- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

চট্টগ্রামে ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি’র তত্ত্বাবধানে নরমালে ৩ জমজ সন্তানের জন্ম!

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমির তত্ত্বাবধানে নরমালে ৩ জমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর এক বেসরকারি হাসপাতালে এ তিন জমজ সন্তান ভূমিষ্ট হন।

জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার বেলতলা মো. নেওয়াজ খান ও তার সহধর্মীনির ঘর আলোকিত করে এ তিন জমজ সন্তান। তারা বর্তমানে নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকায় বসবাস করেন।

এ ব্যাপারে শনিবার (১৬ মে) ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি তাঁর ফেসবুক আইডিতে বিষদ মন্তব্য করেছেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

ব্যক্তিগতভাবে আমি নরমাল ডেলিভারির পক্ষে। আমার সন্তান দুটিও নরমাল ডেলিভারিতে হয়েছে। স্বাভাবিক প্রসব করানোর জন্য সবসময় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকি। গতমাসের মাঝামাঝি সময়ে টেলিমেডিসিনে এক গর্ভবতী মায়ের সাথে যোগাযোগ হয়। তিনি এতদিন একজন অবস্টেট্রিসিয়ানের চেক-আপে ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ থাকায় অসহায় অবস্থায় পড়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একে তো এটি তাঁর প্রথম প্রেগন্যান্সি তার উপর একসাথে তিনটি বাচ্চা গর্ভে। ট্রিপলেট প্রেগন্যান্সি। ঘাবড়ে যাবারই কথা! কারণ মাল্টিপল প্রেগন্যান্সি সবসময়ই ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ (হাই রিস্ক) গর্ভ। এধরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেবার সম্ভাবনা অন্যান্য গর্ভের চাইতে অনেক গুণ বেশি। রোগী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের এসব জটিলতার ব্যাপারে কাউন্সেলিং করলাম। কথাবার্তায় বোঝা গেল, রোগীসহ বাড়ির সবাই ভীষণ টেন্সড। বাচ্চার সংখ্যা তিনটি হবার কারণে প্রচণ্ড নার্ভাস সবাই, বিশেষ করে রোগী দিনরাত কাঁদছে।

কাউন্সেলিং করার পর, অনেকটা পরিবর্তন এল। রোগীকে বললাম সৃষ্টিকর্তার পর তাঁর সুস্থতার দায়িত্ব আমি নিলাম, কিন্তু এক শর্তে, আজ থেকে অতিমাত্রায় টেনশন করা বাদ দিতে হবে।

ইনফার্টিলিটির (বন্ধ্যাত্ব) রোগীরা যখন কান্নাকাটি করেন, তাঁদেরকেও এভাবেই বলে থাকি, নেক্সট টাইম যদি হাসিমুখ না দেখি তাহলে আর ট্রিটমেন্ট করব না। চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবার আগে চেষ্টা করি রোগীর মনের জোর বাড়াতে। এবং এতে সুফলও পাই।

‘ট্রিট দ্য পেশেন্ট, নট দ্য ডিজিজ’ এই মহান কথাটি সবসময় মাথায় রাখি। পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টে দক্ষতার কথা নিজে বলব না, সেটা অন্যেরা বলবে, তবে রোগীর সাথে ভালো ব্যবহার এবং তাঁদের সাথে একটা বন্ডিং তৈরির দক্ষতায় আমি সন্তুষ্ট, এটুকু বলতে পারি।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই চেম্বারে রুটিন পেশেন্ট দেখা বন্ধ রেখেছিলাম। শুধুমাত্র ডেলিভারি/ সিজারিয়ান সেকশন বা জরুরি রোগী এটেন্ড করছিলাম। রোগী চট্টগ্রামের হওয়াতে চেম্বারে আসতে বললাম। এই মাসের ২ তারিখ আসলেন। ২০/২১ বছর বয়সের মেয়ে, ৩২ সপ্তাহের গর্ভ, ব্লাড প্রেশার কিছুটা বেশি, চেহারাতে স্পষ্ট আতংকের ছাপ। এতদিন ম্যাসেজ বা ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। এবার সামনাসামনি পেয়ে রোগীকে মোটিভেট করা সহজ হল। বারবার সতর্ক করে দিলাম, যেকোনো সময় সে প্রিম্যাচ্যুর লেবারে (সময়ের আগে প্রসব) চলে যেতে পারে। সাহস দিলাম, ঈদের দিনেও যদি ব্যথা উঠে পাশে আছি। এবার চেম্বার থেকে বেরুনোর সময় তাঁকে অনেকটা নির্ভার মনে হল।

