- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

মার্কেট শপিংমলে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, নেই মনিটরিং

নিউজ ডেক্স : ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণার খবরে নগরীর টেরীবাজার, রেয়াজুদ্দিন বাজারসহ ছোট-বড় শপিংমল ও বিপণী বিতানে মানুষের ভিড় বেড়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে শপিং মল ও বিপণী বিতানগুলোতে ছিল ঈদের আমেজ। ফুটপাত থেকে মার্কেট সর্বত্র একই দৃশ্য। সকালে দোকান খোলার সাথে সাথে ছোট-বড় শপিংমল ও বিপণী বিতানে জমজমাট বেচাকেনা শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত একনাগাড়ে চলে।

পবিত্র রমজান শুরু হতে এখনো কয়েকদিন বাকি। আগামী ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ থেকে ৭ দিনের জন্য কঠোর লকডাউনের চিন্তা করছে সরকার। গত শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। লকডাউনের বিষয়ে আজ রোববার প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। লকডাউন পর্যায়ক্রমে পুরো মাস থাকতে পারে-এমন আশঙ্কায় অনেকে ঈদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা আগে থেকেই সেরে নিচ্ছেন। বেলা ১২টার দিকে টেরীবাজার ও বেলা ১টার দিকে রেয়াজুদ্দিন বাজার গিয়ে দেখা যায় লোকে লোকারণ্য। নারী-পুরুষ সকলের হাতভর্তি প্যাকেট। এই কারণে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর যেসব এলাকায় বড় বড় মার্কেট আছে সেইসব এলাকায় যানজট ছিল।

চলমান লকডাউনের মাঝে ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের কারণে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত শুক্রবার থেকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলার নির্দেশনা দেয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও মার্কেট খোলার জন্য বলা হলেও মানুষের ভিড়ের কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে। সবার মুখে মাস্ক থাকলেও একসাথে অধিক সংখ্যক ক্রেতার ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হয়নি। এসব মনিটরিংয়েরও ব্যবস্থা ছিল না। অনেক মার্কেট কর্তৃপক্ষও ছিল উদাসীন।

গতকাল মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ভিআইপি টাওয়ার শপিংমল, আমীন সেন্টার, সানমার ওশান সিটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশমুখে জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ভেতরে প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।

রেয়াজুদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম বলেন, আবার লকডাউন শুরু হওয়ার খবরে মানুষ বাজার করার জন্য আসায় ভিড় বেড়ে গেছে। তবে আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেছি। মাইকিং করিয়েছি। প্রত্যেক মার্কেট ও দোকানের মালিকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বলেছি।

টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, ১৪ তারিখ থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। সব দোকান-মার্কেট বন্ধ হয়ে যাবে। এই কারণে আজ (গতকাল) মানুষের ভিড় বেশি ছিল। আর প্রতি শনিবার টেরীবাজারে পাইকারি ক্রেতারা বেশি আসেন। লকডাউন শুরু হলে গাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে, এজন্য শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছেন কাপড় কিনতে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ৮২টি মার্কেট রয়েছে। প্রত্যেক মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মীদের বাইরে জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে দাঁড় করানো হয়েছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ছাড়া কাউকে মার্কেটে ঢুকতে দিইনি। আমাদের ব্যবসায়ীরা গত বছর ঈদে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সরকারের কাছে অনুরোধ, এবার ঈদে যেন পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খুলতে দেওয়া হয়। দৈনিক আজাদী