- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

লোহাগাড়ায় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে আরো ৩টি ইটভাটা

এলনিউজ২৪ডটকম : হাইকোর্টের নির্দেশের পর লোহাগাড়ায় অভিযানের ২য় দিন চরম্বা ইউনিয়নে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে ৩টি অবৈধ ইটভাটা। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় নষ্ট করা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ কাঁচা ইট।

গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হল, চরম্বা ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকায় মো. জামালের মালিকানাধীন এসএমবি ব্রিকস, মাইজবিলা এলাকায় শাহ আলমের মালিকানাধীন এসবিএন ব্রিকস ও গুরা মিয়ার মালিকানাধীন সিবিএম-১ ব্রিকস। এছাড়া অভিযানের সময় এসবিএন ব্রিকস’র মালিকের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ও বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন। এছাড়া অভিযানে সাথে ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম, পরিদর্শক নুর হাসান সজীবসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, র‌্যাব ও পুলিশসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন না মেনে কৃষি জমি, লোকালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার বেষ্টিত এলাকা ও বনাঞ্চলের পাশে ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশনা পাওয়ার পর আমাদের অভিযান আরো বেগবান হয়েছে। অবৈধভাবে পরিচালিত সব ইটভাটায় নিয়মিত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এছাড়া উচ্ছেদকৃত ইটভাটাগুলোতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রদত্ত লাইসেন্স, পরিবেশগত ছাড়পত্র, বনবিভাগের ছাড়পত্র ও বিএসটিআই’র মানপত্র নেই। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এসব ইটভাটা কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।

বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জম হোসেন জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এরই অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে লোহাগাড়ায় দুই দিনে ৭টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আদালতে রিট করা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।