নিউজ ডেক্স : ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের ৩৫ জেলায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল জমির বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ৬০০ হেক্টর বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতির আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। এসব ফসলের মধ্যে ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান রয়েছে। ফসলি জমির মধ্যে বোরো ধান ৫৫ হাজার ৬০০ হেক্টর, সবজি তিন হাজার ৬৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৬৭৭ হেক্টর, পাট দুই হাজার ৩৮২ হেক্টর ও ৭৩৫ হেক্টর পান রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) ফণীর প্রভাব নিয়ে ফসলি জমির ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মো: আব্দুর রাজ্জাক এ কথা জানান।
তিনি আরো বলেন, সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৩১ জন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এ ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফসলের এই ক্ষতিতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জনিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ মে সকালে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ফণী । ঢাকা-ফরিদপুর অঞ্চল পেরিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ এটি লঘুচাপে পরিণত হয়।
অধিকাংশ বোরো ধান হার্ড ডাফ ও পরিপক্ব অবস্থায় বাতাসে হেলে পড়েছে। যার দুই শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সবজির ক্ষেত্রে মাচা ভেঙে ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বাতাসের কারণে শাক-সবজি ক্ষতি হয়েছে যার ৯ শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে তাদেরকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।
অপরদিকে, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ফনীর প্রভাবে প্রায় ২২ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদি পশু মারা গেছে ১৭৫টি। প্লাবিত গ্রামের মোট সংথ্যা ৫৯টি, এর মধ্যে কক্সবাজারের ২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকায় চার হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৩ জন আশ্রয় নিয়েছিল।