- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

বাঁশখালীর ৬ ট্রলার, ৬ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ

নিউজ ডেক্স : বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকার ৪টি ফিশিং ট্রলার ক্ষতিগ্রস্থ এবং ৬ মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে বঙ্গোপসাগরে হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকার প্রায় ১৫/২০টি ফিশিং ট্রলার মাছ ধরার জন্য আজ মঙ্গলবার ভোরে চাম্বলের বাংলা বাজার ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে সকাল ৮টার দিকে হেফাজতুল ইসলামে মালিকানাধীন এফবি মুশফিক, মোহাম্মদ ফারুকের মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার, কেফায়েত উল্লাহ মালিকানাধীন আল্লাহর দান ফিশিং ট্রলার, নন্না মিয়ার মালিকানাধীন আরেকটি ফিশিং ট্রলার, মৌলভী আবুল খায়েরের মালিকানাধীন একটি ফিশিং ট্রলার এবং আনিস মাঝির একটি ফিশিং ট্রলার এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতি জানায়, এ সময় মাঝি-মাল্লাদের কয়েকজন ফিশিং ট্রলার থেকে পানিতে পড়ে গেলে অন্য ফিশিং ট্রলারের সহযোগিতায় উপকূলে চলে আসতে পারলেও এখনও পর্যন্ত ছয় মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন।

তারা হলেন পশ্চিম চাম্বল এলাকার মৃত আহমদ উল্লাহর পুত্র আনিস মাঝি(৪৫), মৃত নুর মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আলী(৩৮), শীলকূপ এলাকার মৃত মফিজের পুত্র মিয়া(৩২), আস্করিয়া পাড়ার আমির হোসেনের পুত্র সাজ্জাদ হোসেন, কুতুবদিয়া এলাকার ছৈয়দ আলম(৪৫)।

তবে শীলকূপ এলাকার হোছাইন আহমদের পুত্র আবদুর সবুরকে নোয়াখালীর হাতিয়ার সাঈদ মাঝির মালিকানাধীন ফিশিং বোট দুপুর আড়াইটার দিকে সাগর থেকে উদ্ধার করে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টায় সাঈদ মাঝি দৈনিক আজাদীকে জানান বর্তমানে আবদুর সবুর তার বাড়িতে অবস্থান করছেন। জানা যায়, ঝড়ের কবলে পড়ে ফিশিং ট্রলারগুলো চাম্বল এলাকার।

চাম্বল বাংলা বাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ সম্পাদক মো. আকতার বলেন, “ঝড়ের কবলে পড়া ফিশিং ট্রলারগুলোর মধ্যে আনিস মাঝির ফিশিং ট্রলার আর নন্না মিয়ার ছেলে এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। তাছাড়া আরো কয়েকটি ফিশিং ট্রলারও লোকজনের এখনও খোঁজ মিলছে না।”

তিনি কোস্ট গার্ড-এর সহযোগিতা চান জেলেদের উদ্ধারে। এ ব্যাপারে চাম্বল বাংলা বাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজতুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বলেন, “আমার মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারসহ নন্না মিয়া, আনিস মাঝি, ফারুক, আবুল খায়ের, কেফায়েত উল্লাহর সহ ৬টি ফিশিং বোট ও ৬ জন মাঝিমাল্লা নিখোঁজ।”

তিনি আরো জানান সাগরে দায়িত্বরত কোস্ট গার্ড-এর সাথে তাদের যোগাযোগ হচ্ছে। কোস্ট গার্ড কোনো খবর পেলে তাদের জানাবেন বলে জানান তিনি।

তাছাড়া গতকাল সোমবার রাতে একরাম নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি যে ফিশিং ট্রলারে ছিলেন সেটি এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান হেফাজতুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বঙ্গোপসাগরে বাঁশখালীর চাম্বল এলাকার ৬টি ফিশিং ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে।”

জেলেদের কোস্টগার্ড-এর মাধ্যমে উদ্ধারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। এছাড়া সোমবার রাতে এক জেলের মৃত্যুর কথাও নিশ্চিত করেন তিনি। আজাদী অনলাইন