নিউজ ডেস্ক : সাতকানিয়ায় যৌতুকের দাবীতে রোকেয়া বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে জানা যাবে আসল সত্য। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চুড়ামনি গ্রামের বাইট্যা সৈয়দের বাড়ি এলাকার ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করলেও স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
নিহতের বড় ভাই ও উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর রামপুরের সৈয়দ সিকদার বাড়ির আবদুর রশিদের ছেরে মো. মহিউদ্দিন জানান, তিন মাস আগে তার বোনের সাথে এওচিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চুড়ামনি এলাকার বাইট্যা সৈয়দ আহমদের বাড়ির মো. সোলাইমানের দিনমজুর ছেলে মো. পারভেজের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বোনকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় তারা আমার বোনকে মারধর করে।
মহিউদ্দিন বলেন, ‘গত গতকাল দুপুর ২টা থেকে তারা আমার বোনকে আবারো যৌতুকের জন্য মারধর শুরু করে। মারধরের এক পর্যায়ে স্বামী পারভেজ আমার মায়ের কাছে ফোন করে বলেছে আমার বোন কাপড় চোপড় নিয়ে ঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তারা আটকিয়ে রেখেছে। আমার মাকে সেখানে যেতে বলে। এর কিছুক্ষণ পর পারভেজের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তখন সন্দেহ হওয়ায় আমার মা, বাবা ও বড় আম্মা বোনের শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখতে পায় আমার বোনকে মৃত অবস্থায় ফেলে রেখে সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পরে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়।’ মহিউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমার বোনের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মনে হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।’
উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মানিক বলেন, মেয়েটি মারা গেছে এটা সত্য। এটি হত্যা না কি আত্মহত্যা এটা বলতে পারছি না।
সাতকানিয়া থানার এসআই কাজী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতে গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির ঘরের মেঝে থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যৌতুকের জন্য মারধর করে মেয়েটিকে মেরে ফেলছে এটিই ধারণ।
সূত্র: ইত্তেফাক