- Lohagaranews24 - http://lohagaranews24.com -

পেকুয়ায় আগুনে পুড়েছে ৬ বাড়ি

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের পেকুয়ায় দিনদুপুরে ৬ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার (১৬ মে) বিকাল ৪টায় ঘটনাটি ঘটে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাটা এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার জাহেদা বেগমের বাড়ি থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এরপরই দ্রুত আশেপাশের বাড়িগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

তারা জানান, যে ৬ টি বাড়ি পুড়ে গেছে সেগুলোর মধ্যে ৫ আপন ভাইয়ের বাড়ি রয়েছে। পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলো মাটির দেয়াল ও ছনের ছাউনি এবং পাশাপাশি হওয়ায় দ্রুতই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জাহেদা বেগম বলেন, “এই বাড়িটা ছাড়া আমাদের কোনো ধনসম্পদ নাই। আজ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল।” কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন তিনি।

আরেক ক্ষতিগ্রস্ত আমজাদ জানান, তিনি গরুর ব্যবসা করেন। তার বাড়িতে তার ব্যবসার জমানো প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ব্যবসার শেষ সম্বল পুড়ে যাওয়ায় গরু ব্যবসায়ী আমজাদ পাগলপ্রায় হয়ে যান।

বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের এমইউপি মো. আনিছুল করিম বলেন, “বিকেল ৪টার দিকে পশ্চিম জালিয়াকাটা এলাকার মৃত আহম্মদ শরিফের পুত্র ইসমাইল, তার ভাই জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, মহিউদ্দিনের পুত্র নাছিম ও মৃত বাদশার স্ত্রী জাহেদা বেগম ও আমজাদের বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনের কারণে স্থানীয়রা প্রথমদিকে ভীত সন্ত্রস্ত ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ দিদারুল হক বলেন, “বারবাকিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াকাট এলাকায় যেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখানে যাওয়ার রাস্তা এতই সরু এবং ভগ্নদশা যে আমাদের ছোট গাড়ি নিয়ে যেতেই অনেক বেগ পেতে হয়েছে এবং সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এরপরও আমরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।”

তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ জনই আপন সহোদর। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান তিনি। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈকা শাহাদাত।

ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে তাৎক্ষণিক চাল, ডাল, তেল, লুঙ্গি, কম্বল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে এবং প্রত্যেক পরিবারকে ২ বান করে টিন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দৈনিক আজাদী