নিউজ ডেক্স : পরিবহন ব্যবসায়ী মো.হারুন (৪০) খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে আসামি করা না হলেও এজাহারে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের সন্দেহভাজনের তালিকায় রেখেছেন বাদি।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, ১০ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা থাকার কথা বলা হয়েছে এজাহারে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
সন্দেহভাজন ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, লিটন, শাওন, ইফতেখার, নূরনবী এবং আলমগীর।
তবে এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক রুহুল আমিন।
রোববার (০৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে নগরীর সদরঘাট থানার মাদারবাড়ি এলাকায় শুভপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এস টি ট্রান্সপোর্টে ব্যবসায়ী মো.হারুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হারুন প্রয়াত বিএনপি নেতা দস্তগীর চৌধুরীর ভাই প্রয়াত আলমগীর চৌধুরীর ছেলে। হারুন সদরঘাট থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তিন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো.জোবায়ের এবং আব্দুল কাদের শোভাযাত্রা ও সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিলেন। শোভাযাত্রার শেষদিকে পেছন থেকে হারুনকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় বলে পুলিশের বক্তব্য।
বিএনপি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যুবলীগ-ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। পরিবারের দাবি, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় খুন হতে হয়েছে হারুনকে। -বাংলানিউজ