নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে লোহাগাড়া হতে বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে। একটি চিহ্নিত মহল রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতা ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসব সিএনজি থেকে পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১ এপ্রিল রাতে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানা গেছে। মতবিনিময়কালে জানানো হয়, শুধু চলাচলকারী সিএনজি টেক্সি থেকে নয়, অবৈধ ষ্ট্যান্ড বসিয়েও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করা হয় পুলিশের নামে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা অবগত নন। তবে স্থানীয় ট্রাফিক বিভাগের সাথে তিনি যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
লোহাগাড়ায় কর্মরত ট্রাফিক পরিদর্শক মোঃ মুজিবুর রহমান এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। জানা যায়, লোহাগাড়া বটতলী মোটর ষ্টেশন থেকে পদুয়া, সাতকানিয়া, কেরানীহাট, চুনতি ডেপুটী বাজার পর্যন্ত এসব টেক্সি চলাচল করে। একজন প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের নেতা লোহাগাড়া- চুনতি রুটে চলাচলকারী টেক্সি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি প্রতিদিন আদায়কৃত চাঁদার অংশ লোহাগাড়া থানা পুলিশকে দিয়ে থাকেন বলে টেক্সি চালকরা জানিয়েছেন।
তবে লোহাগাড়া থানার নবাগত ওসি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে আগে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ যদি করে থাকেন তা তার জানার কথা নই। লোহাগাড়া পোষ্ট অফিস ও কাঁচাবাজারের সামনে অবস্থিত স্ট্যান্ড থেকে জনৈক সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি চাঁদা আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এ টাকা স্থানীয় ট্রাফিককে দিয়ে থাকেন বলে প্রকাশ। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জনৈক ব্যক্তি পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বশ করে টোকেনে বেশ কয়েকটি টেক্সি চালান দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানীয় কর্মরত সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে নবাগত ওসি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং লোহাগাড়াকে নাগরিক সমস্যামুক্ত করতে অবৈধ টেক্সি স্ট্যান্ড অপসারণ ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার দাবী জানান।
উল্লেখ্য, বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এ থানার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি মতবিনিময় সভায় যে কোন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং অবৈধ টেক্সি চলাচল বন্ধ ও টোকেনবাজী করে যারা টেক্সি চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।