নিউজ ডেক্স : অটো কোটা ছাড়া (বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য) এখন থেকে ট্রেনে কারো নামে টিকেট সংরক্ষণ না রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকরের জন্য ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিএনএস লিমিটেডকে বলা হয়েছে। রেলের অগ্রিম টিকেট বিক্রয় ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখার পাশাপাশি যাত্রীর সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। গত রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে রেলওয়ে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম), বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম), প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) ও প্রধান পরিবহন কর্মকর্তাকে (সিওপিএস) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। -দৈনিক আজাদী
অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহানের চিঠিতে শুধুমাত্র অটো কোটা ব্যতীত কারো নামে ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণ না রাখার যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের ভিআইপি কোটাও রহিত হল। একই ভাবে রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামেও কোনো ট্রেনের টিকিট ব্লক করে রাখা যাবে না। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান জানান, শুধুমাত্র অটো কোটায় বিচারপতি, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধীসহ কিছু টিকিট সংরক্ষণ থাকবে। এর বাইরে কারো নামে টিকিট সংরক্ষণ করা যাবে না। এমনকি রেলওয়ের কর্মকর্তার নামেও কোনো টিকিট সংরক্ষণ থাকবে না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের চাহিদার তুলনায় রেলের টিকিটের সংখ্যা কম। তার উপর বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে যে পরিমাণ টিকিট থাকে তার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভিআইপিদের (মন্ত্রী-এমপি, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রেলের কর্মকর্তা) জন্য ব্লক বা সংরক্ষণ করে রাখা হয়। অনেক সময় সংরক্ষিত টিকিটে যাত্রীরা যান না। এতে রেলের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীরা টিকিট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নতুন এই নির্দেশনার ফলে যাত্রীরা সুফল পাবেন এবং রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে জানান বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তারা।