ধর্ম ডেস্ক : আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের ধৈর্যশীলদের অফুরন্ত প্রতিদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদেরকে অপরিমিত পুরস্কার পুরোপুরিভাবেই দেয়া হবে।’ (সুরা যুমার : আয়াত ১০)
বিপদ-আপদে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই সবর বা ধৈর্যধারণের শেষ কথা নয়; বরং ইসলামের বিধান পালনে ধৈর্য ধারণ করা অনেক জরুরি। অর্থাৎ সবর সফলতা লাভের মূলমন্ত্র হওয়ার বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত কারণ হলো- ইসলাম যে রুকনগুলোর ওপর প্রতিষ্ঠিত, সেগুলো পালন করার জন্য সবরের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
মানুষ ঈমান গ্রহণ থেকে শুরু করে সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠা; জাকাত আদায়ের ব্যবস্থা; মাসব্যাপী কামরিপু নিবারণ ও উপবাস করে রোজা পালন; অর্থ ও কষ্ট সহ্য করে হজ পালন করা মহা ধৈর্যের ব্যাপার।
দুনিয়ায় ধর্মীয় রীতি-নীতি না মেনে জীবন-যাপন যেমন আনন্দদায়ক; ঠিক ধর্মীয় নীতি-রীতি মেনে জীবন পরিচালনা করা অনেক কষ্টকর। তাই ইসলামের বিধান পালনে ধৈর্যধারণ করা আবশ্যক।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবর বা ধৈর্যধারণকে ঈমানের পরিচায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। সবরের গুরুত্ব তুলে ধরে বিশ্বনবি বলেন, ‘ধৈর্যের বিনিময় হলো জান্নাত।’
আল্লাহ তাআলাও ধৈর্যধারণকারীদের শ্রেষ্ঠ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। সুরা নাহলের ৯৬নং আয়াতে এসেছে, ‘যারা ধৈর্যধারণ করে আমি নিশ্চয়ই তাদেরকে তারা যে কাজ করে তা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দান করব।’
পরিশেষে…
উল্লেখিত কুরআনের আয়াত ও হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, সত্যিকারার্থে মানব জীবনে সফলাতা লাভের অন্যতম মাধ্যম হলো সবর বা ধৈর্যধারণ করে দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ ইসলামের নিয়মানুযায়ী যথাযথ পালন করা।
সবর বা ধৈর্য ছাড়া যেমন ঈমানের পরিপূর্ণতা আসে না। ঠিক তেমনি নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাতের বিধান পালনেও ধৈর্যের বিকল্প নেই।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার সব বিপদাপদে ইসলামের বিধান পালনে ধৈর্যধারণ করে পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।