নিউজ ডেক্স : চন্দনাইশ পৌরসভার পূর্ব জোয়ারা ৩নং ওয়ার্ড মোবারক খলিফা বাড়ি এলাকায় ১০ মাস বয়সী শিশুর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় ৩টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার রাতে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষা শেষে ওই শিশুর শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পরপরই রাত ১২টার দিকে প্রবাসী মাহাবুবুল আলমের বাড়িটি লকডাউন করা হয়।
আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে করোনা শনাক্ত হওয়া শিশুর সংস্পর্শে আসায় পৌরসদরস্থ কেরানী বাড়িতে ১টি ও বরমা ইউনিয়নে ১টিসহ তাদের ২টি আত্মীয় বাড়িও লকডাউন করা হয়।
চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন হাসান চৌধুরী জানান, করোনা শনাক্ত হওয়া দশ মাস বয়সী ওই শিশুকে বেশ কিছুদিন আগে নিউমোনিয়াজনিত কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সুস্থ হওয়ার পর গত ১২ এপ্রিল পুর্ব জোয়ারস্থ তাদের বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে আসার পর পুনরায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৪ এপ্রিল প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আনলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক চিকিৎসা চলমান রাখার জন্য বলা হয়। গত ১৭ এপ্রিল জ্বর আর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
পরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস থেকে তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় করোনা আক্রান্ত শিশুটির বাড়ি লকডাউন করা হয়।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন জানান, করোনা আক্রান্ত শিশুটির বাড়ি গত রাত ১২টার পর লকডাউন করা হয় এবং তার সংস্পর্শে আসার সন্দেহে পৌরসদরস্থ কেরানীর বাড়িতে ১টি এবং বরমা ইউনিয়নে ১টিসহ তাদের আরো ২টি আত্মীয় বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সাথে সাথে এসব পরিবারের সদস্যদের ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা না করার জন্য বলা হয়। দৈনিক আজাদী