- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

ভাসানচরকে ছয়টি মৌজায় ভাগ করে নামকরণ

bg20171106182336

নিউজ ডেক্স : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে না ফেরা পর্যন্ত নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদী তীরবর্তী ভাসানচরে আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চরটিকে বসবাস উপযোগী করার কাজ এগিয়ে চলছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যে ভাসনচরকে ছয়টি মৌজায় ভাগ করে নতুন করে নামকরণ করা হয়েছে।

অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ’ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার এ তথ্য দেন। রোববার (০৫ নভেম্বর) বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার বলেন, নৌবাহিনী ভাসানচরকে বসবাস উপযোগী করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভূমি অধিদপ্তর সেখানে জরিপ চালিয়েছে। গত সপ্তাহে সেখানে ১৬টি পিলার বসিয়েছে তারা। আগামী সপ্তাহে অধিদপ্তরের আরও ৫৫ সদস্য সেখানে যাবেন।তারা জায়গা পরিমাপ করবেন।

তিনি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ভাসানচরকে ছয়টি মৌজায় ভাগ করে নতুন করে নামকরণ করে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এখানে ২২ বর্গ কিলোমিটার মতো জায়গা রয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার একর ভূমিকে ছয়টি মৌজায় ভাগ করে নামকরণ করেছি।

বিভাগীয় কমিশনার সেসব মৌজার নতুন নামগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার বলেন, আমরা যে ছয়টি নাম প্রস্তাব করেছি সেগুলো হলো ভাসানচর, সাদির চর, চর বাতায়ন, চর মোহনা, চর কাজলা আর কেউড়ার চর।

তিনি বলেন, প্রথমে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নামকরণের দায়িত্ব দেই। তিনি তার নামগুলো প্রস্তাব করে পাঠান। পরে আমি আরও কয়েকজনের বসে স্টাডি করে এই ছয়টি শ্রুতিমধুর নাম প্রস্তাব করেছি।

বিভাগীয় কমিশনার নামগুলো খুব সুন্দর হয়েছে বলে প্রশংসা করেন।

নোয়াখালীর মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জেগে ওঠা চর ভাসানচর।সরকার রোহিঙ্গাদের সেখানে নেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসন করার কথা রয়েছে। -বাংলানিউজ