১৩ তারিখ বিকেলে হঠাৎ ফোন, কোমরে ব্যথা, সাথে হালকা রক্তপানি দেখা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হতে বললাম, হলো না করোনা আতংকে। ক্লিনিকের ডিউটি ডাক্তার এক্সামিনেশন করে জানালে বুঝলাম রোগী লেবারে যাচ্ছে। ডাক্তার আর মিডওয়াইফকে ফোনে ইনস্ট্রাকশন দিলাম করণীয় সম্পর্কে। ইফতার করে আস্তেধীরে গেলেই চলবে বুঝতে পারলাম।

ওরে বাবা! রোগী কী বসতে দেয়!
আমার এত সাধের কাউন্সিলিং এর ইফেক্ট বোধহয় হালকা হয়ে গেছে!
রোগী, রোগীর পরিবারের সবাই আমাকে ফোনের পর ফোনে অস্থির করে তুলল। নাকেমুখে ছুটতে হলো। গিয়ে দেখি, রোগীর মা-সহ লাইন ধরে সবাই কাঁদছে। কী ব্যাপার! আমার হাত ধরে মা কাকুতি মিনতি করল তাঁর মেয়ে কষ্ট পাচ্ছে তাড়াতাড়ি যেন সিজার করে বাচ্চা বের করে দিই। রোগী তো আমাকে দেখামাত্র লাফ দিয়ে উঠল, ম্যাডাম প্লিজ, সিজার করেন, আমি পারব না ব্যথা সহ্য করতে। বহুকষ্টে কুল ডাউন করলাম, এক্সামিন করলাম। কাছাকাছি সময়ে আল্ট্রাসাউন্ড করা ছিল না বলে বাচ্চাদের ওজন জানতে পারি নি। তবে ধারণা করলাম, এক থেকে দেড় কেজির ভেতরেই হতে পারে প্রত্যেকটি।

এক্সামিনেশন ফাইন্ডিংস খুবই ভালো। আশা করছি সুন্দর নরমাল ডেলিভারি হবে। প্রিম্যাচ্যুর ছোট ছোট বাচ্চার জন্য সিজার না করাই শ্রেয়। কিন্তু তা কি আর মানাতে পারি? আবার শুরু হলো কাউন্সেলিং। পুরুষ সদস্যদের তাড়াতাড়ি কনভিন্স করতে পারলেও মা আর মেয়েকে কনভিন্স করতে বেগ পেতে হলো খুব। অনেক ভাইয়ের একটিমাত্র বোন, মায়ের একমাত্র মেয়ে, খুব আদরের। ঠায় বসে রইলাম রোগীর পাশে। কিছুক্ষণ পরপর পরবর্তী স্টেপগুলো সম্পর্কে বলছিলাম আর সাহস দিচ্ছিলাম। আমাকে অবাক করে দিয়ে রোগী একদম শান্ত হয়ে গেল, চোখেমুখে ভরসার স্বস্তি দেখলাম এবং আমাকে সহযোগিতা করতে সম্মত হলো।

রাত ১২.২০ মিনিটে প্রথম বেবি (মেয়ে-১.২কেজি) তার ৫ মিনিট পর দ্বিতীয় বেবি (ছেলে-১.৫কেজি) এবং ১০ মিনিট পর তৃতীয় বেবি (মেয়ে-১ কেজি) ডেলিভারি হল। কোনো কম্পলিকেশন ছাড়া। বাচ্চাগুলো ছোট ছোট হলেও রিফ্লেক্স তুলনামূলক বেশ ভালোই ছিল। মায়ের হিমোগ্লোবিন আগে থেকে কম ছিল (০৯ গ্রাম/ডিএল) বলে ডেলিভারির পর এক ব্যাগ রক্ত দিলাম। আদারওয়াইজ এভরিথিং ওয়াজ ওকে। প্রিম্যাচ্যুর বেবি প্লাস লো বার্থ ওয়েট বলে বাচ্চাগুলো NICU তে রেফার করলাম।

