- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

মিন্নির জামিন চেয়ে আবেদন আবার দাখিল

image-210801-1566122464

নিউজ ডেক্স : বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হয়ে গ্রেফতার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন চেয়ে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে আবেদন দাখিল করেছেন তার আইনজীবী জেডআই খান পান্না ও আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।

আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনটি দাখিল করা হয়। সেই জামিন আবেদনের শুনানি আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।

আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আইনজীবী জেডআই খান পান্না বলেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টে বেঞ্চে মিন্নির জামিন চেয়ে করা আবেদনটি দাখিল করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার জামিন আবেদন কার্যতালিকায় এলে পরে শুনানি হবে।

এর আগে গত ৮ আগস্ট মিন্নির পক্ষে করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।

সেই সময় মিন্নির জামিনের আবেদনের শুনানি নিয়ে জামিন না দিয়ে জামিন প্রশ্নে রুল জারি করতে চান আদালত।

আদালত জানান, ‘আমরা এখন রুল দিতে পারি, অন্যথায় আপনারা আবেদনটি ‘টেক ব্যাক’ করতে পারেন।’ এর পর জামিন আবেদন হাইকোর্ট থেকে ফেরত নেন মিন্নির আইনজীবী। জামিন আবেদন ফেরত নেয়ার ১০ দিন পর আজ রোববার মিন্নির আইনজীবীরা নতুন বেঞ্চে যান।

প্রসঙ্গত বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বিকাল ৪টায় বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এ হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বরগুনা থানায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এ ছাড়া সন্দেহভাজন অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। মামলার এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এদিকে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোরের দাবি, মিন্নির কাছ থেকে জোর করে জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। তিনি এ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষীকে (মিন্নি) আসামি করা ও রিমান্ডে নেয়ার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে দায়ী করে আসছেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘সব কিছুই শম্ভু বাবুর খেলা। তার ছেলে সুনাম দেবনাথকে রক্ষা করার জন্য আমার মেয়েকে বলি দেয়া হচ্ছে।’

শম্ভুর ছেলে সুনামের বিরুদ্ধে কিশোরের অভিযোগ, তার জন্যই এতদিন মিন্নির পক্ষে আদালতে দাঁড়াননি আইনজীবীরা।

এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু সমালোচনার পর বরগুনা ও ঢাকার আইনজীবীদের একটি অংশ মিন্নির পক্ষে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। জামিন চেয়ে আবেদন করলে গত ২১ জুলাই বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালত তা নাকচ করেন।

২৩ জুলাই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মিন্নির পক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা হয়। ৩০ জুলাই শুনানি নিয়ে তা নামঞ্জুর করেন আদালত।

নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন একাধিকবার নাকচ হওয়ার পর আয়েশা সিদ্দিকা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। এক বেঞ্চে আবেদন নাকচ হলে আবার তিনি অপর বেঞ্চে আজ আবেদন করলেন।