লোহাগাড়ায় হেফজখানার ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন, শিক্ষক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার রিয়াদ হোসেন উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মল্লিক ছোবহান হাজির পাড়ার আহমদ কবিরের পুত্র ও ওই হেফজখানার শিক্ষক।

জানা যায়, প্রায় ৮ মাস পূর্বে একটি আবাসিক ভবনের নিচ তলার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে হেফজখানাটি চালু করা হয়। সেখানে প্রায় ২০ জনের মতো ছাত্র ছিল। তাদের মধ্যে ৯ জন আবাসিক ছাত্র ও অন্যরা নিজেদের বসতঘর থেকে আসা-যাওয়া করে হেফজ করত।

অভিযুক্তকে প্রায় এক মাস পূর্বে ওই হেফজখানায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। রাতে হেফজখানায় আর কোনো শিক্ষক না থাকার সুযোগে ছাত্রদের সাথে রিয়াদ হোসেন এই অপকর্ম চালিয়ে যেত।

ঘটনাস্থলে হেফজখানার ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই পর্যন্ত ওই শিক্ষক ৪ জন শিক্ষার্থীর সাথে যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে একাধিকবার যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে। বিষয়টি কাউকে না বলতে ভয়ভীতিও দেখাত ওই শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ছাত্রের স্বজনরা জানান, আজ শুক্রবার সকালে ওই ছাত্রের মা হেফজখানা থেকে তাকে বাড়িতে আনতে যান। এ সময় ওই ছাত্রকে মন খারাপ অবস্থায় দেখতে পান। মা কারণ জানতে চাইলে তার ছেলে প্রথম বলতে অপরাগতা প্রকাশ করে। বাড়িতে গিয়ে বলবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে ছেলে তার মাকে হেফজখানার শিক্ষক কর্তৃক যৌন নিপীড়নের বিষয়টি খুলে বলে।

এরপর স্বজনরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে লোহাগাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম লিটন জানান, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক হেফজখানায় কয়েকজন ছাত্রকে দীর্ঘদিন ধরে পালাক্রমে যৌন নিপীড়ন চালিয়ে আসছে যা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। হেফজখানার অন্য আবাসিক ছাত্রদেরকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে হেফজখানাটি বন্ধ রয়েছে।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়। ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হেফজখানার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।