১৬ মে খবর নিলাম, তিনটি বাচ্চাই এখনও পর্যন্ত ভালো আছে। আশা করছি প্রপার কেয়ার পেলে তিনজনই বেঁচে যাবে। বাচ্চাদের মায়ের মুখে বিস্তৃত হাসি। যেহেতু নরমাল ডেলিভারি, পরের দিন রিলিজ দিয়ে বাচ্চাদের কাছে থাকতে বললাম। সবাই দোয়া করবেন, ওরা যেন ভালো থাকে।

ঈদে কোনোভাবেই গ্রামের বাড়ি যেতে দেয়া হবে না : আইজিপি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ও সরকার ঘোষিত বর্ধিত ছুটি উদযাপনের জন্য অনেকেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। এটি কোনোভাবেই হতে দেয়া যাবে না।’ রোববার (১৭ মে) মাঠ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ও সরকার ঘোষিত বর্ধিত ছুটি উদযাপনের জন্য অনেকেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। এটি কোনোভাবেই হতে দেয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য যে সব নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সবাইকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।’ সাধারণ মানুষকে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত যেন কোনোভাবেই ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় এবং ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে কেউ যেতে না পারেন। একইভাবে প্রতিটি জেলা ও মহানগরীও জনস্বার্থে কঠোরভাবে এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে।’

শপিংমল ও মার্কেটসমূহ যেন যথাযথ নিয়ম-কানুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা হয় সেটি নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। সকল ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা ও করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয় এ অনলাইন সভায়।

করোনা মোকাবিলায় সাফল্য দেখিয়েছে, এমন সব দেশের পলিসি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পলিসিসহ বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনার আলোকে পুলিশ সদস্যের জন্য একটি অত্যন্ত আধুনিক এসওপি (স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসেডিওর) তৈরি করে সেটি সব ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে। এ নির্দেশনাটি যথাযথভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দেন আইজিপি।

দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের নিজেদের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। আইজিপি বলেন, ‘দেশ ও মানুষের সেবা একটি বিরল সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থায়ীভাবে আসন করে নিতে হবে’। পাশাপাশি জনসেবার এ অভূতপূর্ব ধারা অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান তিনি।

যেকোনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘সব ধরনের পুলিশি সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। এ ল‌ক্ষ্যে, দেশব্যাপী বিট পু‌লি‌শিং কার্যক্রম চালু কর‌া হ‌বে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভি‌ত্তিক আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রম‌কে অধিকতর বেগবান ও ফলপ্রসূ কর‌তে পর্যায়ক্র‌মে সব ইউনিয়ন ও ওয়া‌র্ডভি‌ত্তিক পু‌লিশ কর্মকর্তা ম‌নোনীত করা হ‌বে। এতে, পু‌লি‌শের কা‌জের অধিকতর জবাব‌দি‌হিতাও নি‌শ্চিত হ‌বে।’ আইজিপি ব‌লেন, ‘পু‌লিশ‌কে বর্তমানের মতো করে, সবসময় দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে।’

চকরিয়ার এসিল্যান্ড তানভীর হোসেনের করোনা জয়

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চকরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) তানভীর হোসেন ভয়ংকর করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে থেকে গত ১৩ মে তার শরীরের ফলোআপ স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ পাওয়া গেছে। বিষয়টি এসিল্যান্ড তানভীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

তিনি জানান, তাঁর শরীরের ফাইন্যাল ফলোআপ টেস্টের স্যাম্পল ১৭ মে রোববার সকালেই তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দিয়ে ফেলেছেন। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ তাঁকে জানিয়েছেন, করোনার ফলোআপ টেস্ট ‘নেগেটিভ’ হওয়ার পর হাসপাতালে থাকাটা তাঁর জন্য পুরোপুরি নিরাপদ নয়। হাসপাতালের অন্যান্য করোনা রোগী থেকে আবার সংক্রামিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রিলিজ হতে পরামর্শ দেওয়ায় তিনি রোববার ১৭ মে বিকেলের দিকে রিলিজ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, জেনারেল হাসপাতাল থেকে রিলিজ হয়ে তিনি আজকেই চট্টগ্রাম থেকে তাঁর ‘সেকেন্ড হোম’ চকরিয়া চলে আসবেন। চকরিয়ায় এসে তিনি চিকিৎসকদের তত্বাবধানে নিজ কোয়ার্টারে আইসোলেশনে থাকবেন বলে জানান এসি ল্যান্ড তানভীর হোসেন।

