- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়ায় হামলা ও ভাংচুর করে জায়গা দখলের অভিযোগ

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় হামলা ও ভাংচুর করে জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের পূর্ব রাজঘাটা দরগা ভিটা (ফরেষ্ট অফিস) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গত ২৬ মে ওই এলাকার বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী হুরাইন জান্নাত বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন জামাল উদ্দিন, জমির উদ্দিন, নুরুচ্ছফা, আবুল হোসেন, আবুল কাশেম, মো. জহির উদ্দিন হিরু, মো. রাজিব, এয়াকুব হোসেন, আবদুস শুক্কুর ও খাইর আহমদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনারদিন অতর্কিতভাবে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় বসতবাড়ি ও ভিটার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। তারা বৈদ্যুতিক মিটার ভাংচুর, গরু, মুরগি, আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। অভিযোগকারীর পরিবারের প্রধান বেলাল ও হেলালকে হত্যা করতে না পেরে বাড়ির মহিলা-শিশুদের শারিরীক এবং মানসিক নির্যাতন করে। পরিবারের প্রধানদের প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে বাড়ির সম্পূর্ণ মালামাল ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরিবারের সমুদা বেগম, ইসমত আরা বেগম, নুরুজ্জাহান ও ছোট বাচ্চাদের শারিরীক নির্যাতন করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি লোহাগাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে গত ২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবরেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রধান বেলাল ও হেলাল জানান, অভিযুক্তরা নানাভাবে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এজন্য তারা এলাকায় যেতে পারছেন না। বর্তমানে তারা যাযাবর জীবন-যাপন করছেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক বিষয়টি সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।

অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমরা বাড়ি নির্মাণ করেছি। তারা যদি কাগজপত্র দেখাতে পারে আমরা জায়গা ছেড়ে দিব। ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনিও বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।

লোহাগাড়া থানার এসআই বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, চরম্বা ইউনিয়নের পূর্ব রাজঘাটা দরগা ভিটা (ফরেষ্ট অফিস) এলাকায় ভাংচুর, মারধর ও দখল মর্মে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।