- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

সুশান্তের মৃত্যুরহস্য ফোনেই লুকিয়ে রয়েছে!

সুশান্ত-রিয়া

বিনোদন ডেস্ক : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে বেরিয়ে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য। এবার ধারণা করা হচ্ছে, অভিনেতার মৃত্যুর রহস্য ফোনেই লুকিয়ে রয়েছে! আসলেই কি তাই?

মুম্বাই পুলিশ সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর দিন জানায়, সুশান্তের ফোন থেকে দু’টি নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হয়। এই দুটি ফোন নম্বর হল মহেশ শেঠি ও রিয়া চক্রবর্তীর।  

মুম্বাই পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, ১৩ জুন রাতে সুশান্তের ফোনে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। এই দুটি তথ্যের ভিত্তিতেই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। সাধারণভাবে যে-কেউ সমস্যায় পড়লে কাছের জনকেই ফোন করেন। প্রশ্ন উঠছে ঠিক কী এমন ঘটেছিল, যে কারণে রিয়া ও মহেশ শেঠিকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন সুশান্ত?

১৩ জুন রাতে সুশান্তের ফোনে যে অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল তার কারণেই কি সুশান্ত অস্থির হয়ে উঠেছিলেন? সেটা কার ফোন ছিল? সেই তথ্য কি মুম্বাই পুলিশ সুশান্তের কল রেকর্ড থেকে জেনেছে? ইতোমধ্যেই কি সেই তথ্য সিবিআই’র হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে? যদি তুলে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে হয়তো  সিবিআই সঠিক সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনার জন্য। একটু ভেবে দেখলেই দেখা যাবে এই প্রশ্নগুলো এখনও রয়েই গেছে।

অন্যদিকে, সুশান্তের বাবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতে তিনি বলেছিলেন, বলিউডে সুশান্ত কিছুটা একঘরে হয়ে ব্যবসায় মন দিতে চেয়েছিলেন। যার মধ্যে তিনি অরগানিক চাষাবাদ করতে চেয়েছিলেন। পাশাপাশি, রিয়া ও শৌভিকের সঙ্গে সুশান্ত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে একটি কোম্পানি খুলেছিলেন। রিয়াকে ভালোবেসে যার নাম দিয়েছিলেন ‘রিয়ালিটি’। রিয়ার কথায় ‘রিয়ালিটি’তে সুশান্ত-রিয়া-শৌভিক তিনজনেই ৩৩ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন।  

এক্ষেত্রে ভাইয়ের টাকাও তিনিই দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন রিয়া। আরও একটি কোম্পানি সুশান্তের ছিল, যাতে নামমাত্র (১ শতাংশ) শেয়ার ছিল শৌভিক চক্রবর্তীর। প্রশ্ন ওঠছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে এই কোম্পানিতে কী হতো?

তদন্তে উঠে এসেছে এই কোম্পানিতে পরবর্তীকালে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। তথ্য অনুযায়ী, এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’র কাজ কোডিংয়ের মাধ্যমে করতে হয়। যে কোডিং-কে আগামী দিনের ভাষা বলে দাবি করা হয়।

প্রশ্ন ওঠছে তবে কি এই কোডিংয়ের মাধ্যমেই সুশান্ত কোনও গোপণ তথ্য জেনে গিয়েছিলেন? যেটা সুশান্তের বিপদ বাড়িয়ে তুলেছিল? আর এই সূত্র ধরেই কি ১৩ জুন রাতে সুশান্তের ফোনে অজানা ব্যক্তির ফোন এসেছিল? 

সুশান্তের বাবার দাবি, ছেলের সঙ্গে সম্প্রতি তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সুশান্ত বারবার নম্বর বদলাতেন। বলিউডের কোনও প্রথম সারির নায়ক কেনো তার নম্বর বারবার বদলে ফেলবেন? নম্বর বারবার বদলালে বিভিন্ন পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গে সুশান্তের যোগাযোগ করতেও তো সমস্যা হবে। তাহলে তিনি কি কোনও কিছুর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন? যে তথ্য তিনি পরিবারকেও জানাতে পারছিলেন না? এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুশান্ত মৃত্যুর রহস্য। সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা হোক, কিংবা হত্যা- তার পেছনে কারণ তো অবশ্যই থাকবে। সেটা কী, সুশান্তের ফোন কলের ভিতরেই লুকিয়ে রয়েছে?