কর্মপাগল বিসিএস (প্রশাসন) ৩৪তম ব্যাচের মেধাবী ও তরুণ কর্মকর্তা গত তানভীর হোসেন গত ২৯এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। আক্রান্তের পর তিনি চকরিয়াতে নিজ কোয়ার্টারে ২দিন হোম আইসোলেশনে থাকার পর তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে তাঁকে ২দিন আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর তৃতীয়দিন তাঁকে নরমাল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাঁর শরীরের প্রথম ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসে। পূণরায় ১ সপ্তাহ পর দ্বিতীয়বার ফলোআপ টেস্ট রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা এসি ল্যান্ড তানভীর হোসেন তাঁর পুরোপুরি সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।

লোহাগাড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত আরো ৬ জনের করোনা শনাক্ত

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত আরো ৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। রোববার (১৭ মে) রাতে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ১৩ মে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। রোববার পাওয়া রিপোর্টে তাদের মধ্যে ৬ শরীরে করোনা ভাইরাসের শনাক্ত পাওয়া যায়। আক্রান্তদের বয়স যথাক্রমে ৫৫, ৩০, ২৮, ২২, ২৫, ৩২। তারা প্রত্যেকের উপজেলা সদরের দুই বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। তার মধ্যে এক হাসপাতালের দুই নারীসহ ৫ জন ও অপর হাসপাতালের এক নারী।

তিনি আরো জানান, ৫৫ বছর বয়সী ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার আমিরাবাদ দর্জিপাড়ায়। ৩০ বছর বয়সী যুবক এবং ২২ ও ২৫ বছর বয়সী দুই নারী উপজেলা সদরে ভাড়া বাসায় থাকেন। ২৮ বছর বয়সী যুবকের বাড়ি পদুয়া ঠাকুরদিঘী এলাকায়। এছাড়া ৩২ বছর বয়সী এক নারীর বাড়ি উপজেলার পদুয়া মেহের আলী মুন্সি পাড়ায়। গত ১২ মে এই দুই হাসপাতালে কর্মরত আরো ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। করোনা শনাক্ত হওয়ার পূর্বে থেকে তারা স্ব স্ব বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছে। পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ নিয়ে লোহাগাড়ায় মোট ৩২ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলো। তারমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন উপজেলার আমিরাবাদ হাঁছির পাড়ায় নুরুল ইসলাম (৪৫) নামে একজন।

লোহাগাড়ায় ২৬শ পিস ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারী গ্রেফতার

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ২৬শ পিস ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ মে) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার চুনতি এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন কক্সবাজারের উখিয়া থানার কুতুপালং এলাকার মো. সুলতানের পুত্র সৈয়দুল আমিন (২৪), মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের সরকার বাড়ির আবু ইউছুপের পুত্র সোয়াইব সরকার (৪৫) ও একই জেলার শ্রীনগর থানার বিলতারা ইউনিয়নের চয়গাও ব্রিজের দক্ষিণ পাড়ার মৃত শেখ আলীর পুত্র মো. ওমর ফারুক (২৫)।

পুলিশ জানায়, একটি মোটরসাইকেল যোগে তারা চট্টগ্রাম শহর অভিমুখে যাচ্ছিল। এ সময় চুনতিতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বসানো অস্থায়ী চেকপোস্টে তাদেরকে থামানো হয়। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় দেহ তল্লাশী করা হয়। এ সময় তাদের দেহে থেকে বিশেষ কায়দায় রাখা ২৬শ পিস ইয়াব উদ্ধার করা হয়।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, মোটরসাইকেল যোগে ইয়াবা পাচারকালে ইয়াবাসহ ৩ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। রোববার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

