Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | যতখু‌শি ঋণ নিতে পার‌বে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা

যতখু‌শি ঋণ নিতে পার‌বে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা

নিউজ ডেক্স : বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ সীমা তু‌লে দি‌য়ে‌ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জড়িত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও গ্রুপকে আমদানির জন্য যতখু‌শি তত ঋণ দি‌তে পার‌বে ব্যাংকগু‌লো। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শর্ত শিথিল করে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর নিকট পাঠানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন) এর ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জানানো যাচ্ছে যে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে উক্ত খাতে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোনো একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে কোনো ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬খ(১) ধারার শর্তাংশে বর্ণিত নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর হবে না।

তবে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬খ(১) ধারার উল্লিখিত ২৫ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমার স্থলে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঊর্ধ্বসীমা কত হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ নভেম্বর কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ দেওয়ার সীমাবদ্ধতা তুলে দিয়ে সুবিধা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার লক্ষ্যে উক্ত খাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ব্যয় যেমন- জমি ক্রয়, মেশিনারি আমদানি ও ক্রয় বাবদ ব্যয়, মেশিনারি স্থাপন সংক্রান্ত ব্যয়, মেরামত, ওভারহোলিং ব্যয় ইত্যাদি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ব্যবহৃত কয়লাসহ অন্যান্য কাঁচামাল ক্রয় বা আমদানির লক্ষ্যে ব্যয় নির্বাহের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোনো একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে কোনো ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬খ(১) ধারার বর্ণিত নিষেধাজ্ঞা আগামী ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য কার্যকর হবে না।

তবে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬খ(১) ধারার উল্লিখিত ২৫ শতাংশ ঊর্ধ্বসীমার স্থলে আগামী ৫ বছরের জন্য তা কত হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!