এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের হাছিনা ভিটা এলাকায় ২৩ জানুয়ারী সকালে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আবদুল আজিজ (২৮) ওই এলাকার পোল্ট্রি খাদ্যের দোকানের কর্মচারী ও কক্সবাজারের মহেশখালী মাতারবাড়ি এলাকার মুফতি ফরিদ আহমদের পুত্র। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আবদুল আজিজ মক্কা এগ্রো কমপ্লেক্সে ১৫ দিন পূর্বে দিন মজুর হিসেবে যোগদান করেন। সকালে আবদুল আজিজকে কাজের জন্য খোঁজাখুজি করে। এক পর্যায়ে বেলাল নামের ওই ফার্মের এক কর্মচারী গাছের সাথে ঝুলন্ত দেখে চিৎকার দেন বলে জানান ফার্মের ফোরম্যান হারুনুর রশিদ। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
খবর পেয়ে কেয়াজুপাড়ার পুলিশ ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মফিজ নামের এক কর্মচারী পালিয়ে যায় বলে জানান ফার্মের মালিক মোঃ আরফাত। আরফাত সাতকানিয়া উপজেলার চিববাড়ি আজিজুল হক মেম্বারের পুত্র।
ওই এলাকার দফাদার মোবারক আলী বলেন, মক্কা এগ্রো কমপ্লেক্সের মালিক আরফাত একজন মাদকসেবী। তার অত্যাচারে অনেক কর্মচারী চলে গেছে। ঘটনাস্থল নির্জন হওয়াতে নিয়মিত মাদকের আসর বসে। নিহত আজিজের ঝুলন্ত লাশ দেখে আত্মহত্যা নাকি খুন বুঝা যাচ্ছে না। তবে মক্কা এগ্রো কমপ্লেক্সের কর্মচারীদের নির্যাতনে বেশি যা বাহিরে প্রকাশ হয় না।
প্রতিষ্ঠানের মালিক আরফাত ও তার ভাই জিয়া উদ্দিন বলেন, নিহত আজিজ ১৫ দিন ধরে তাদের ফার্মে দিনমজুর হিসাবে কাজ করে আসছিলেন। কেন মারা গেল কি কারণে মারা গেল তার সঠিক তথ্য তিনি জানে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
লামা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।