নিউজ ডেক্স : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপির রাজনীতিটা লাশের উপর প্রতিষ্ঠিত। জিয়াউর রহমান লাশের উপর পা দিয়েই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিল এবং ক্রমাগতভাবে বহু সৈনিকের লাশের উপর দাঁড়িয়ে দেশ পরিচালনা করেছে। ১৯টা ক্যু হয়েছে, শত শত নয় কয়েক হাজার সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকেও হত্যা করেছেন তিনি। লাশের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখল করে ক্রমাগতভাবে লাশ সৃষ্টি করে দেশ পরিচালনা করেছে।”
তিনি বলেন, “এরপর বেগম খালেদা জিয়াও একই পথ অনুসরণ করেছে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে কিভাবে অগ্নি সন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে লাশ বানিয়ে সেই লাশ আবার পুড়িয়ে অঙ্গার করে ফেলেছে। লাশের ওপর দাঁড়িয়েই তাদের রাজনীতি।”
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ভোলায় ছাত্রদল নেতা নিহতের ঘটনায় বিএনপির হরতাল ডাকা ও একটি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক শেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে সরকার পতনের ডাক দিয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
এ সময় বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের পরিচালক এস এম আবুল হোসেন, সিনিয়র প্রকৌশলী ভাস্কর দেওয়ান, আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক হীরক খান উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির রাজনীতি লাশের উপরে প্রতিষ্ঠিত, সেই কারণে তারা লাশ সৃষ্টি করতে চায়। আর আগস্ট মাস আসলেই তাদের এই প্রবণতাটা আরো বেড়ে যায়।”
তিনি বলেন, “সেজন্য ভোলাতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি। সারা বাংলাদেশে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে লাশ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের গত কয়েক দিনের উসকানিমূলক বক্তব্যে এটিই প্রমাণিত হয়। তবে জনগণ তাদেরকে সেই সুযোগ দিবে না।”
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “ভোলায় তারা যে মিছিল ও সমাবেশ করবে তা পুলিশকে জানায়নি। এরপরও পুলিশ তাদেরকে সহযোগিতা করেছে। যখন তারা দোকানপাট ভাঙচুর এবং পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করল, বিএনপি’র সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর গুলি ছোড়া হয়েছে। সেই গুলিতে পুলিশের একজন কন্সটেবল আহত হয়েছে, আরেকজন কন্সটেবলকে ধরে নিয়ে গিয়ে বিএনপি অফিসে মারধর করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আত্মরক্ষার্থে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে। সেখানে তাদের দু’জন কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। আগে যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন ডাক্তারের রিপোর্ট হচ্ছে তার হেড ইনজুরিতে মৃত্যু হয়েছে। হেড ইনজুরি ইট-পাটকেলের আঘাতেই হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ইট-পাটকেল তো বিএনপিই ছুড়েছে। তাদেরকে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ানোর দায়-দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। প্রকারান্তরে তাদের মৃত্যুর জন্যও দায়ী বিএনপি।”
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র একটি ঐতিহাসিক বেতার কেন্দ্র। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম পাঠ করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের ট্রান্সমিটার নিয়েই প্রথম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু করে। পরে ভারতের পক্ষ থেকে একটি ট্রান্সমিটার তাদেরকে দেয়া হয়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হচ্ছে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র। ট্রান্সমিশন যাতে আরো ভালো হয় সেজন্য সলিমপুরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র শোনা যায়।”