নিউজ ডেক্স : বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়নে মুন্সিপাড়ার এক শিশু গলাটিপে হত্যা করেছে আরেক শিশু। হত্যার দুইদিন পর পরিত্যক্ত পুকুর থেকে গত রোববার রাত ২টার দিকে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
রমজান আলী (১০) নামের এক শিশুকে গলাটিপে হত্যা করেছে মো. হোবায়েত (১৪) নামের আরেক শিশু নিহত রমজান ওই ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের মুন্সিপাড়ার আব্দুল গফুরের ছেলে। গ্রেফতারকৃত হত্যাকারী শিশু হোবায়েত তারই প্রতিবেশী।
বাঁশখালী থানায় দায়েরকৃত এজাহারে প্রকাশ, ‘গত শুক্রবার এলাকার আলী আহমদের ছেলে মো. হোবায়েত একইপাড়ার আব্দুল গফুরের বড় ছেলে জাকের হোসেনের বাইসাইকেল জোর করে চালানোর চেষ্টা করে। এ নিয়ে জাকের ও হোবায়েতের মধ্যে মারামারি হলে গ্রামবাসীরা মীমাংসা করে দেন। পরদিন শনিবার জাকেরের ছোটভাই পূর্ব পুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রমজান প্রথম সাময়িকের বাংলা পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে তার গতিরোধ করে গ্রামের পরিত্যক্ত এক পুকুরপাড়ে নিয়ে প্রথমে মারধর করে হোবায়েত। পরে রমজানকে গলাটিপে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দিয়ে আসে সে। এরপর স্বাভাবিক চলাফেরা করে।
জানা যায়, রমজানকে না পেয়ে বাবা আব্দুল গফুর গ্রামে মাইকিং করেন এবং ফেসবুকে ছেলের নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করেন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পরলে রোববার রাতে নিহত রমজানের সহপাঠী উর্মি আক্তার আগেরদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে পরিত্যক্ত পুকুরপাড়ে রমজান ও হোবায়েতের মারামারি দেখার কথা বর্ণনা করে। এর প্রেক্ষিতে রমজানের বাবা ও গ্রামবাসী মিলে রোববার রাতেই পরিত্যক্ত ওই পুকুরে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পুকুরের ঝোঁপের ভেতর মেলে রমজানের লাশ। পরে ওইদিন রাত ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় বাঁশখালী থানা পুলিশ। এর পরপরই হত্যাকারী শিশু হোবায়েতকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
রমজানের বাবা আব্দুল গফুর বলেন, ‘প্রতিবেশীল বখাটে ছেলে হোবায়েত আমার বড় ছেলের সাইকেল চালাতে না পেরে ছোট ছেলেটিকে হত্যা করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া হোবায়েত স্বীকারোক্তিতে জানায়, ‘আমি রমজান আলীকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছি। মারধরের একপর্যায়ে সে পুকুরে পরে গেলে আমি ওই জায়গা থেকে চলে আসি। কিন্তু সে যে মারা যাবে, তা আমি ভাবতে পারিনি।
মামলার তদন্তকারী দারগা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তদন্তে খুনের ঘটনায় জড়িত হোবায়েতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে রমজানকে পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছে। নিহত শিশুর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। মামলা দায়ের করা হয়েছে।