মারুফ খান : বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশে ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ইং অনুষ্টিত হয়ে লোহাগাড়া প্রেসক্লাবেরর বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ। ভ্রমণ স্থান ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। সকাল ৮টায় যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও যথাসময়ে হয়নি। কারণ বহুবিধ।
সকাল সাড়ে ৯টায় লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশন থেকে কক্সবাজারেরর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। যাত্রার একটু পরেই নাস্তা বিরতী। হোটেল মিডওয়েতে নাস্তা শেষে গ্রুপ ফটোসেশন। আবার যাত্রা শুরু। যাত্রাকালে গাড়ির ভিতর চলছিল গানাড্ডা। প্রায় সকলে বেসুরে গেয়েছে গান। এতে প্রাণবন্ত ছিল সকলে। পথিমধ্যে রামুর ১শ ফুট বৌদ্ধ মুর্তি দর্শন ও ফটোসেশন। যদিও বা না চেনার কারণে অন্য বৌদ্ধ মন্দিরে যাওয়া, সেখান থেকে আবার পেছনের দিকে আসাটা ছিল বিরক্তকর।
বৌদ্ধ মূর্তি দর্শন শেষে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। এরই মধ্যে প্রচন্ড তাপদাহে কাহিল সকলে। দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার পৌঁছে সোজা লোহাগাড়া মা মনি হাসপাতালেরর প্রতিষ্টাতা পরিচালক আলহাজ্ব এম. এ. কাশেমের পরিচালনাধীন হোটল বিচ ভিউতে। হোটল কর্তৃপক্ষ সবাইকে অভ্যার্থনা জানান। কিছুক্ষণ অভ্যার্থনা কক্ষে বসার পর রুমে ফ্রেশ ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। দুপুর দেড়টা থেকে বিচ ভিউ হোটেলের ৭ম তলায় সাম্পান রেষ্টুরেন্টে দুপুরের খাবার। সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের জন্য রেষ্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
দুপুর ২টা থেকে রেষ্টুরেন্টের ভিতরই শুর হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। হোটেলের কর্মকর্তা ও লোহাগাড়ার সুখছড়ির এলাকার সন্তান সুজিত দত্তের গান সবার নজর কাড়ে। একের পর এক গান গেয়ে সকলের মন কেড়ে নিয়েছেন তিনি। এই সঙ্গীতানুষ্ঠানে কয়েকজন সংবাদকর্মীও গান পরিবেশন করেন। বিকেল ৫টায় শেষ হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান।
এরপর যাত্রা সমুদ্র সৈকতে। সেখানে যে যার মতো নোনা পানিতে গা ও পা ভিজিয়েছেন। ছবি তুলেছেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে অবস্থান শেষে, পরে যে যার মতো শপিং করেছেন।
সন্ধ্যা ৭টায় লোহাগাড়ার কলাউজানের সন্তান ও কলাতলীতে স্যান্ডি বিচ রেস্টুরেন্ট’র মালিক আবদুর রহমানের আমন্ত্রণে ওই হোটেলে নাস্তা শেষে লোহাগাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা।
বলা বাহুল্য ফেরার পথে গাড়ির ভিতর সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, রায়হান সিকদার ও খোকন সুশীলের মধ্যে চলে শব্দযুদ্ধ। এক পর্যায়ে সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে যায়। যদিও বা তিনি পরে স্বীকার করেছেন, এটি জাষ্ট একটিং ছিল।
রাত ৯টায় মালুমঘাটে ডা: নিকোলাস বি হাওলাদার পরিচালিত মালুমঘাট মা মনি হাসপাতালে যাত্রা বিরতি ও চা চক্র। ডাক্তারের আতিথীয়তা ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণের পরিবেশ সকলকে মুগ্ধ করেছে।
রাত ১১টায় লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশনে পৌঁছে গাড়ি। লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আনন্দ ভ্রমণ সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এই আনন্দ ভ্রমণে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতঞ্জতা জানিয়েছেন তিনি।
আনন্দ ভ্রমণে এই প্রতিবেদক ছাড়াও সংবাদকর্মীদের মধ্যে যাঁরা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মো: জামাল উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, পুষ্পেন চৌধুরী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল খালেক, মনির আহমদ আজাদ, এইচ এম জসিম উদ্দিন, তাজ উদ্দিন, ডা: কামাল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, রায়হান সিকদার, খোকন সুশীল, এরশাদ হোছাইন, আতাউর রহমান মাসুদ, মিনহাজ উদ্দিন ও আলাউদ্দিন। মুক্তিযোদ্ধ সাংবাদিক নুরুল ইসলাম ও মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম অসুস্থতার কারণে আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণ করতে না পারায় আন্তরিকভাবে দু:খপ্রকাশ করেছেন তারা।