- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

সাতকানিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু

ফাইল ছবি

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে জাগির হোসেন (৫৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের গোদারছড়ি মুখ পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মনুর বাপের পাড়ার মৃত রহিম বক্সুর পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনারদিন স্থানীয় জাগির হোসের ও মোস্তাক আহমদ গৃহপালিত গরু চড়াতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে যান। এ সময় ৭/৮টি বন্যহাতির একটি দল তাদের সামনে চলে আসে। ঘটনাস্থল থেকে মোস্তাক আহমদ পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও জাগির হোসেন ফিরে আসতে পারেনি। বন্যহাতি প্রথমে পা দিয়ে চাপা দেয় ও পরে শুর দিয়ে আছাড় দিলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

মার্দাশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইজ্জত আলী হাতির আক্রমণে জাগির হোসেন নামে এক কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভারতে বিদেশি বন্দিদের সংখ্যায় শীর্ষে বাংলাদেশ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
প্রতীকী ছবি

আন্তর্জাতিক ডেক্স : ভারতে বিদেশি বন্দিদের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। ২ হাজার ৫১৩ জন বাংলাদেশি ভারতের জেলে বন্দি রয়েছেন। যার মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত এক হাজার ৪৭০ জন এবং এখনও সাজা হয়নি এমন রয়েছেন এক হাজার ৪৩ জন। বন্দিদের বড় অংশই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলোতে।

দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-এনসিআরবির প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। এনসিআরবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ভারতের জেলে বিদেশি বন্দি ছিলেন ৫ হাজার ১৬৮ জন। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় ৫ হাজার ৬০৮ জনের। দেশটির এক হাজার ৩৫০টি জেলে বিদেশি বন্দিদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৭৭৬ এবং নারী ৮৩২ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ১৭১ জন সাজাপ্রাপ্ত এবং ২ হাজার ৯৭৯ জন বিচারাধীন। সেই সঙ্গে ৪০ জন আটক বন্দিও রয়েছেন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১ হাজার ৪৭০ জন বাংলাদেশের নাগরিক। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেপাল। তৃতীয় স্থানে থাকা মিয়ানমারের ১৫৫ জন বন্দির দিন কাটছে ভারতের জেলে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন এক হাজার ৪৩ জন বাংলাদেশি, যাদের এখনও বিচার হয়নি। নাইজেরিয়ার ৬৮৬ জন নাগরিক ভারতের জেলে বিচার শেষ হওয়ায় অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন। নেপালের ৫১৭ জনও ভারতের জেলে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রয়েছেন।

সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের জেল থেকে প্রায় ৬৮০ জন বন্দিকে বাংলাদেশে পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্যের কারা দপ্তর। সূত্র : চ্যানেল২৪।

চট্টগ্রামে মডেলিংয়ের মোহে তরুণীর জীবন গেল সিলিং ফ্যানে ঝুলে

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : তরুণীর স্বপ্ন ছিল মডেলিং করে ক্যারিয়ার গড়ার। এই স্বপ্ন নিয়ে তিনি চট্টগ্রামের একটি কথিত ‘মডেলিং এজেন্সি’র সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাদের হয়ে অখ্যাত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ফটোসেশনেও অংশ নিতে দেখা যায় ওই তরুণীকে।

চট্টগ্রামের হালিশহরের বাসিন্দা মাহি নামের সেই তরুণী হঠাৎই নিজের বাসায় আত্মহত্যা করে বসলেন। এমন অস্বাভাবিক ঘটনার পর হালিশহর থানা পুলিশের সায়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সেই তরুণীর লাশ দাফন করে ফেলা হয়। এ নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে নিজের রুমের ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন ১৯ বছরের তরুণী মাহি। ঘটনা টের পাওয়ার পর ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে মাহিকে নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ‘মৃত ঘোষণা’ করেন।

জানা গেছে, এ ধরনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় লাশের ময়নাতদন্ত করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ‘পরিবারের অনুরোধে’ হালিশহর থানা পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই মাহির মরদেহ দাফনের জন্য তার পরিবারকে অনুমতি দেয়। ময়নাতদন্ত কেন হল না— এমন প্রশ্নে হালিশহর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ময়নাতদন্ত করাবে না বলেছে, সেজন্য মামলা দায়ের করে তারা লাশটি দাফন করার জন্য নিয়ে গেছে।’

