নিউজ ডেক্স : আততায়ীর গুলিতে নিহত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনের (৪৮) মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকার। সোমবার সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সারোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী লিটনের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা-সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ. স .ম, ফিরোজসহ হুইপবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অসংখ্য গুণগ্রাহী জানাজায় শরীক হন।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভানেত্রীর নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দ, চিফ হুইপ আ. স. ম ফিরোজের নেতৃত্বে হুইপবৃন্দ, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের পক্ষে বিরোধী দলীয় হুইপ মো. নূরুল ইসলাম ওমর মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে, মরহুমের রাজনৈতিক সহকর্মী ও পরিবারের পক্ষ থেকে তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। জানাজা পরিচালনা করেন সংসদ সচিবালয় মসজিদের পেশ ইমাম মাও. মো. নূরুল ইসলাম। পরে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
জানাজা শেষে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, এমপিদের নিরাপত্তার জন্য সবাইকে একজন করা গানমেন দেয়া হোক।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত এই গুপ্ত হত্যার সঙ্গে জাড়িত। তারা দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়ে এখন গুপ্ত হত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
এর আগে, রোববার দুপুরে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল মাঠে এমপি লিটনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।
এমপি লিটন শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার নিজ বাসভবনে আততায়ীর গুলিতে আহত হন। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
আজ সোমবার বিকেল ৪টায় গাইবান্ধায় পারিবারিক কবরস্থানে এমপি লিটনের মরদেহ দাফন করা হবে।