নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মো. মোস্তফা (৫৫) নামে এক রিকশাচালকের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার ছদাহা সৈয়দাবাদ এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল ছোবহানের ছেলে। আজ শনিবার (২৯ জুন) তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার বড় বোন রোজিনা আক্তার ওরফে রুজি বাদি হয়ে রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠিয়েছে।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ১৩ বছর আগে বাদীর মা মারা যান। মা বেচে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হলে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে ওই সৎ মা’ও মারা যান। বাদীর দু’বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে বাবা বাড়িতে থাকেন। বেশ কিছুদিন ধরে বাদীর বাবা ও ছোট বোনের আচরনে সন্দেহ হলে বিষয়টি দেখার জন্য প্রতিবেশীদের বলে রাখেন। শুক্রবার রাতে বাবা ছোট বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলে।
এসময় স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উভয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বাবাকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন স্থানীয় লোকজন।
বাদি রোজিনা আক্তার জানান, আমার পিতা বিগত ছয় মাস ধরে চাপের মুখে ফেলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে একাধিক বার আমার ছোট বোনকে ধর্ষণ করে । মাঝখানে সে তিন মাসের অন্তঃসত্তা হলে আমি তার কাছে জানতে চাইলে বোন বিষয়টি গোপন রেখে গর্ভপাত করে ফেলে। বেশ কয়েকদিন আগে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে বাবা আমার সাথে রেগে গিয়ে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন।
সাতকানিয়া থানার (ওসি) তদন্ত জানান, সিনেমা ও পর্নো ভিডিও দেখানোর মাধ্যমে ধর্ষণ করার প্রাথমিক কাজ শুরু করেন। পরে বিভিন্ন সময়ে রাতের বেলায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি। এ ঘটনায় মেয়েটির বড় বোন বাদি হয়ে থানায় ধর্ষন মামলা করেন। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিউল কবীর জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। শুক্রবার রাতে মামলা রুজু হওয়ার গ্রেফতার করে আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।