১৯ বছর বয়সী মাহির বাড়ি চাঁদপুর হলেও তিনি চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে নানার বাড়িতে বসবাস করতেন। জানা গেছে, মাহি নগরীর একটি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সেই সাথে চট্টগ্রামের উইন্ডোজ মাল্টিমিডিয়া নামে একটি কথিত মডেলিং এজেন্সিতে ‘মডেলিং’ করতেন। নগরীর মেহেদীবাগ ন্যাশনাল হাসপাতালের পাশের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় প্রতিষ্ঠানটি ‘কার্যক্রম’ চালায় বলে তাদের ফেসবুক পেইজ থেকে জানা গেছে। 

‘মডেলিং’য়ের সূত্রে এসময় নাসিরাবাদ এলাকার এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মাহি— এমন কথা নিশ্চিত করে উইন্ডোজ মাল্টিমিডিয়া নামের ওই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত এক তরুণ জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি সেই সম্পর্ক ভেঙে গেছে বলে আমরা শুনেছি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাহির ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু জানান, ‘শোবিজ মিডিয়ায় অবস্থান পাকাপোক্ত করতে গিয়ে মাহি একপর্যায়ে মাদকসেবনের সাথে জড়িয়ে যায়। তার সঙ্গে কয়েকটি ছেলের সম্পর্কও ছিল। তার পরিবার বিষয়টি টের পেয়ে তাকে ঘরের বাইরে যেতে দিতো না।’

মাহির মামা ঢাকার ডেমরা থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম বলেন, ‘মাহি এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। খুব শান্ত ও ভালো মেয়ে। রাগটা একটু বেশি। গতকাল আমার বাবার (মাহির নানা) কাছে বান্ধবীর বাসায় যেতে দিতে বলেছিল। কিন্তু তার বাবা করোনার মধ্যে ঘরের বাইরে যেতে মানা করার পর সে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। এর একপর্যায়ে নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে কোনও সাড়া না পেয়ে পরিবারের অন্যরা দরজা ভেঙে দেখে মাহি ফ্যানের সাথে ঝুলছে।’

তিনি বলেন, ‘মাহির আত্মহত্যা নিয়ে আমাদের কারও কাছে কোনো অভিযোগ নেই। যার জন্য আমরা মামলায় কারও দোষ নেই বলে উল্লেখ করেছি। অনেকে অনেক কথা বলছে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়ে। তারা মূলত আত্মহত্যার ঘটনাটিকে অন্যদিকে মোড় দেওয়ার চেষ্টায় এমন কথা রটাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের হালিশহর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘গতকালকে (মঙ্গলবার) জিইসি মোড়ে এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য নানাকে বলেছিল সে। কিন্তু তার নানা যেতে মানা করায় রুমে গিয়ে অভিমান করে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।’ সূত্র : চট্টগ্রাম প্রতিদিন।

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মা-ছেলে খুন, ক্রাইম পেট্রোল দেখে খুনের কৌশল শিখে ফারুক

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : নগরের চান্দগাঁও থানাধীন পুরাতন চান্দগাঁও রমজান আলী সেরেস্তাদারের বাড়ি এলাকায় চাঞ্চল্যকর মা ও ছেলে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুক জানিয়েছে, টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দেখে হত্যাকাণ্ডের কৌশল শিখেছে। সে কৌশলে মা গুলনাহার বেগম ও ছেলে রিফাতকে খুন করা হয়। তাছাড়া রাগের মাথায় খুন করা হয় মাকে এবং খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় খুন করা হয় ছেলেকেও।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যদের হাতে আটকের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য দিয়েছে ফারুক। র‌্যাব-৭ চান্দগাঁও কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল।এর আগে আজ ভোরে নগরের আকবরশাহ থানাধীন পাক্কার মাথা এলাকা থেকে ফারুককে আটক করে র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজের নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় ফারুকের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-৭ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন, চান্দগাঁও ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার মো. নুরুল আবছার। মা ও ভাইয়ের হত্যাকারীকে আটকের বিষয়টি শুনে র‌্যাব-৭ কার্যালয়ে আসেন নিহত গুলনাহার বেগমের মেয়ে ময়ুরী।   

লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পরপরই র‌্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত ফারুককে ধরতে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযানও চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে আকবরশাহ পাক্কার মাথা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে সে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ এবং খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে।’

র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ বলেন, ‘গুলনাহার বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় ফারুকের। নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গুলনাহার বেগম ফারুককে বকাও দিতেন। এ থেকে তার ওপর ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ফারুকের। ঘটনার দিন কথা কাটাকাটির জেরে একপর্যায়ে গুলনাহার বেগমকে খুন করে ফারুক। 