লোহাগাড়ায় ৯ দোকানিকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

Posted By admin On In ব্রেকিং নিউজ,লোহাগাড়ার সংবাদ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলা সদরের বটতলী মোটর ষ্টেশনে ৯ দোকানিকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (১৭ মে) সকালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌছিফ আহমেদ।

অভিযানে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান খোলা রাখায় হাজী বদিউর রহমান মার্কেটে এরাবিয়ান গার্মেন্টসের মালিক মমতাজ উদ্দিনকে ২০ হাজার টাকা, একতা স্টোরের মালিক আবদুস সালামকে ২০ হাজার টাকা, দুবাই এক্সপোর্টের মালিক মোস্তফিজুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা, হামিদিয়া গার্মেন্টসের মালিক ফরিদুল আলমকে ২০ হাজার টাকা, হোসাইন স্টোরের মালিক আবু সুফিয়ানকে ১০ হাজার টাকা, এশিয়া সু স্টোরের মালিক মো. সৈয়দকে ৫ হাজার টাকা, নিউ গার্মেন্টসের মালিক আবদুল আলীম আবদুল্লাহকে ৫ হাজার টাকা, ডা. সিরাজ উদ্দিন শপিং সেন্টারে মোবাইল কর্ণারের মালিক তৌহিদুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা ও ফল ব্যবসায়ী খানে আলমকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌছিফ আহমেদ জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দোকান খোলায় রাখায় ৯ দোকানিকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দোকান-মার্কেট খোলা রাখলে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তিনি আরো জানান, গত ১১ মে উপজেলা প্রশাসনের সাথে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা হয়। সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সকল দোকান-মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

অভিযানে সাথে ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কক্সবাজার- ১০ পদাতিক ডিভিশনের মেজর শেখ ফয়সাল আল বশির, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকের হোসাইন মাহমুদ, এসআই পার্থ সারথী হাওলাদার ও উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সিএ ইলিয়াস রুবেল।

সৌদিতে করোনায় সাতকানিয়ার এক প্রবাসীর মৃত্যু

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

এলনিউজ২৪ডটকম : সৌদি আরবের মক্কায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাতকানিয়ার এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় মক্কার কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত ব্যক্তির নাম সামশুল আলম (৪৫)। তিনি উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের গারাংগিয়া ভরিয়ারখুল এলাকার আবদুস ছোবহানের পুত্র ও ৩ সন্তানের জনক।

সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২২ এপ্রিল মক্কার কিং ফাহাদ হাসপাতালে যান। সেখানে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে চিকিৎসক তাকে বাসায় চলে যেতে বলেন। গত ২৫ এপ্রিল পাওয়া নমুনা রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। হাসপাতালে সিট খালি না থাকায় তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে বলেন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল তার অবস্থার অবনতি হলে মক্কার কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ভর্তির পর থেকেই তিনি আইসিইউতে ছিলেন। সেখানে তিনি দর্জির কাজ করতেন। দেশে ছুটি কাটিয়ে প্রায় ১ বছর পূর্বে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। ।

এদিকে, সামশুল আলমের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সৌদি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী তার লাশ সেখানেই দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানায়।

চট্টগ্রামে সাংবাদিকসহ আরও ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রামে করোনার থাবা বিস্তৃত হচ্ছে। গতকাল শনিবার (১৬ মে) সাংবাদিকসহ আরও ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭১৬ জনে। শনিবার চট্টগ্রামের তিনটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

আক্রান্তদের মধ্যে বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আহসান রিটনও রয়েছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট তিনজন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হলেন।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান অনুপম পার্থ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “গত ১০ মে থেকে আমাদের সহকর্মী আহসান রিটন অসুস্থতা অনুভব করছিলেন। তার নমুনার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। এদিকে আমরা যারা হাউজে কর্মরত ছিলাম তাদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অভ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জন চট্টগ্রাম নগরীর এবং ৯ জন অন্যান্য উপজেলার।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ল্যাবে ৯১টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সবাই চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা।

এদিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে ১৮৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১২ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সবাই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম জেলায় এ পর্যন্ত ৭১৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০০ জন। করোনায় মারা গেছেন ৩৩ জন। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ২০ জনের বেশি নারী-পুরুষ।

