Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সারাদেশে কত কোর্টে লোহার খাঁচা আছে, জানতে চান হাইকোর্ট

সারাদেশে কত কোর্টে লোহার খাঁচা আছে, জানতে চান হাইকোর্ট

নিউজ ডেক্স: এখনো সারা দেশের অধস্তন আদালতের কতটি কোর্ট রুমে লোহার খাঁচা আছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া কোন কোন আদালত থেকে খাঁচা সরানো হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত।

সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিবকে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

পরে আইনজীবী শিশির মনির জানান, এখনো কোনো আদালতের লোহার খাঁচা রয়েছে এবং খাঁচা সরানো হয়েছে, সে বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী শুনানির জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন রেখেছেন।

আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী এরিট করেন। রিটের পর আদালত রুল জারি করে তালিকা চেয়েছিলেন।

রুলে আদালত কক্ষে লোহার খাঁচা স্থাপন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যমান লোহার খাঁচা অপসারণ করে কাঠের ডক প্রতিস্থাপন করার পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

তখন আইনজীবী শিশির মনির জানিয়েছিলেন, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব‍্যুনালে এই ধরনের লোহার খাঁচা অতীতে ছিল না। বর্তমানে প্রায় শতাধিক আদালতে এই ধরনের খাঁচা বিদ্যমান। এর সিংহভাগ ঢাকায় অবস্থিত।

এই ধরনের খাঁচা ব্যবস্থাপনা সংবিধানের ৩১,৩২ ও ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ৩৫(৫) এ বলা আছে কারও সঙ্গে নিষ্ঠুর-অমানবিক আচরণ করা যাবে না। অযথা এই খাঁচা ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অমানবিক ও বর্বর আচরণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!