এ ঘটনা দেখে ফেলায় গুলনাহার বেগমের ছেলে রিফাতকেও খুন করে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করে ফারুক। প্রথমে চকবাজার এলাকায় গিয়ে রক্তমাখা জামা নালায় ফেলে দেয়। পরে নিজেকে অসহায় পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে গ্যারেজে কাজ নেয়। সেখানে কিছুদিন থাকার পর ফের চট্টগ্রামে এসে বিভিন্ন মাজারে ঘুরে আত্মগোপন করে।  পরে আবার ঢাকায় গিয়ে একটি গ্যারেজে কাজ নেয়। সম্প্রতি ফারুক চট্টগ্রাম ফিরে আসে।’   

ময়ুরী বলেন, র‌্যাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তারা আমার মা ও ভাইয়ের খুনিকে আটক করেছে। আমি খুনির ফাঁসি চাই। প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট রাত ৮টার দিকে চাঁন্দগাও থানাধীন পুরাতন চান্দগাঁওয়ের রমজান আলী সেরেস্তাদার বাড়ি এলাকার একটি বাসায় গুলনাহার বেগম ও রিফাতকে খুনের ঘটনা ঘটে। বিডি প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় ছয় আসামির ডিএনএ সংগ্রহ

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় রিমান্ডে থাকা এজাহারনামীয় ছয় আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কড়া পুলিশ পাহারায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে স্থাপিত ডিএনএ ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা আসামিদের ডিএনএ সংগ্রহ করেন। এরপর দুপুর দেড়টায় তাদের আবার শাহপরান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

যাদের ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়েছে তারা হলেন গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম, মামলার সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনউদ্দিন। তারা সবাই ছাত্রলীগ কর্মী এবং বর্তমানে গ্রেফতার আটজনের সবাই পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডে আছেন।

এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাশু লাল রায় বলেন, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার ছয় আসামিকে হাসপাতালের নিচতলায় ডিএনএ ল্যাবে আনা হয়। পরে তাদের প্রয়োজনীয় ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন ল্যাবের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। দপুর দেড়টার দিকে পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশের (গণমাধ্যম) জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমান মাসুম ছাড়া গ্রেফতার অপর ছয়জনের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়। সেখানে নমুনা সংগ্রহ করার পর তাদের পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে।

২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসের সামনে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব ও পুলিশ এজাহারভুক্ত ছয় আসামির সবাইসহ আরও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সবাই বর্তমানে পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।

গ্রেফতারকৃত সবাই ছাত্রলীগকর্মী। তারা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর হাকিম (তৃতীয়) আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে সেই রাতের ঘটনার জবানবন্দি দেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ। এ সময় তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালত গৃহবধূর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেন। জাগো নিউজ

মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল মার্কিন যুদ্ধ বিমান

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments
সংগৃহীত ছবি

আন্তর্জাতিক ডেক্স : মাঝ আকাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল মার্কিন যুদ্ধ বিমান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিনার্স ইউনিট জানিয়েছে, মঙ্গলবার অন্য একটি রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষে ভেঙে পড়ে মার্কিন বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান এফ -৩৫ বি।

জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটলেও এফ -৩৫ বি-র পাইলট সঠিক সময়ে ইজেক্ট করতে সক্ষম হন। অন্যদিকে রিফুয়েলিং বিমান ট্যাঙ্কারটি ঠিকভাবেই মাটিতে নামে বলে জানা গেছে। এবিসি নিউজের খবর মোতাবেক ক্যালিফোর্নিয়ার ইম্পেরিয়াল কাউন্টিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে মেরিনার্স ইউনিট জানিয়েছে, যে রিফুয়েলিং ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়, সেটি অক্ষত ভাবেই থার্মাল এয়ারপোর্টে ফিরে আসে। সেটির ক্রু সদস্যরা নিরাপদে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল সে সম্পর্কে কোনও কথা জানাতে চায়নি মেরিনার্স ইউনিট।

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই মহড়া চলাকালে ভেঙে পড়েছিল পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। মাঝ আকাশে যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ার খবর বিবৃতিতে দিয়ে স্বীকার করে নেয় পাকিস্তান বাহিনী। তবে কি ধরনের যুদ্ধবিমান সেটি ছিল তা পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। বিডি প্রতিদিন