আন্তর্জাতিক ডেক্স : শুক্রবার ভোররাতে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস্ ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ইরাকে নিহত হয়েছেন। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সর্বোচ্চ প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
খামেনি বলেছেন, যেসব অপরাধী তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলেইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে। মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যায় এক শোকবার্তায় এ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি ইরানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।
শুক্রবার ভোরে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেনারেল সোলেইমানির গাড়িবহর লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় আয়াতুল্লাহ খামেনির পর ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চেয়েও বেশি ক্ষমতাধর জেনারেল সোলেইমানিসহ আরও বেশ কয়েকজন নিহত হন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তান রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন জেনারেল সোলেইমানি। শাহাদাতের যে আকাঙ্ক্ষা তিনি পোষণ করতেন শেষ পর্যন্ত সেই মর্যাদায় তিনি অধিষ্ঠিত হলেন। তার রক্ত ঝরেছে মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।’
জেনারেল সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে খামেনি বলেন, ‘সব শত্রুদেরই জেনে রাখা উচিত, প্রতিরোধ বাহিনীর জিহাদ দ্বিগুণ উদ্যমে অগ্রসর হবে এবং অবশ্যই পবিত্র এ যুদ্ধে যোদ্ধাদের জন্য নিশ্চিত বিজয় অপেক্ষা করছে।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, সোলেইমানি হত্যার বদলা নিতে ইরান ও প্রতিরোধ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। কাজেই সকল বন্ধু ও শত্রুর জেনে রাখা উচিত জেনারেল সোলেইমানির শাহাদাতের পর দ্বিগুণ উৎসাহে প্রতিরোধ আন্দোলন এগিয়ে যাবে এবং এই আন্দোলনের বিজয় অনিবার্য।’
এছাড়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ সোলেইমানি হত্যাকে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানান। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে তার এই দুর্বল বিপজ্জনক কাজের সমস্ত পরিণতির জন্য দায়ভার বহন করতে হবে।’