নিউজ ডেক্স : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেয়ায় বগুড়া-৬ আসনে ২৪ জুন ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ আসনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৭ মে, প্রত্যাহার ৩ জুন ও প্রতীক বরাদ্দ ৪ জুন। বুধবার ইসির যু্গ্ম-সচিব এসএম আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি আরো বলেন, ভোট গ্রহণের সময়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সকাল ৮টার পরিবর্তে এ আসনে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু করা হবে এবং বিকেল ৪টার পরিবর্তে ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়। এছাড়া এ আসনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
গত ৩০ এপ্রিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আসন শূন্য ঘোষণা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। নিয়ম অনুযায়ী সেদিন ছিল শপথ নেয়ার শেষ দিন। এর আগের দিন (২৯ এপ্রিল) বিএনপি থেকে নির্বাচিত চারজন শপথ নিলেও শপথ নেননি মির্জা ফখরুল।
আসন শূন্য ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সংসদের প্রথম বৈঠক থেকে ৯০ দিনের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শপথ নেয়ার কথা। কিন্তু তিনি অসমর্থ হওয়ায় তার আসনটি শূন্য হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ গ্রহণের অসমর্থ হওয়ায় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৭৮ (৩) অনুযায়ী বিষয়টি সংসদকে অবহিত করার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী বিষয়টি সংসদকে অবহিত করা হলো।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। গণফোরামের দু’টি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন। নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন তারা। নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে। এসবের মধ্যেই শপথ নেন গণফোরামের সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান।
এরপর ২৫ এপ্রিল শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়া জাহিদুর রহমান। এর জেরে ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
জাহিদুরকে ২৭ এপ্রিল বহিষ্কার করা হলেও ২৯ এপ্রিল শপথ নেন বিএনপির আরও চারজন। তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।
উল্লেখ্য, বগুড়ার এই আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। তিনি পেয়েছিলেন ২ লাখ ৫ হাজার ৯৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম ওমর পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৯৬১ ভোট।