পেকুয়ায় আগুনে পুড়েছে ৬ বাড়ি

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের পেকুয়ায় দিনদুপুরে ৬ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার (১৬ মে) বিকাল ৪টায় ঘটনাটি ঘটে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাটা এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার জাহেদা বেগমের বাড়ি থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এরপরই দ্রুত আশেপাশের বাড়িগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

তারা জানান, যে ৬ টি বাড়ি পুড়ে গেছে সেগুলোর মধ্যে ৫ আপন ভাইয়ের বাড়ি রয়েছে। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলো মাটির দেয়াল ও ছনের ছাউনি এবং পাশাপাশি হওয়ায় দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জাহেদা বেগম বলেন, “এই বাড়িটা ছাড়া আমাদের কোনো ধনসম্পদ নাই। আজ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল।” কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন তিনি।

আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আমজাদ জানান, তিনি গরুর ব্যবসা করেন। তার বাড়িতে তার ব্যবসার জমানো প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যবসার শেষ সম্বল পুড়ে যাওয়ায় গরু ব্যবসায়ী আমজাদ পাগলপ্রায় হয়ে যান।

বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের এমইউপি মো. আনিছুল করিম বলেন, “বিকেল ৪টার দিকে পশ্চিম জালিয়াকাটা এলাকার মৃত আহম্মদ শরিফের পুত্র ইসমাইল, তার ভাই জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, মহিউদ্দিনের পুত্র নাছিম ও মৃত বাদশার স্ত্রী জাহেদা বেগম ও আমজাদের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনের কারণে স্থানীয়রা প্রথমদিকে ভীত সন্ত্রস্ত ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ দিদারুল হক বলেন, “বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাট এলাকায় যেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখানে যাওয়ার রাস্তা এতই সরু এবং ভগ্নদশা যে আমাদের ছোট গাড়ি নিয়ে যেতেই অনেক বেগ পেতে হয়েছে এবং সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এরপরও আমরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।”

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ জনই আপন সহোদর। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান তিনি। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈকা শাহাদাত।

ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে তাৎক্ষণিক চাল, ডাল, তেল, লুঙ্গি, কম্বল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে এবং প্রত্যেক পরিবারকে ২ বান করে টিন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দৈনিক আজাদী

লামায় আম আকৃতির মুরগীর ডিম!

Posted By admin On In দেশ-বিদেশের সংবাদ,ব্রেকিং নিউজ,শীর্ষ সংবাদ | No Comments

নিউজ ডেক্স : লামায় আম আকৃতির ডিম পেড়েছে এক মুরগী ! লামা পৌরসভার চাম্পাতলী এলাকায় বসবাসরত লামা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপ সহকারি প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন রেজার পালিত মুরগি গত ৩ দিন যাবত হুবহু আম আকৃতির ডিম পাড়ছে।

আম আকৃতির এ ডিম দেখার জন্য স্থানীয়রা তার বাড়িতে ভীড় করছেন। মুরগীর মালিক মোহাম্মদ মহসীন রেজা জানান, তার এক বছর বয়সী মুরগীটি ইতিপূর্বে স্বাভাবিক ডিম পাড়তো। গত দুই দিন আগে সকালে উঠে মুরগির ঘরটিতে ডিম দেখে তিনি হতবাক হন। ডিমটি হুবহু আম আকৃতির।

এভাবে আজ শনিবারসহ একই আকৃতির তিনটি ডিম পেড়েছে মুরগীটি। ডিম গুলি তিনি সংরক্ষণ করছেন এবং বিষয়টি প্রাণী সম্পদ বিভাগের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

লামা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ ইসহাক আলী জানান, মুরগীর বিকৃত আকৃতির ডিম পাড়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা। বিভিন্ন কারনে মুরগীসহ বিভিন্ন পাখির ডিমের আকৃতি ও গঠন মাঝে মধ্যে বিকৃত কিংবা পরিবর্তন হয়।

স্থানীয় সাংবাদিক এম. বশিরুল আলম জানান, ডিম গুলি আমি হাতে নিয়ে দেখেছি। ডিমের এ অদ্ভুত আকৃতি দেখে একে প্রকৃতির বিচিত্র খেয়াল বলে মনে হয়েছে। দৈনিক আজাদী