- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

শাহজালালে বিমানবন্দরে আবারো ‘স্বর্ণমানব’ আটক

S_b20171103115013
নিউজ ডেক্স : শুল্ক গোয়েন্দার দল আজ সকালে শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটে আগত একজন ‘স্বর্ণমানব’ আটক।  শুল্ক গোয়েন্দারা তার শরীরের অভ্যন্তর থেকে ২টি স্বর্ণবার ও তার সাথে থাকা পলিথিন ব্যাগের ভেতর ভ্যাসলিনের কৌটার মধ্য থেকে আরও ২টি স্বর্ণ বার  এবং তার সাথে বহনকৃত হ্যান্ডব্যাগ থেকে ১০৯ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে।
শরীরের অভ্যন্তরে থাকা স্বর্ণ তিনি তার রেক্টামে বহন করছিলেন। আটক স্বর্ণ মানবের নাম সোহেল রানা(৩০), পিতা: জান শরীফ, বাড়ি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে।পাসপোর্ট নম্বর: BF 0980574।  তিনি আজ সকাল (৭:৩০টায়) শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া বিমানের G9513 ফ্লাইটে শাহাজালাল বিমান বন্দরে অবতরণ করেন।
শুল্ক গোয়েন্দা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত যাত্রীকে নজরদারিতে রাখে। কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করে শুল্ক গোয়েন্দার দল। স্বর্ণমানবের চোখে কালো দাগ ও হাটাচলায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে শুল্ক গোয়েন্দার সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়। তবে স্বর্ণমানব কোনোভাবে তার পেটে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করছিলেন না।
পরে তাকে শুল্ক গোয়েন্দার অফিস কক্ষে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তিনি বারংবার তার কাছে স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করতে থাকেন। আটক ব্যক্তির শরীরে স্বর্ণ থাকার ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দার কাছে নিশ্চিত তথ্য ছিল। পরে আর্চওয়ে মেশিনে হাঁটিয়ে গোয়েন্দারা স্বর্ণের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেন নি।
কিন্তু গোপন সংবাদ থাকায় যাত্রীকে উত্তরার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এ নিয়ে এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে যাত্রীর তলপেটে স্বর্ণের অস্তিত্ব সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হয় শুল্ক গোয়েন্দার দল। কর্তব্যরত ডাক্তারও এটি উল্লেখ করেন। এরপর যাত্রীকে বিমানবন্দর এনে শরীর থেকে স্বর্ণ বের করার চেষ্টা চলতে থাকে।
বরাবরের মতো স্বর্ণমানবকে কলা ও প্যাকেট জুস খেতে দেয়া হয়। বিমানবন্দরে রক্ষিত লুঙ্গি পরে শুল্ক গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে টয়লেটের অভ্যন্তরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে ২টি স্বর্ণবার বের করে আনেন এবং পরে তার হাতব্যাগের ভ্যাসলিনের কৌটার ভেতর থেকে আরও ২ টি স্বর্ণবার ও প্যাকেট থেকে ১০৯ গ্রাম অলংকার পাওয়া যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, যাত্রী ২টি করে গোল্ডবার টেপ মুড়ে রেক্টামে প্রবেশ করান। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানানো হয় যে এসব স্বর্ণ শারজাহ এয়ারপোর্টের ভেতরে  নিজেই পুশ করেন। পাসপোর্ট পরীক্ষায় দেখা যায়, এই ২০১৭ সালে তিনি ৯ বার শারজাহ ভ্রমণ করেছেন। তবে প্রতিবার স্বর্ণ বহন করেছিলেন কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। আটক ৪টি স্বর্ণবারের প্রতিটির ওজন ১১৬ গ্রাম। এছাড়া তিনি  স্বর্ণালংকার আনেন যাদের মোট ওজন ১০৯ গ্রাম।
আটক মোট স্বর্ণের পরিমাণ ৫৭৪ গ্রাম। স্বর্ণমানবের থেকে আটক স্বর্ণের মূল্য প্রায় ২৮ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। আটক সোহেল রানাকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আটককৃত স্বর্ণ কাস্টমস গুদামে জমা করা হবে। পরে তা বিশেষ প্রহরায় বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা করা হবে। -ইত্তেফাক