নিউজ ডেক্স : ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ এবং পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে প্রতিবছরই দেশের নানা প্রান্ত থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছুটে আসেন পর্যটকরা। এবারও তাই হয়েছে। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক পর্যটক।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই হোটেল-মোটেল থেকে বেরিয়ে সমুদ্র সৈকতে আসতে শুরু করেন পর্যটকরা। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় দর্শনার্থীরাও সৈকতে আসেন। সবার একটাই ইচ্ছা, বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখবেন।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মোহাম্মদ রশিদ বলেন, বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখার জন্য কক্সবাজারে এসেছি। বিদায় স্মৃতিময় ২০২২। অনেক ভালো লাগছে।
সৈকত নামে আরেক পর্যটক বলেন, পুরাতন বছরের সব অন্ধকার কেটে গিয়ে নতুন বছরের আলোয় আলোকিত হোক সবার জীবন- বছরের শেষদিনে এটাই প্রত্যাশা করছি। এখানে সবার সঙ্গে শেষ সূর্যাস্ত দেখতে এসে খুব ভালো লাগছে।
তামলিহা নামে এক পর্যটক বলেন, ২০২২ সাল বিদায় নিচ্ছে। বছরের শেষ সূর্যাস্ত নতুন করে মনে করিয়ে দেয় অনেক কিছু। তাই বছরের শেষদিনে সৈকত দাঁড়িয়ে সুর্যাস্ত উপভোগ করছি।
অবশ্য এবার আশানুরূপ পর্যটক নেই বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। অন্যবারের মতো তেমন ভিড় নেই। কয়েকদিন আগে বড়দিনের ছুটি কাটিয়ে গেছেন অনেকে। পাশাপাশি থার্টিফার্স্ট নাইটে অনুষ্ঠান আয়োজনে প্রশাসনের কিছু নিষেধাজ্ঞাও এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন তারা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সমুদ্র সৈকত বা উন্মুক্ত স্থানে জমায়েত, আতশবাজি, গান-বাজনা বা অন্য কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। একইভাবে ইনডোর বা হোটেলেও অনুষ্ঠান সীমিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইনডোরে কোনো আয়োজন করলে জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাবে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল জোরদার রাখবেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। -ঢাকা পোস্ট