এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ডাক্তার-নার্সের দুব্যবহারের ফলে জনৈকা প্রসূতি বাচ্চা প্রসবের পর মারা যাওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্য কমন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন।
জানা যায়, চলতি সনের ৯ মে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের গৌড়স্থান গ্রামের মহরম আলীর স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে কর্তব্যরত ডাক্তার আবদুল্লাহ আল মামুন ও নার্স ছায়া চৌধুরী দুব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। ফলে রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উঠানে তিনি এক নবজাতকের জন্ম দেন। পরে শিশুটি মারা যায়। এ সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সে সূত্রে হাইকোর্টে এক মামলা রুজু করা হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তদেরকে গত ১ জুলাই আদালতে স্বশরীরে হাজির হওয়ার রুল জারী করা হয়। আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন বলে প্রকাশ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তদন্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কমিটির অন্যান্যরা হলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (হাসপাতাল- ১) উপ-পরিচালক মোঃ খলিলুর রহমান, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী ও প্রসূতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শাহনারা চৌধুরী। তদন্তে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু আসলাম।
কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রসূতি, তার স্বামী, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন, সাংবাদিক এরশাদ হোসাইন, লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ, অভিযুক্ত ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, অভিযুক্ত নার্স ছায়া চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার কানিজ ফাতেমাসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
অনিতিবিলম্বে কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবেন বলে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় পর্যবেক্ষক হিসেবে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।