ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | পৃথক থানা বাস্তবায়ন নামকরণ নিয়ে দু’থানাবাসীর মধ্যে টানাপড়েন

পৃথক থানা বাস্তবায়ন নামকরণ নিয়ে দু’থানাবাসীর মধ্যে টানাপড়েন

(ফাইল ছবি)

(ফাইল ছবি)

নিউজ ডেক্স : চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার মধ্যবর্তী দোহাজারী, ধোপাছড়ি, কালিয়াইশ, খাগরিয়া, ধর্মপুর, পুরানগড়, বাজালিয়া ও কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সমন্বয়ে পৃথক থানা বাস্তবায়নে ২ থানার অধিবাসিদের মধ্যে নামকরণ নিয়ে টানাপোড়ন চলছে। এনিয়ে উভয় থানার অধিবাসীরা ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে পৃথক পৃথক মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে সাতকানিয়ার ৬ ইউনিয়ন ও চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভা ধোপাছড়িকে নিয়ে নতুন থানা ‘দোহাজারী-সাঙ্গু’ নামকরণের প্রতিবাদে উত্তর সাতকানিয়ার ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণের নেতৃত্বে এবং একই এলাকার আর একটি পক্ষ পৃথক পৃথকভাবে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানান। এ দিকে দোহাজারীবাসী ‘দোহাজারী-সাঙ্গু’ থানা বাস্তবায়নের লক্ষে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। সাতকানিয়াবাসী উত্তর সাতকানিয়া থানা নামকরণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি, সিআইপি এম এ মোতালেব, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, সাতকানিয়ার পৌর মেয়র মো. জোবায়েরসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ।
এ দিকে ‘দোহাজারী-সাঙ্গু’ থানা নামকরণের পক্ষে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাতকানিয়ার ৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সম্মতিক্রমে ডিও লেটার দিয়েছেন। তাছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক উপ-শহর নামে খ্যাত দোহাজারী। সড়ক, নৌ,রেলপথের সম্মিলন কেন্দ্র দোহাজারীকে থানায় উন্নীত করার জন্য প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস বিষয়ক জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) ১৯৮৫ সালে সুপারিশ পেশ করেন। নিকার আরেক প্রস্তাবনায় দোহাজারীকে জেলা সদর দপ্তর করে দক্ষিণ চট্টগ্রামে নতুন জেলা সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়। শুধু তাই নয়, ২০০১ সালে দিয়াকুল আশ্রায়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে তৎকালিন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান দোহাজারী থানার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। নবম জাতীয় সংসদের ১ অধিবেশনে তৎকালিন সংসদ সদস্য, বর্তমান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আলহাজ নুরুল ইসলাম বিএসসি সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্কে দোহাজারীকে থানা গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। যা পরবর্তীতে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ‘দোহাজারী-সাঙ্গু’ থানা বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে। কিন্তু একটি মহল চলমান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, এ আন্দোলনকে পুঁজি করে একটি স্বাধীনতা বিরোধী চক্র নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনের নামে নিজেরা সক্রিয় হচ্ছে। যা কোন ভাবেই বর্তমান সরকারের জন্য শুভকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল। দোহাজারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ বলেছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালি উপজেলা জামাত অধ্যুষিত এলাকা। এ অবস্থায় ‘দোহাজারী-সাঙ্গু’ থানা বাস্তবায়ন না হয়ে, সাতকানিয়া নামকরণে থানা বাস্তবায়ন হলে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র সক্রিয় হয়ে উঠবে। বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থানার নামকরণ বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!