নিউজ ডেক্স : ফরিদপুর, নেত্রকোনা ও রাজবাড়ীতে বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার বিকেলে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের সদরপুরে বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদরপুর উপজেলার আটকের চর ইউনিয়নের কুকারাম সরদারের ডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শেখ আরজান (৪৫), তার স্ত্রী আনেয়ারা বেগম (৩৫), মেয়ে বিথী আক্তার (১৪) ও প্রতিবেশী বিল্লাল মোল্লা (৪০)।
আটকের চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুরাদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানান, নিহত চারজন বিকেলে বাড়ির পাশের মাঠে বাদাম তোলার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে আররজান ও তার মেয়ে মারা যায়। নিহত আরজানের স্ত্রী ও প্রতিবেশী বিল্লালকে আহতাবস্থায় সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। রোববার বিকেলে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের বড়তলা গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে সাইদুল হক (৫০) ও বলাইশিমুল ইউনিয়নের রাজাইল গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি শুরু হলে বিকেলে সাইদুল হক বড়তলা গ্রামের হাওরে রেখে আসা তার একটি গাভী আনতে যান। গাভী নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে হাওরের ভাটারাশি নামক স্থানে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই গরুসহ ওই কৃষকের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে একই উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের রাজাইল গ্রামে কামরুল ইসলাম বৃষ্টির সময় বাড়ির পেছনে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু
কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বজ্রপাতে দুই কৃষক নিহতের বিষয়টি করেছেন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নে বজ্রপাতে বাসুদেব (৫৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বাসুদেব উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মৃত ভুবন মোহনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে বাসুদেব মাঠে কৃষি কাজ করছিলেন। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।