- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা

full_769080486_1430743463

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত ৫৭ জন এইচআইভি পজেটিভ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে জানা গেছে, এ রোগীর সংখ্যা দুই শতাধিক ছাড়িয়ে যেতে পারে। শুধুমাত্র যারা নিজেরাই স্ব-উদ্যোগে পরীক্ষা করতে আসছে তাদেরকেই চিহ্নিত করতে পারছেন চিকিৎসকরা। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এই রোগের মহামারী ঠেকাতে এইডস আক্রান্ত রোহিঙ্গাদের দ্রুত চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার থেকে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে মাত্র একজনকে এইডস রোগী হিসাবে শনাক্ত করা হয়। অক্টোবর মাসে এসে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ জনে। কিন্তু চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সংখ্যা ৫৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, চিহ্নিতদের মধ্যে ৫০ জন মিয়ানমারেই চিহ্নিত হয়েছিলেন, কিন্তু প্রথম অবস্থায় গোপন করলেও ঔষধ নিতে আসলে তাদের শনাক্ত করা হয়। আর মাত্র ৫ জন বাংলাদেশে অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে এসে এইচআইভি পজেটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবদুস সালাম বলেন, ‘ওরা আমাদের কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে খাবে। ওদের উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, ওরা সেভাবে চলছে।’ এইডস ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে মিয়ানমারের অবস্থান অনেক ওপরে। আর রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি হওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিশাল একটা অংশ এইডস আক্রান্ত। এতে আমাদের দেশও ঝুঁকিতে। আমাদেরকে অনেক সচেতন থাকতে হবে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সিরাজুল আলম খান জানান, ‘কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে এইডস আক্রান্ত রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এ অবস্থায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় রোহিঙ্গাদের এইডস রোগ চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের তদারকির পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ডার্মোলটিজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম সিরাজুল ইসলাম।

উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা খুবই অপরিষ্কার ও হিংস্র জাতি। এরা করছে না এমন কোনো অপরাধ বাকি নেই। এরা স্থায়ী হলেই আমাদের বিপদ। মানবতার খাতিরে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে ‘মরার উপর খড়ার ঘাঁ’ হয়ে দাঁড়াবে।-সুপ্রভাত