নিউজ ডেক্স : বান্দরবানের রাজবিলায় অপহরণের পর আওয়ামী লীগের কর্মী ক্যচিং থোয়াই মারমা (২৮) কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের চার নাম্বার রাবার বাগান এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী ক্যচিং থোয়াই মারমাকে নিজবাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। অপহরণের পর কিছুদূর নিয়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী ৫নং রাবার এলাকায় অপহৃতকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
নিহত ক্যচিং থোয়াই মারমা (২৮) রাজবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী ছিল। সে তাউ থোয়াই মারমার ছেলে এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইম্রা অং মারমার ছোট ভাই। সকালে রাবার বাগানে কাজ করতে গিয়ে লোকজন তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ রোববার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত আওয়ামীলীগ কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে। লাশের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।
রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু মারমা বলেন, ক্যচিং থোয়াই আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলো। তার ভাই সাইম্রা অং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
এদিকে আওয়ামী লীগের কর্মীকে হত্যার জন্য জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছে আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে জেএসএস জেলা সভাপতি উছোমং মারমা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
অপরদিকে রাজবিলা রাবার বাগান এলাকায় একের পর এক অপহরণ, হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ওসি তদন্ত এনামুল হক ভূইয়া জানান, অপহরণের পর একজনকে গুলি করে হত্যার খবর পেয়েছি। শুনেছি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গত ৯ মে রাবার বাগান এলাকায় সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এর দুদিন আগে ৭মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন যুব পরিষদের কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পুরাধন তঞ্চঙ্গা নামের আরেকজন কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতের এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।