৪৭ জনের।

সর্বশেষ ২ আগস্ট সিলেটের জকিগঞ্জে আবদুল মান্নান মুন্না (৩৫) নামে একজন ‘মাদক কারবারি’ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পুলিশের ভাষ্য মতে, তাকে নিয়ে রাতে অভিযান চালাতে গেলে আগের ঘটনাগুলোর মতোই মুন্নার লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সে সময় পুলিশও পাল্টা গুলি করলে মুন্না নিহত হন। এই ঘটনার পর গত দুই মাসে আর কোনো ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটেনি, যদিও পুলিশ-র‌্যাবের মাদকবিরোধী অভিযান আগের মতোই চলছে।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক শহিদুল হক বলেন, কঙবাজারের ঘটনার পর কেউ এখন আর এই বন্দুকযুদ্ধ চাচ্ছে না। সরকারও এটা চাচ্ছে না বলে আমার ধারণা। তাছাড়া পুলিশ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের নেতিবাচক কথা-বার্তা উঠায় বন্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক। ‘বন্দুকযুদ্ধ’ দিয়ে মাদক বন্ধ হয় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধ সব সময়ই একটি ঘটনার পরিস্থিতিতে হয়। গত দুই মাসে বন্দুকযুদ্ধ ঘটেনি ব্যাপারটি এমন নয়। র‌্যাব বরাবরই যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকে। কেবল আক্রান্ত হলে বা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হলে ঘটনার বাস্তবতায় বন্দুকযুদ্ধের মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে। খবর বিডিনিউজের।

চট্টগ্রামের দায়িত্বে ১৫ নেতা, দলে গতি আনতে ৮ বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম গঠন

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সম্মেলনের পর যেসব জেলায় এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি তা দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সাথে যেসব জেলায় সাংগঠনিক সমস্যা এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে, সেই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার জন্য বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের এই নির্দেশনা দেন। সভায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে ৮ বিভাগের জন্য ৮টি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় ৭ মাস পর কার্যনির্বাহী সংসদের এ সভা আহ্বান করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী সংসদের সবাইকে ডাকা হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সুবিধার্থে ৩৩ জনকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

১৫ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সমন্বয়ক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি ও সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। সাংগঠনিক টিমের অন্য সদস্যরা হলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, আবদুল মতিন খসরু এমপি, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশিদ, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং নির্বাহী পরিষদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।

আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি সম্মেলন হয়ে যাওয়া সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটিও দ্রুত দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রস্তাবিত কমিটিতে যাদের নিয়ে বিতর্ক আছে বা কাউকে নিয়ে আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সমন্বয়ক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। অন্যান্য সদস্যের মধ্যে আছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ ফারুক খান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুর নাহার চাপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সমন্বয়ক দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।

রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সমন্বয়ক দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। অন্য সদস্যরা হলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রহমান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, নির্বাহী পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, প্রফেসর মেরিনা জাহান ও বেগম আখতার জাহান।

খুলনা বিভাগীয় টিমের সমন্বয়ক দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। অন্য সদস্যরা হলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।

বরিশাল বিভাগীয় টিমের সমন্বয়ক দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন দলটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু ও আনিসুর রহমান।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় টিমের সমন্বয়ক দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। অন্য সদস্যরা হলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।

সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সমন্বয়ক দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক। অন্য সদস্যরা হলেন সভাপতিণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক, নুরুল ইসলাম নাহিদ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য ড. মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। দৈনিক আজাদী