এলনিউজ২৪ডটকম : গত ২ জুলাই সোমবার দিনগত রাত থেকে অতি বর্ষণ ও উজার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির ঢলে লোহাগাড়ার নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এলাকার নদী ও খালে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে খাল পাড়ের মানুষ আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। বেশ বসতঘর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জুন জানিয়েছেন, ডলুখালের ভাঙ্গনে সাতগড় এলাকায় ৫ বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভারী বর্ষণে রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব মিয়া জানিয়েছেন, ডলু, কুলপাগলি ও হাতিয়া খালের ভাঙ্গনে খাল পাড়ের প্রায় ২০% বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বড়হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমডি জুনাইদ জানিয়েছেন, থমথমিয়া, কুলপাগলি, চিয়নখালের বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে ৪০ বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পুটিবিলা ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউনুচ জানিয়েছেন, সরইখালের লোহাগাড়া- কেয়াজুপাড়া সড়কে ও সরইয়া রমবিলা সড়কে ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় যাতায়াতকারীদের ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া রাস্তাঘাট ও খাল সংলগ্ন বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আমিরাবাদ ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, টংকাবতী ও ডলু খালের ভাঙ্গনে প্রায় ৫০ বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দু’খালের ৭ স্থানে ভাঙ্গনে নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, টংকাবতী খালের ভাঙ্গনে রাজঘাটা এলাকায় ২০ বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান এ. ওয়াহেদ জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণে কলাউজান দারুচ্ছুন্ন আলিম মাদ্রাসা ও পূর্ব কলাউজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হুমকীর মুখে। টংকাবতী খালের ভাঙ্গনে ৭ বসতঘর বিলীন হয়ে গেছে ও হুমকীর মুখে আছে ২০ বসতঘর। এছাড়াও রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
লোহাগাড়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরী জানিয়েছেন, ৩নং ওয়ার্ডের হাকিমজানি ভাঙ্গার ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন জানিয়েছেন, হাঙ্গর খালের ভাঙ্গনে অনেক বসতঘর হুমকির মুখে। এছাড়াও রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালর্ভাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খাল পাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অপরিকল্পতভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ও খালের গভীরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই অতি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির তীব্র স্রোতে নদী ও খালের পাড় ভেঙ্গে নিুাঞ্চল প্লাবিত এবং জনবসতি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়াও উপজেলার আমিরাবাদ, চরম্বা, পদুয়া, পুটিবিলা ও আধুনগর এলাকার নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।