নিউজ ডেক্স : বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে অধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গুলি বিনিময়সহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালি উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন।
এসব ঘটনায় ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বেলা ১২টার দিকে েকালিপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের একটি ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাকালে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের ভাই রাকিবুল আলমকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট জোবায়ের বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান।
খানখানাবাদ ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল করে ভোট নেয়ার অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
৬ নং কাথরিয়া ইউনিয়নের ৯ নং এবং ২ নং কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত। আহতদের মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর এক সমর্থক রয়েছে।
দুপুর সোয়া ১২টার বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথী নৌকা প্রতীকের ইবনে আমীনের সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৯ বছরের শিশু শারমীন ও খোরশেদ আলমকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন বলেন. দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য আতংক থাকলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বাঁশখালির সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। আহতরা হলেন-এরশাদ, খোরশেদ ও শারমিন।
একাধিক সুত্রে জানাগেছে, দুপুর পর্যন্ত যে পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে শেষ পর্যন্ত তা বজায় থাকলে উপজেলার পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বহারছড়া বৈলছড়িসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী, চাম্বল শেখের খিল, পূঁইছড়িসহ কয়েকটি কেন্দ্রে জামায়াত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। শুধুমাত্র ছনুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয় হতে পারেন বলে স্থানীয়দের ধারণা।
এদিকে দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে কাথারিয়া ইউনিয়নের ১,৬,৫,২ ও ৭ নং কেন্দ্রে পুলিশ বিজি্বির সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়ার ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। এসব কেন্দ্রে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয় বলে জানান নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোবারক হোসেন।
চাম্বল ইউনিয়নে ৯ নং পূর্ব চাম্বল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের থবর পাওয়া গেছে। -সিটিজি টাইমস