ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সাতকানিয়ায় কাঠমিস্ত্রি খুনের ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার

সাতকানিয়ায় কাঠমিস্ত্রি খুনের ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার

নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়ায় মুঠোফোনে গেমস খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে কাঠমিস্ত্রি মো. আবদুল গনি রকি নিহত হওয়ার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

আজ শনিবার (২৬ জুন) ভোরে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারোদোনা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মো. শফিকুল আলম (২১) ও মো. সোহেল (২১)।

গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী কাঠমিস্ত্রি রকি হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুঠোফোনে গেমস খেলার সময় সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারোদোনা বসুমতি দিঘীর পশ্চিম পার্শ্বে নির্মিতব্য রেল লাইনে কাঠমিস্ত্রি মোঃ আবদুল গনি রকিকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকি মারা যায়। আবদুল গনি রকি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গোদার পাড়ার আহমদ কবিরের পুত্র। তিনি সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারোদোনা দোভাষী পাড়ার মনজুর আলমের ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, কাঠমিস্ত্রি আবদুল গনি রকি হত্যার ঘটনায় তার বাবা আহমদ কবির বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রকি হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গতকাল ভোরে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারোদোনা গ্রামের বালার পাড়ার মোঃ শাহআলমের পুত্র মো. সোহেলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল রকি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিমতে, একই এলাকার মৃত খুলু মিয়ার পুত্র মো. শফিকুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর শফিকুল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রকি হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো মতে, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও নিহতের মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ছুরিকাঘাতে কাঠমিস্ত্রি মোঃ আবদুল গনি প্রকাশ রনি নিহত হওয়ার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামীর দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও নিহতের মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

ওসি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের দেয়া তথ্যমতে, ঘটনার দিন রাতে কবরস্থান সংলগ্ন নির্জন জায়গায় রকি, শফিকুল ও সোহেলসহ চার জন মিলে মুঠোফোনে লুডু ও ফ্রি ফায়ার গেমস খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধের জের ধরে প্রথমে ধাক্কা-ধাক্কি হয়। তখন কাঠমিস্ত্রি আবদুল গনি রকির বাড়ি চকরিয়ায় হওয়ায় স্থানীয় তিনজন এক হয়ে যায়। এরপর তারা রকিকে মারধরের এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর এক আসামীও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার হবে ইনশাআল্লাহ। -আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!