- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

১৮ নভেম্বর থেকে চমেক হাসপাতালে প্রবেশে নতুন নিয়ম

chittagong-madicel-college

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে নতুন নিয়মে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে হবে। এতদিন উন্মুক্ত থাকলেও ওইদিন থেকে (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা পাস ছাড়া কোন ওয়ার্ডে আর প্রবেশ করা যাবে না। একশ টাকা (ফেরতযোগ্য) জামানতের বিনিময়ে পাস সংগ্রহ করেই ওয়ার্ডে প্রবেশের সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। নতুন নিয়ম চালুকরণে প্রায় ২০ হাজার পাস ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন আজাদীকে বলেন, হাসপাতালের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর ১৮ নভেম্বর থেকে নতুন নিয়ম কার্যকরের বিষয়টি বিজ্ঞপ্তি আকারে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

হাসপাতাল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে– ওয়ার্ডে ভর্তির সময় একজন রোগীর বিপরীতে একশ টাকা জামানতের বিনিময়ে দুটি পাস সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বা ইউনিট। ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স বা নার্স ইনচার্জ এ পাস সরবরাহ করবেন। পাসধারী রোগীর একজন অ্যাটেনডেন্ট (রোগীর স্বজন) সার্বক্ষণিক ওয়ার্ডে অবস্থান ও যাতায়াত করতে পারবেন। আর পাস হাত বদল করে রোগীর একাধিক দর্শনার্থী ওয়ার্ডে ভিজিট (নির্দিষ্ট সময়ে) করতে পারবেন। তবে এক ওয়ার্ডের সরবরাহকৃত পাস দিয়ে অন্য কোন ওয়ার্ডে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না দর্শনাথীরা। রোগীর ছাড়পত্র দেয়াকালীন পাস ফেরত সাপেক্ষে জামানতের টাকা (প্রতিটি পাস বাবদ ৫০ টাকা) ফেরত দেয়া হবে। অবশ্য ভর্তির প্রাক্কালে পাস সংগ্রহের আগ পর্যন্ত রোগীর ভর্তির টিকিট বা ফরম প্রদর্শনের মাধ্যমে রোগী ও স্বজনরা ওয়ার্ডে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। ভর্তির পর ওয়ার্ড থেকে জামানতের মাধ্যমে পাস সংগ্রহ করতে হবে রোগী বা স্বজনদের।

এদিকে, রোগীর দর্শনাথীদের জন্য সময়ও নির্ধারণ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শীতকালে (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা এবং গ্রীষ্মকালে (মার্চ থেকে অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে হাসপাতালে প্রবেশের সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। আর মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভরা রবি ও বুধবার (সপ্তাহের দুই দিন) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত (এক ঘণ্টা) হাসপাতালে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। এই সময়ের পর তারা (মেডিকেল রিপ্রেজেন্টিভ) হাসপাতালে প্রবেশ কিংবা অবস্থান করতে পারবেন না।

নিয়ম ও শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখার জন্য হাসপাতালের প্রবেশ পথে (সিঁড়ির মুখে) আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ম ও শৃঙ্খলার বিষয়টি তারা দেখবেন। অর্থাৎ দর্শনার্থীর পাস আছে কিনা সেটি আনসার সদস্যরা নিশ্চিত করবেন। হাসপাতাল প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী– প্রবেশ ও যাতায়াতের সুবিধার্থে হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক–শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা–কর্মচারিদের স্ব–স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয় পত্র বহন করতে হবে। এছাড়া চিকিৎসক ও মেডিকেল ছাত্র–ছাত্রীকে এপ্রোন, নার্সিং কর্মকর্তা ও ছাত্র–ছাত্রীদের ইউনিফর্ম এবং কর্মচারিদের লিভারেজ (যারা প্রাপ্ত) পরিধান করতে হবে।

এসব সিদ্ধান্তের বিষয়টি এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তিকারে হাসপাতালের সবকয়টি ওয়ার্ড/ইউনিট প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক। এদিকে, আগের তুলনায় হাসপাতাল এলাকা জুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তার বহরও। অতিরিক্ত একশ আনসার সদস্য পাওয়ায় হাসপাতালের শৃঙ্খলার স্বার্থে নতুন এ নিয়ম কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল প্রশাসন জানিয়েছে। –আজাদী