নিউজ ডেক্স : তিনি ফেসবুকে এমপি ও হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বলেছিলেন ক্যাসিনোর ১৮০ কোটি টাকার ভাগ পেয়েছেন তারা। তারপর মঙ্গলবার তাকে অসদাচরণের দায়ে পুলিশের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখন সেই পুলিশ পরিদর্শকের পাশে আইনি সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জুয়া নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ার পর অসদাচরণের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এপিবিএনে কর্মরত নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল আমিন চাইলে তাকে আইনি সহায়তা দিতে চান ব্যারিস্টার সুমন। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
পরে এক ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘সাইফুল আমিন নামে একজন ওসি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে গত পরশু দিন সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ফেসবুকে এমপি ও হুইপের বিরুদ্ধে বলেছেন ক্যাসিনোর ১৮০ কোটি টাকার ভাগ পেয়েছেন তারা। এই স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে পুলিশ বিভাগ থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমি ওসির পক্ষে আইনি লড়াই করতে চাই। সাসপেনশন লেটারটা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দাঁড়াতে চাই। আমি ইচ্ছাপোষণ করছি।‘
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষকে ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। এখানে কতগুলো প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাকে সাসপেন্ড করার মধ্য দিয়ে আমি কতগুলো প্রশ্ন করতে চাই। আদৌ এটি ওনার (পুলিশ কর্মকর্তার ফেসবুক) অ্যাকাউন্ট কি না। ওনার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে কি না।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এক আদেশে বলা হয়, ঢাকার উত্তরায়-১৩ এপিবিএনে কর্মরত নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল আমিনকে বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপ, জনসম্মুখে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করা তথা অসদাচরণের দায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) মোতাবেক চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। -বাংলানিউজ