ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চার কোটি টাকা ও ফেনসিডিলসহ ‘চট্টগ্রামের জেলার’ আটক

চার কোটি টাকা ও ফেনসিডিলসহ ‘চট্টগ্রামের জেলার’ আটক

আটককৃত জেলার সোহেল রানা

আটককৃত জেলার সোহেল রানা

নিউজ ডেক্স : নগদ ও চেকে মিলিয়ে চার কোটিরও বেশি টাকা আর বারো বোতল ফেনসিডিলসহ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস ধরা পড়েছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেল স্টেশনে।

এ সময় সোহেলের কাছ থেকে নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার, এক কোটি ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের পাঁচটি চেক ও দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের চেকবইও জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর একটায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে সোহেলকে আটক করা হয়।

জেলার সোহেলের দাবি, এই টাকা তার বেতনের। তবে ১৮ বছরের চাকরি জীবনে পাওয়া সব টাকা তিনি জমিয়ে রেখেছেন-সেটি বিশ্বাস করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর যদিওবা তিনি সব টাকা জমান, তাতেও এত টাকা হয় কি না, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাদের ধারণা, দুর্নীতি করে এই টাকা আয় করেছেন জেলার।

ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহজনকভাবে জেলারের কাছে থাকা দুইটি ব্যাগ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ব্যাগ খুলে নগদ টাকা, চেক, ডিপোজিট বই ও মাদক পাওয়া যায়।

সোহেল রানার কাছে যেসব চেক পাওয়া যায় তার মধ্যে ময়মনসিংহ সদর শাখার ব্র্যাক ব্যাংকের একটিতে ২০ লাখ টাকা, সাউথ-ইস্ট ব্যাংকেরটিতে ৪০ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকেরটিতে ৭০ লাখ টাকার কথা লেখা ছিল। চেকগুলোর টাকা উত্তোলনের তারিখ ছিল আগামী ২৮ অক্টোবর।

জেলারের স্ত্রী হোসনে আরা পপির নামেও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকা ও তার শ্যালক রাকিবুল হাসানের নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার ডিপোজিট চেকবই পাওয়া যায়। আরও তিনটি ব্যাংকের তিনটি খালি চেক পাওয়া যায়।

এ বিপুল পরিমাণ টাকার বিষয়ে সোহেল রানা বিশ্বাস বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চট্টগ্রাম কারাগারে পরিদর্শক ও জেলার হিসাবে চাকরি করছি। আমার তো টাকা থাকতেই পারে।’ তবে এর বাইরে আর কিছু বলতে রাজি হননি জেলার।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, অবৈধ উপায়ে উপার্জিত এ বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নিজ বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে যাচ্ছিলেন তিনি।’ জেলার সোহেলের বিরুদ্ধে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!